পদ্মা সেতু দেখতে গিয়ে কোম্পানীগঞ্জের ছাত্র তিন মাস নিখোঁজ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের এক স্কুল ছাত্র গত তিন মাস ধরে নিখোঁজ রয়েছে। এতে তাদের পরিবারের সদস্যরা উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। তার সন্ধান ও ফিরে পেতে তাদের পরিবারের সদস্যরা থানায় জিডি করেছে।
নিখোঁজ তৈহিদুল ইসলাম তামিম (১৪) উপজেলার চরপার্বতী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কলিম উদ্দিন মুন্সী বাড়ির মো.জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং স্থানীয় চৌধুরীহাট বায়তুল সৌরভ কেজি স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
নিখোঁজ স্কুল ছাত্রের ফুফু হাছিনা আক্তার লাভলী জানান, গত ১২ সেপ্টেম্বর রোববার বিকেল থেকে তামিম নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২৯ সেপ্টেম্বর একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। যাহার জিডি নং-১৭২৬।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে লাভলী জানান, কোম্পানীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পর জানতে পারি আমাদের পাশের হলুদ বেপারী বাড়ির লাতুর ছেলে ব্যাটারি চালিত রিকশাচালক মাসুম (১৭) আমার ভাতিজা তামিমকে পদ্মা সেতু দেখার কথা বলে ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে বের করেন। আমার ভাতিজা তার দাদির ব্যবহৃত একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয় পদ্মা সেতু দেখার উদ্দেশে রিকশা চালক মাসুমের সাথে। পরে মাসুম ও তার বাবা মোবাইলটি ফেনীর দাগনভূঞা বাজারে একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়। বিষয়টি আমরা জানতে পেরে এলাকাবাসীর সহায়তায় মাসুম ও তার বাবা লাতুকে আটক করা হয়। লাতু তার ছেলে মাসুম আমার ভাতিজা তামিম কে বের করে দিবে বলে আমাদের স্বজনদেরকে নিয়ে চট্রগ্রাম, ভৈরব ও কুমিল্লার লাঙ্গলকোট যায়। এ সময় তারা পিতা-পুত্র একেকবার একেক কথা বলে। একপর্যায়ে লাতু লাঙ্গলকোট উপজেলা থেকে তার ছেলে মাসুমকে কৌশলে বাগিয়ে দেয়। এ ঘটনার পর থেকে লাতু ও তার ছেলে বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার লাতু ও তার ছেলে মাসুমের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি। তাই এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাদেকুর রহমান সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নম্বর ও তারিখ জানতে চান। জিডি নম্বর ও তারিখ জানালে তিনি এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে মন্তব্য করেন।