‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, আমরা কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমরা জনগণের সঙ্গে ছলচাতুরী কি করলাম? জনগণকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াদা করেছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি। আমরা কথা দিয়েছি, কথা রেখেছি।
শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এ দাবি করেন। দলটির ২২তম কাউন্সিল উপলক্ষে গঠিত স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটি এ সভা করে।
সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমরা স্বপ্নের পদ্মা সেতু করেছি। কর্ণফুলী টানেল হচ্ছে। ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন হবে। এতোকিছুর পরও ছলচাতুরি কোথায় করলাম আমরা?
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি তদবির করে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার চেষ্টা করে। যুক্তরাষ্ট্র যাতে নিষেধাজ্ঞা দেয় বিএনপি কোমর বেঁধে সে চেষ্টা করেছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ নেই।
আওয়ামী লীগই প্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছে বলে এ সময় মন্তব্য করে তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, তারা গণতন্ত্র গিলে খেয়েছে, এতো বছর আমাদের গণতন্ত্র ছিল না। আমাদের সঙ্গে চাতুরি করেছে, আমরা কারও সঙ্গে চাতুরি করিনি। আমরা কারও বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করিনি, হত্যা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি।
লোডশেডিং হওয়ার কথা থাকলেও হচ্ছে না উল্লেখ করে কাদের বলেন, এই যে একটা বিশ্বকাপ। বিকেল চারটা, রাত ৯টায়, রাত এগারোটায়, রাত একটায়। একদিনে চারটা করে খেলা। সবশেষ। আজ তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ। আগামীকাল ফাইনাল। এই পর্যন্ত কোথাও কি লোডশেডিং হয়েছে? অথচ লোডশেডিং হওয়ার কথা ছিল।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ৭১ এর যে সংকট এক রকম, আজকের আমাদের সংকটা আরেক রকম। তখন আমাদের জনসংখ্যা ছিল কম, তারপরও সমাজ ছিল ঐক্যবদ্ধ। এখন জনসংখ্যাও বেশি, আমাদের আয়ও অনেক বেড়েছে।
তিনি আরও বলেন, তদবির করে নিষেধাজ্ঞা দিতে চেষ্টা করে, যুক্তরাষ্ট্র ২০ দেশের ৭০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ নেই। আমীর খসরু মাহমুদ সাহেব কোমরে আটঘাট বেঁধে একেবারে ওয়াশিংটন গেছেন বাংলাদেশকে নিষেধাজ্ঞা দিতে। আজকে নিষেধাজ্ঞায় আমরা জর্জরিত, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধ এবং নিষেজ্ঞায় সারা দুনিয়া তাল-মাটাল অবস্থা। মন্দার মধ্যে আমরা এখনো ঠিকে আছি।