‘ক্ষমতায় থাকার জন্য আ. লীগ বিভিন্নভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে’
ক্ষমতায় থাকার জন্য আওয়ামী লীগ বিভিন্নভাবে মিথ্যার আশ্রয় নিচ্ছে। তারা ইতিহাসকেও বিকৃত করছে-বলে জানিয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের আচার-আচরণ ও কথা-বার্তার সঙ্গে সত্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।। বিএনপির গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ১৯৭২ থেকে ৭৫ সময়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। সে সময় তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করে, গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে সংবিধানকে ছুড়ে ফেলেছিল। আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, বিএনপি যখনই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি দেয় সরকার বলে আমরা ভায়োলেন্স করব। অথচ, আওয়ামী লীগের আমলে রক্ষীবাহিনী তৈরি করে দেশের ২০ হাজার মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করা হয়েছিল। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছিল এই আওয়ামী লীগের আমলেই।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ঢাকা বিভাগের সমাবেশ থেকে আমরা ১০ দফা দিয়েছিলাম। যার মূল কথা ছিল, এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বাতিল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। দেশের মানুষ যাতে ভোটের মাধ্যমে প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
বিএনপি রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘তিনি একটি দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কী করে এমন কথা বলেন? এ ধরনের কথা বলে দেশের জনগণকে আর বিভ্রান্ত করতে পারবেন না। যারা দিনের ভোট রাতে করে গত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, তাদের মুখে এমন কথা মানায় না। দেশের রাষ্ট্র কাঠামো ধ্বংস করেছে আওয়ামী লীগ।’
মানববন্ধনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমান উল্লাহ আমান বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছেন। কিন্তু, সে আশায় গুড়েবালি। আমরা বলছি, ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন প্রক্রিয়ার কথা আপনাদের ভুলে যেতে হবে। বাংলাদেশে নির্বাচন হলে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হতে হবে। আর সেটা যদি প্রধানমন্ত্রী না করেন, তবে ৫২, ৬৯, ৯০ এর মতো আরেকটি গণঅভ্যুত্থান ঘটিয়ে নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। তারপর নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে। তাতে জনগণ তাদের পছন্দের দলকে নির্বাচিত করবে। সে দল সরকার গঠন করবে। আর সে সরকার হবে বিএনপি সরকার।’
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন—মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ অনেকে।