টনসিলের ব্যথা দূর করার উপায়
এখন আবহাওয়া বদলের সময়। অনেকেরই দেখা দিচ্ছে জ্বর, সর্দি-কাশির সমস্যা। অনেকের আবার সর্দি-কাশি ছাড়াও গলার ভিতরে প্রবল ব্যথার অনুভূতি হতে পারে। ঢোক গিলতে গেলে খুব কষ্ট হয়।
এই ব্যথা সাধারণত টনসিলে ইনফেকশনের কারণে হয়ে থাকে। এই সমস্যা যেকোনো বয়সে, যেকোনো সময়ে হতে পারে। গলার দুই পাশে উপরের দিকে গোলাকার পিণ্ডের মতো যেটি দেখা যায়, সেটাই হলো টনসিল। এটি শরীরের গুরুত্বপূর্ণ একটি কোষ বা টিস্যু।


টনসিলের সংক্রমণের জন্যে গলা, নাক, কিংবা মুখ হয়ে শরীরে প্রবেশ করা জীবাণু বা ভাইরাসই দায়ী। এই সংক্রমণের ফলে যদি টনসিলে প্রবল ব্যথা হয় তখন ওষুধ কিংবা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া দরকার। তবে ওষুধ না খেয়েও টনসিলের এই ব্যথা ঘরোয়া কিছু উপায় দিয়েও সারিয়ে তোলা সম্ভব।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘হিন্দুস্তান টাইমস’র এক প্রতিবেদনে টনসিলের ব্যথা সারিয়ে তোলার উপায়গুলো জানানো হয়েছে। এবার আসুন জেনে নেই, সেই উপায়-
লবণ-পানিতে গার্গল: সামান্যগলা ব্যথা শুরু হলে যে কাজটি প্রথমেই করা উচিত, তা হলো সামান্য উষ্ণ গরম পানিতে লবণ দিয়ে কুলকুচি অথবা গার্গল করা। লবণ টনসিলের সংক্রমণ রোধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, উষ্ণ লবণ-পানি দিয়ে গার্গল করলে গলায় ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণও অনেকটাই কমে যায়।
মধু সহযোগে গ্ৰিন-টি: এক কাপ গরম পানিতে আধা চামচ গ্ৰিন-টি আর এক চামচ মধু দিয়ে ১০-১২ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এবার ধীরে ধীরে চুমুক দিয়ে ওই চা পান করুন। গ্ৰিন-টি তে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা সব রকম ক্ষতিকর জীবাণু নির্মূল করে। দিনে ৩ থেকে ৪ কাপ এই মধু-চা পান করুন, উপকার পাবেন।
আদা-চা: এক কাপ পানিতে এক চামচ আদা কুচি আর দুই চামচ চা দিয়ে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে অন্তত ২ থেকে ৩ বার এটি পান করুন। আদার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি ইনফালামেন্টরি উপাদান টনসিলের সংক্রমণে বাধা দেয়। এর সাথে সাথে গলার ব্যথা কমিয়ে দিতেও এটি অত্যন্ত কার্যকরী।
সারাদিন/০৬ ডিসেম্বর/এমবি