নয়াপল্টনেই ১০ ডিসেম্বর সমাবেশ করবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৫:০১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২২

সংগৃহীত ছবি-

আগামী ১০ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আমাদের পূর্বঘোষিত ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশ নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে। সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। আমরা সরকারকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেছেন, বিভাগীয় গণসমাবেশ ১০ ডিসেম্বর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই হবে। সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে তার জন্য সরকারই দায়ী থাকবে। আমরা সরকারকে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

মির্জা ফখরুল বলেন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিমেন্টের ব্যাগে করে বোমা নিয়ে গিয়ে বিএনপির কার্যালয়ে রেখে আসে। পরে তারা বিএনপির কার্যালয়ে থেকে বোমা উদ্ধারের নামে নাটক করে। বিএনপির কার্যালয়ে থেকে দলের সদস্যদের দেওয়া মাসিক চাঁদা ও ব্যাংকের চেক বই নিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, তারা বর্বোরচিত ভাবে টিয়ার শেল নিক্ষেপ ও লাঠি চার্জ করে। এ হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া অসংখ্য নেতাকর্মী ও সাংবাদিক আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের খবর পেয়ে যখন আমি নয়াপল্টনে উপস্থিত হয় তখন তারা আমাকেও কার্যালয়ে ঢুকতে দেয়নি।

Nagad

বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ হামলা চলাকালে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির কার্যালয়ে প্রবেশ করে দলীয় চেয়ারপার্সনে কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করে, নির্বাচনের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং কম্পিউটারের হার্ডডিস্ক নিয়ে যায়।

এদিকে, রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গতকাল বুধবার বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের পর আজ বৃহস্পতিবারও চলছে কড়াকড়ি। নয়াপল্টন ও এর আশপাশের এলাকায় একাধিক চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। আইডি কার্ড দেখেই পুলিশ এসব এলাকায় জনসাধারণকে ঢুকতে দিচ্ছে।

কড়াকড়ির বিষয়ে আজ সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বলেছেন, ‘নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় একটি ক্রাইমসিন, এখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিশেষজ্ঞ টিম কাজ করছে। এ কারণেই সবার প্রবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে।’

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এবং ড. আব্দুল মঈন খান।

বুধবার নয়াপল্টনে সংঘর্ষের পর রাতে বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযান শেষে বিএনপির কার্যালয় থেকে ১৬০ বস্তা চাল, খিচুড়ি, রান্নার উপকরণ এবং অবিস্ফোরিত ১৫টি বোমা উদ্ধারের কথা জানানো হয়।

সারাদিন. ৮ ডিসেম্বর. আরএটি