নয়াপল্টনের ঘটনায় কূটনৈতিক মিশনগুলোতে চিঠি দিয়েছে সরকার
রাজধানীর নয়াপল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রধান কার্যালয়ের সামনে গত ৭ ডিসেম্বর দলটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের বিষয়ে সরকার ঢাকায় থাকা কূটনৈতিক মিশনগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। গত ১২ ডিসেম্বর পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিএনপির নয়াপল্টনের কার্যালয়ের সামনে ৭ ডিসেম্বর দলটির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সড়ক অবরোধ করেন। ওই দিন তাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল না। তারা পুলিশের অনুমতিও নেয়নি। অবরোধের কারণে নয়াপল্টন এলাকায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় পুলিশ তাদের সরে যাওয়ার অনুরোধ করে।
কিন্তু বিএনপির বিক্ষোভকারীরা তা অগ্রাহ্য করে পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল ও ককটেল নিক্ষেপের পাশাপাশি যানবাহন ভাঙচুর শুরু করেন। তাদের হামলায় পুলিশের ৪৯ জন সদস্য আহত হন, এরমধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
চিঠিতে বলা হয়, সেই ঘটনায় দুঃখজনকভাবে একজন পথচারী নিহত হয়েছেন জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা করেছিল বিএনপি। দলটির নেতাদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা উচিৎ ছিল। কিন্তু তারা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন না বরং তাদের উদ্দেশ্য ছিল অশান্তি সৃষ্টি করে অসাংবিধানিক শক্তিকে ক্ষমতায় আনা। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কোনো রকম ঝুঁকি নেয়নি।
আরও বলা হয়, যথা সময়ে পুলিশের কার্যকর পদক্ষেপের কারণে জনগণের জানমালের বড় ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো গেছে। বেপরোয়া সহিংসতার পরিকল্পনা ও পুলিশের ওপর হামলায় ইন্ধন থাকায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে চিঠিতে বলা হয়, ওই দুই সিনিয়র নেতাসহ অন্যদের নামে চারটি মামলা রয়েছে। ৮ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
পুলিশের ওপর হামলার পরিকল্পনায় তাদের সম্পৃক্ততার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে পরবর্তীতে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়। আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন এবং কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সারাদিন. ১৩ ডিসেম্বর