আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২২

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ৯টা ২ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে এই ভূকম্পন অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) ওয়েবসাইটে এই তথ্য জানানো হয়। ইউএসজিএসের তথ্যমতে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ২। ইউএসজিএস বলছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল বঙ্গোপসাগর। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার।

দেশ বাঁচাতে নৌকায় ভোট দিন
এনপির আন্দোলনকে মানুষ হত্যার আন্দোলন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, খুনি, গ্রেনেড হামলাকারী, মানুষ হত্যাকারীদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। খুনি ও যুদ্ধাপরাধীদের রোষানল থেকে দেশ ও জনগণকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়েছেন।প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল রবিবার বিকেলে চট্টগ্রামের পোলো গ্রাউন্ডে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রীর জনসভা উপলক্ষে পোলো গ্রাউন্ডে বিপুল মানুষের ঢল নামে। সকাল থেকেই লাখো মানুষ উপস্থিত হয় জনসভাস্থলে। প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৩টা ৪৫ মিনিটে বক্তব্য শুরু করেন। শুরুতে তিনি চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান। চট্টগ্রামে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে নিহত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। তিনি চট্টগ্রামের প্রয়াত আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে স্মরণ করেন।প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীরা যেন আর এ দেশে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে জন্য ঐক্যবদ্ধ হতে দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫০ মিনিটের বক্তব্যের বড় অংশজুড়ে ছিল আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের উন্নয়ন, বিএনপির আন্দোলনে সহিংসতা, বিএনপি আমলের দুর্নীতি, দেশের রিজার্ভ, বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকট, চট্টগ্রামের উন্নয়ন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ৫১ শতাংশ

মার্কিন অফিশিয়াল সোর্স অফিস অব টেক্সটাইলস অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) চলতি বছরের ৯ মাসের (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।অটেক্সার তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ পোশাক রপ্তানি করেছে ৭৫৫ কোটি বা ৭ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলার। এতে করে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫০ দশমিক ৯৮ শতাংশ। আগের বছর প্রথম ৯ মাসে দেশটিতে পোশাক রপ্তানি হয়েছিল ৫০০ কোটি ডলার বা ৫০ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির দিক দিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা চীন দেশটিতে পোশাক রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৭৭২ কোটি ডলার বা ১৭ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। এতে করে দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আগের বছরের একই সময়ে দেশটির রপ্তানি ছিল ১ হাজার ৩৭৪ কোটি ডলার বা ১৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। এতে দেশটি গত বছরও এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানিতে প্রথম ছিল। যা এ বছরও ধরে রেখেছে। ভিয়েতনাম গত বছরের মতো তাদের দ্বিতীয় স্থান ধরে রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে দেশটি চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে পোশাক রপ্তানি করেছে ১ হাজার ৪৫৯ কোটি ডলার। এতে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দেশটির প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আগের বছর প্রথম ৯ মাসে দেশটি রপ্তানি করেছিল ১ হাজার ৮৩ কোটি বা ১০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন ডলার।বাংলাদেশের পরই রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। দেশটি এ সময়ে পোশাক রপ্তানি করেছে ৪৪৫ কোটি ডলার বা ৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এর মাধ্যমে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এতে প্রবৃদ্ধির দিক দিয়ে দেশটি সবার শীর্ষে অবস্থান করছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারীদের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি হয়েছে। উচ্চ প্রবৃদ্ধিসহ অন্যান্য শীর্ষ দেশগুলো হলো ভারত ৫৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ, কম্বোডিয়া ৪৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ, পাকিস্তান ৪০ দশমিক ১১ শতাংশ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ৩৯ দশমিক ৬১ শতাংশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ইতিহাস বদলে দিলেন মিরাজ
ভারতের বিরুদ্ধে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস জয় টাইগারদের

Nagad

ভারতের বিরুদ্ধে ম্যাচ মানেই কি ট্র্যাজেডি? বারবার স্বপ্নভঙ্গের বেদনা! না! এবার আর কষ্টে নীল হতে হয়নি বাংলাদেশের ক্রিকেট ভক্তদের! ইতিহাস বদলে দিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। একাই বীরদর্পে লড়াই করে ১ উইকেটে রুদ্ধশ্বাস এক জয় এনে দিলেন বাংলাদেশকে। শেষ উইকেট জুটিতে মুস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে গড়লেন ৪১ বলে ৫১ রানের ক্যারিশম্যাটিক এক জুটি। ১৮৭ রানের টার্গেট তাড়া করতে গিয়ে ৪ উইকেটে ১২৮ রান। এরপর মাত্র ৮ রানের মধ্যে ৫ উইকেট পড়ে যায় বাংলাদেশের। পরাজয় যেন নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর শেষ উইকেটে মহাকাব্যিক জুটি। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শেষ উইকেটে ৫৮ রানের-অবিশ্বাস্য এক জুটিতে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। তখন উইকেটে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও পেসার শফিউল। তবে সেই ঘটনাকেও যেন ছাপিয়ে গেল মিরাজ-মুস্তাফিজের কালকের কীর্তি। ম্যাচ শেষে মিরাজ বলেন, ‘আমি যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। খুবই রোমাঞ্চিত। মুস্তাফিজ আমাকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী করেছে। সে আমাকে বলেছে, আমাকে নিয়ে চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। বল যদি আমার গায়েও লাগে, তা ঠেকিয়ে দেব। আমি আউট হব না। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

প্রাথমিকে মূল্যায়নের প্রশ্ন গাইড ব্যবসায়ীদের কাছে!

প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের ‘জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন (এনএসএ) ২০২২’-এ অনেক নিয়মই আগের মতো নেই। কারিকুলাম প্রণয়নকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে এর আগে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় থাকলেও এবার নেই। আগে প্রশ্নপত্র তৈরি থেকে শুরু করে পুরো প্রক্রিয়া ছিল গোপনীয়তায় ঘেরা। এবার পরীক্ষার আগে নমুনা প্রশ্নপত্র বিদ্যালয়ে পাঠানোর নামে মূলত গাইড ব্যবসায়ীদের কাছেই প্রশ্নপত্র ফাঁস করা হয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। ওই নমুনা প্রশ্নপত্রের আলোকেই জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন প্রস্তুতি সহায়িকা বের করছেন গাইড ব্যবসায়ীরা। শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের ধারণা, মোটা অঙ্কের টাকা পকেটে পুরতেই প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা নমুনা প্রশ্নপত্র তৈরি করে গাইড কোম্পানিগুলোকে পাঠিয়েছেন। সূত্র জানায়, জাতীয় শিক্ষার্থী মূল্যায়ন কার্যক্রমটি শুরু হয় ২০০৬ সালে। এরপর ২০০৮, ২০১১, ২০১৩, ২০১৫ এবং সবশেষ ২০১৭ সালে শিক্ষার্থী মূল্যায়ন হয়েছে। করোনার কারণে দীর্ঘ ৫ বছর পর এই মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল মঙ্গলবার। দেশের ৯০ উপজেলার ১ হাজার ৬০০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (সরকারি, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা, কিন্ডারগার্টেন, উচ্চ বিদ্যালয়-সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ মাদ্রাসা-সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশুকল্যাণ প্রাথমিক বিদ্যালয়, এনজিও ও ব্র্যাক স্কুল) দুই শিফটে এই পরীক্ষা হবে। আগে বিশ্বব্যাংকসহ অন্য দাতা প্রতিষ্ঠানগুলো মূল্যায়ন প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত ছিল। এবার ইউনিসেফ কারিগরি সহায়তা দিচ্ছে। সূত্র: কাল বেলা।

রমজানে আমদানিতে ব্যয় হবে ২.৫ বিলিয়ন ডলার, ক্রাইসিস সেল খুলছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ব্যবসায়ীরা যখন নিত্যপণ্যের এলসি খুলতে সমস্যায় পড়ছেন, তখনই আগামী মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে চাহিদা মেটাতে সাতটি ভোগ্যপণ্য আমদানিতে ২.৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করতে হবে বলে হিসাব করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। দেশে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের এলসি খুলতে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেল’ গঠন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। গতকাল বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এ কথা জানান। এছাড়া, ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যাগুলো যাতে সরকারকে জানাতে পারেন, সেজন্য বড় ব্যবসায়ীদের নিয়ে একটি কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করবে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। মদানি-রপ্তানিসহ সার্বিক ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ-সংক্রান্ত বিষয়ে বেসরকারি খাতের ব্যবসায়ীদের নিয়ে গঠিত ‘বাণিজ্য সহায়ক পরামর্শক কমিটি’র সভায় তিনি এ কথা জানান।সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এলসি খুলতে ব্যবসায়ীদের সমস্যা হওয়ার কথা স্বীকার করেন বাণিজ্যমন্ত্রী। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

আইএমএফ’র ঋণ পেতে আরও শর্ত বাস্তবায়ন করছে সরকার
৪৫০ কোটি ডলার চেয়েছে সরকার

ডলারের সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) আরও কিছু শর্ত মানতে যাচ্ছে সরকার।এর মধ্যে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার পুরোপুরি বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি থাকছে। বেসরকারি খাতে জ্বালানি আমদানির অনুমোদন, খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর বিষয়টিও এতে আছে।এছাড়া জ্বালানি পণ্যসহ আমদানি পণ্যের দাম ব্যবহারভিত্তিক করা এবং কর জিডিপি অনুপাত বাড়াতে দীর্ঘমেয়াদি একটি পরিকল্পনা তৈরি করা হবে। এসব শর্ত বাস্তবায়নের ব্যাপারে ইতোমধ্যে সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ব্যাংক খাতে আইএমএফ বড় আকারের সংস্কারের শর্ত দিয়েছে। তবে সরকার থেকে এখনই এ ব্যাপারে বড় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। তবে সীমিত পর্যায়ের সংস্কারের প্রক্রিয়া শুরু করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর।

চলছে শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের শেষ সময়ের দৌড়ঝাঁপ

নেতৃত্বপ্রত্যাশীদের দীর্ঘ চার বছরের অপেক্ষা শেষে আগামীকাল মঙ্গলবার রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছাত্রলীগের ৩০তম জাতীয় সম্মেলন। ফলে আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনের শীর্ষ দুই পদ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ইচ্ছুক নেতাদের শেষ মুহূর্তের লবিং-তদবির আরও জোরদার রয়েছে। আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের সুদৃষ্টির আশায় দৌড়ঝাঁপ করছেন পদপ্রত্যাশীরা। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী প্রতি দুই বছর পরপর ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন হওয়ার কথা। তবে বিভিন্ন কারণে মেয়াদপূর্তির দুই বছর পর এবারের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ কারণে এবার সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীর উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা বেশি দেখা যাচ্ছে। আরেকদিকে সম্মেলনস্থলেই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণার গুঞ্জন রয়েছে। সে কারণে আগামী দিনে সংগঠনের দায়িত্বে কারা আসছেন- সেটা নিয়ে পদপ্রত্যাশী নেতাদের পাশাপাশি অনেকের মধ্যেই বিশেষ কৌতূহল দেখা দিয়েছে। তবে নেতৃত্ব বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সংগঠনের সাংগঠনিক অভিভাবক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন সংশ্নিষ্টরা। সূত্রমতে, পদপ্রত্যাশী নেতাদের অনেকগুলো বিষয়ও আলোচনার উঠে আসছে। বিশেষ করে কোন নেতার বিরুদ্ধে কী কী অভিযোগ রয়েছে, কার পারিবারিক ও রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড কী- এ বিষয়েও খোঁজ-খবর নিচ্ছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। অনেকের ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগেকার ভূমিকাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্তমান পদপ্রত্যাশীদের অনেকেই ওই সময় ‘ক্ষমতার পালাবদল’ হচ্ছে আশঙ্কা থেকে ছাত্রলীগের পদ-পদবি নিতে তেমন একটা আগ্রহ দেখাননি। সূত্র; সমকাল

‘ব্যাংকে টাকা আছে, গুজবে কান দেবেন না’ – শেখ হাসিনা

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের এক জনসভায় বলেছেন ব্যাংকগুলোতে টাকা নেই বলে ইচ্ছাকৃত-ভাবে ‘গুজব’ ছড়ানো হচ্ছে। এ জন্য তিনি তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপিকে দায়ী করেন। “গুজব ছড়িয়ে ছড়িয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করে। আপনার দয়া করে গুজবে কান দেবেন না। ওরা মিথ্যা কথা বলে, এটা ওদের অভ্যাস। গুজবটা সত্য কি না সেটা দেখবেন,” বলেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন ব্যাংকে টাকার কোন সংকট নেই। যারা ব্যাংকে টাকা তুলতে যাচ্ছে তাদের সবাই টাকা তুলতে পারছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে ঘরে না রাখার জন্য সতর্ক করে দেন শেখ হাসিনা। “টাকা তুলে এনে ঘরে রাখবেন, বালিশের নিচে তোষকের নিচে রাখবেন, না হয় আলমারিতে রাখবেন। তখন সে টাকা তো চোরেও নিয়ে যেতে পারে।” চট্টগ্রামের পোলোগ্রাউন্ড মাঠে শেখ হাসিনা প্রায় ৪৫ মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তার সরকারের সাফল্যের পাশাপাশি ছিল বিরোধী বিএনপির সমালোচনা।শেখ হাসিনা চট্টগ্রামে এই সমাবেশ এমন এক সময়ে করলেন যখন আগামী ১০ই ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশ নিয়ে রাজনৈতিক উত্তাপ বেড়েছে। সমাবেশ করার জন্য বিএনপি ১০ই ডিসেম্বর তারিখটি কেন বেছে নিয়েছে সে প্রশ্ন তুলেছেন শেখ হাসিনা। সুত্র: বিবিসি বাংলা।

 

১০ ডিসেম্বর কী হবে?

ঢাকায় একটি কাজ ছিল নোয়াখালীর আরিফুল ইসলামের। আগে ভেবেছিলেন, ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা শেষে ১০ ডিসেম্বরের দিকে আসবেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছেন। আরও আগে এসে গেছেন ঢাকায়, কাজ সেরে ১০ ডিসেম্বরের আগেই নোয়াখালীতে ফিরে যেতে চান তিনি। ঢাকায় থাকা আশফাকুল হকের স্কুল পড়ুয়া মেয়ের পরীক্ষা চলছে। ১০ ডিসেম্বরও পরীক্ষা রয়েছে। সেদিন ঢাকার পরিস্থিতি কী দাঁড়াবে, তা নিয়ে উৎকণ্ঠা রয়েছে তার।গত কিছু দিন ধরেই সাধারণ মানুষের আলোচনায় রয়েছে ১০ ডিসেম্বর। সে দিন কী হবে, তা নিয়ে কৌতূহল যেমন রয়েছে, তা ছাপিয়ে উঠছে উদ্বেগ।ঢাকার শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমত আরা জলি বললেন, “বাসে উঠবেন কিংবা অফিসে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে চায়ের টেবিলে কথা বলবেন, দেখবেন আলোচনায় উঠে আসে- ১০ ডিসেম্বর কী হবে?”আর সবার অন্যদের মতো উদ্বেগ ফুটে উঠল এই শিক্ষার্থীর কথায়ও।“বিএনপি নেতা কিংবা সরকারের মন্ত্রীদের কথা-বার্তা যা মিডিয়াতে প্রতিদিন দেখছি, তাতে বোঝা যাচ্ছে যে, ৯/১০ তারিখ ঝামেলা হবে। এমনিতে এখন রাতের বেলা দেখবেন বিভিন্ন পাড়ায় পুলিশ ও সাদা পোশাকে সদস্যদের আনাগোনা বেড়েছে। এটা তো স্বাভাবিক নয়।”রাজনৈতিক নেতাদের কথামালায় আগামী ১০ ডিসেম্বর এখন হয়ে উঠেছে দেশে আলোচনা কেন্দ্রবিন্দু, যা অনেকটাই ফিরিয়ে আনছে দুই দশক আগের আব্দুল জলিলের ‘ট্রাম্প কার্ডের’ স্মৃতি। সূত্র: বিডি নিউজ