আর্জেন্টিনার জার্সি পরা সেই যুবকের ‘পরিচয় মিলেছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২২

রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের পাশে আর্জেন্টিনার জার্সি পরা সেই যুবকের ‘পরিচয় মিলেছে’। ওই যুবকের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর আজ বৃহস্পতিবার তার পরিচয় জানায় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আর্জেন্টিনার জার্সি পরা অস্ত্রধারী ওই ব্যক্তির নাম মাহিদুর রহমান। আনসার সদস্য হিসেবে তিনি পল্টন থানায় দায়িত্ব পালন করছেন।

আনসারের নির্দিষ্ট পোশাক ছাড়া দায়িত্ব পালন করায় তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএমপির ডিবি প্রধান বলেন, ‘কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে? আমিও তো সিভিল পোশাকে দায়িত্ব পালন করি। জানমাল রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা যেকোনো সময় যেকোনো ধরনের পোশাক পরে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, নয়াপল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় পুলিশের পাশে বন্দুক হাতে নিয়ে ছিলেন আর্জেন্টিনা দলের জার্সি পরা ওই যুবক। পুলিশের হাত থেকে কিছু একটা নিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে ঢিল ছুড়তেও দেখা যায় তাকে।

ওই ভিডিও ও ছবি ভাইরাল হওয়ার পর এ নিয়ে কথা বলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার। আজ দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় সামনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে এ বিষয়ে অফিশিয়ালি জানানো হবে।’

উল্লেখ্য, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ নানা দাবিতে দেশের ৯টি বিভাগীয় শহরে সমাবেশ করে বিএনপি। আগামী ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় মহাসমাবেশ করার কথা রয়েছে দলটির। তবে সমাবেশের স্থান নিয়ে সরকার ও বিএনপির মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

Nagad

বিএনপি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাইলেও সরকারের পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান বা যেকোনো মাঠে করার কথা বলা হয়। বিএনপি নয়াপল্টনেই সমাবেশ করতে অনড় অবস্থানে আছে। এ নিয়ে বিতর্ক ও আলোচনার মধ্যেই বুধবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় একজনের মৃত্যু ও অনেকেই আহত হয়েছেন।

এরপর বিএনপি কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাসহ অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর থেকে নয়াপল্টন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে নয়াপল্টন এলাকাকে ‘ক্রাইম জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

সারাদিন. ৮ ডিসেম্বর. আরএ