‘সোহরাওয়ার্দী ও তুরাগ নদীর তীর ছাড়া বিকল্প প্রস্তাব পেলে বিবেচনা’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশের জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ও তুরাগ নদীর তীর ছাড়া রাজধানীতে বিকল্প প্রস্তাব দিলে সেটা বিবেচনা করবে বিএনপি। এ নিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যেকোনো স্থানে সমাবেশ করব। এটা আমার সাংবিধানিক অধিকার। এটা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেখানে আগ বাড়িয়ে নাশকতা হবে বলে আমার সাংবিধানিক অধিকারকে আপনারা লঙ্ঘন করছেন, কেড়ে নিচ্ছেন। আমরা ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ করব সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে।’

ফখরুল বলেন, সমাবেশকে নানাভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার জন্য একের পর এক চক্রান্তজাল বিস্তার করে চলেছে। আওয়ামী সরকারের হাতে কখনোই গণতন্ত্র সুরক্ষিত থাকেনি। এদের ইতিহাস ঐতিহ্যে রয়েছে গণতন্ত্রের বিনাশ ঘটিয়ে কর্তৃত্ববাদী শাসনের উত্থান।

আজ রোববার ( ৪ ডিসেম্বর) বেলা ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।

আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করছেন। দয়া করে সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি করবেন না। আমরা যে নয়টি সমাবেশ সম্পূর্ণ করেছি, ঠিক একইভাবে ঢাকার সমাবেশ সম্পূর্ণ করব।’

ঢাকার গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য সরকারের নানামুখী দমননীতি এখন সর্বসাধারণের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে জানিয়ে ফখরুল বলেন, ‘গতকাল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বাসার সামনে সেই বালির ট্রাকের কায়দায় চেকপোস্ট—ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ অবরোধ করে রেখেছে। এটি দেশনেত্রীর ওপর নিপীড়নের আরেকটি নতুন মাত্রা। আমি সরকারের এমন ঘৃণ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’

এ সময় খালেদা জিয়ার বাড়ির সামনে থেকে চেকপোস্ট ও ব্যারিকেড তুলে নেওয়ার জোর দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।

Nagad

পুলিশের আইজিপির বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘পুলিশের আইজি বলছেন, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে ঘিরে নাশকতার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তাহলে কেন এই অভিযান?’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ইতোমধ্যেই জনগণের কাছে সুষ্পষ্ট হয়েছে যে, সরকার একটি নাশকতামূলক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়। কিন্তু সরকারের এতে কোনো লাভ হবে না। জনগণ দিবালোকের মতোই সবকিছু অবলোকন করছে।’

আগামী ১০ ডিসেম্বর পল্টনে বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীদের পিছনে পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছে সরকার—দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগীয় সমাবেশেও পুলিশ গ্রেপ্তার ও হয়রানি করেছে। পথে পথে বাধা দিয়েছে, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ আক্রমণ চালিয়েছে। তারপরেও জনতার স্রোতকে ঠেকাতে পারেনি।’

সরকার জঙ্গিবাদের কথা বলে জঙ্গি সৃষ্টি করতে চায়, অগ্নিসন্ত্রাসের কথা বলে, অগ্নিসন্ত্রাস করতে চায় বলেন মির্জা ফখরুল।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার প্রমুখ।

সারাদিন. ৪ ডিসেম্বর. আরএ