বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাওতাবাজি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৭:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২২

বিএনপির মুখে মানবাধিকারের বুলি ‘ভাঁওতাবাজি’ বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়।

মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজে (বিআইআইএসএস) আলোচনা সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ কোনো চাপে নেই।’

‘বিস গবেষণা সম্মেলন’- শীর্ষক এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিআইআইএসএস।

১০ ডিসেম্বরের আগে আমেরিকা বাংলাদেশে যে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে, সে বিষয়ে এক প্রশ্নের তিনি বলেন, ‘এটি তাদের দায়িত্ব। যদি তাদের লোক এখানে আসে এবং আহত হয়, তাহলে দূতাবাসের দায়িত্ব নিতে হয় না। এটি ভুল নয়।’

বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন,‘ সেটা ওদের দায়-দায়িত্ব এড়ানোর জন্য। কারণ, তাদের লোক যদি আসে, কেউ যদি আহত হয়; সেটার দায়-দায়িত্ব তারা (দূতাবাস) নিতে চায় না।’

এ সময় প্রশ্ন করা সাংবাদিকের উদ্দেশে পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আপনি কি দেশে কোনো আতঙ্ক দেখেন? তাহলে এটা নিয়ে আপনি এত আতঙ্কিত কেন? যেটা শোনেন এক কানে, আরেক কানে বের করে দেন।’

Nagad

বিএনপি যে ২৭ দফা দিয়েছে, তার ১৪ দফায় গুম, খুন ও মানবাধিকার রক্ষার কথা বলেছে। এ বিষয়ে মন্ত্রীর মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘২০০২ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বিএনপির শাসনামলে দেশে হত্যা, গুম, খুন হয়েছে। তখন ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছে। অপারেশন ক্লিন হার্টের নামে ৫৫ জন মানুষকে মারা হয়েছে। একজন রাষ্ট্রদূতের ওপর বোমা হামলা হয়। তিনি তখন প্রাণে বাঁচলেও অনেকেই মারা যান। সে কারণে বিএনপির মুখে মানবাধিকার একটি ভাঁওতাবাজি। এটা আমাদের কাছে হাসির খোরাক ছাড়া আর কিছু নয়।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমাদের লোকজন গিয়ে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট করতে চায়। তারা সেখানে গিয়ে বলে তাদের বয়স ১৮ বছরের কম। এটা বললে তারা প্রথমে আশ্রয় পায়। পরে বয়স কমিয়ে পাসপোর্ট চায়। এটা অনৈতিক। আর এটা না দিলে সমালোচনা শুরু করে।’

এর আগে আলোচনা সভায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কূটনীতিতে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিয়েছি। সেগুলো হলো—অর্থনৈতিক কূটনীতি, জনকূটনীতি এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা। আমরা এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। কেননা, এটা ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়।’

তিনি বলেন, ‘বিআইআইএসএস আমাদের নানা সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আগামী দিনে আরও গবেষণা করবে বলে আমরা আশা করি।’

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শেখ পাশা হাবিব উদ্দিন। সভাপতিত্ব করেন বিআইআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত কাজী ইমতিয়াজ হোসেন।

সারাদিন / ২০ ডিসেম্বর