আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২২

রাস্তা চওড়া করা
ভোটের আগে অর্থমন্ত্রীর আসনে হাজার কোটি টাকার প্রকল্প

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সংসদীয় আসনে চারটি আঞ্চলিক সড়ক চওড়া করতে ১ হাজার ২৩ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। প্রকল্পটি এমন সময়ে নেওয়া হলো যখন সরকার অর্থনৈতিক সংকটের কারণে ব্যয় কমাতে মনোযোগী। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশে ২০২৩ সালের শেষ অথবা ২০২৪ সালের শুরুতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার আগে রাস্তা চওড়া করার এই প্রকল্প ভোটের ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীকে সুবিধা দেবে। যদিও চড়া মূল্যস্ফীতির মধ্যে মানুষ যখন কষ্টে, তখন অর্থ মন্ত্রণালয় থেকেই ভর্তুকি কমানোর চাপ দেওয়া হচ্ছে। এ কারণে রেকর্ড হারে বেড়েছে জ্বালানি তেলের দাম। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুতের পাইকারি দর বাড়ানোর পর খুচরায় মূল্যবৃদ্ধির প্রক্রিয়া চলছে। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় গত ২২ নভেম্বর রাস্তা চওড়া করার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়। সূত্র জানায়, সভায় অন্তত তিন সচিব বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের প্রকল্প নেওয়ার বিপক্ষে মত দেন। আবার অনেকে পক্ষেও ছিলেন। পরে প্রকল্পটি অনুমোদন পায়। সূত্র: প্রথম আলো

নেতৃত্বে বড় পরিবর্তন আসছে না

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় কোনো পরিবর্তনের আভাস নেই। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় পরিবর্তন আনতে চান না দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে দলের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ থেকে পাঁচ-সাতজন নেতা বাদ পড়তে পারেন। সম্পাদকমণ্ডলীর কয়েকজন নেতার পদোন্নতির সম্ভাবনা রয়েছে।দলের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা কালের কণ্ঠকে এমন তথ্য জানিয়েছেন।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরই মধ্যে সম্মেলন প্রস্তুতির কাজ গুছিয়ে আনা হয়েছে। সূত্র; কালের কণ্ঠ

আলোচনায় সাধারণ সম্পাদক
আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন শনিবার । সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনকালীন পরিস্থিতি রাজপথে বিরোধী দলকে মোকাবিলাসহ নানা বিবেচনায় আনা হচ্ছে নেতৃত্ব

উপমহাদেশের প্রাচীন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক জাতীয় সম্মেলন আগামী শনিবার। এ সম্মেলনে সবার দৃষ্টি কে হচ্ছেন দলের পরবর্তী সাধারণ সম্পাদক। বর্তমানে টানা দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করা ওবায়দুল কাদের পুনরায় আরেক মেয়াদে থাকছেন নাকি নতুন কাউকে শেখ হাসিনা রানিংমেট হিসেবে বেছে নেবেন- এ চমক দেখার অপেক্ষায় সংগঠনটির তৃণমূলের লাখো কোটি নেতা-কর্মীসহ দেশবাসী। এ নিয়ে আলোচনা দলের ভিতরে-বাইরে। সবকিছু পরিষ্কার হবে শনিবার বিকালের সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে। এর আগে সকালে সম্মেলন উদ্বোধন করবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। দলের নীতিনির্ধারকরা জানিয়েছেন, সভানেত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাই থাকছেন তা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। বরাবরের মতো এবারও সারা দেশ থেকে আগত কাউন্সিলররা আওয়ামী লীগকে পরিচালনার ভার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় টানা দশম বারের মতো সভানেত্রী হিসেবে নির্বাচিত করা হবে উপমহাদেশের অন্যতম দক্ষ রাজনীতিক শেখ হাসিনাকে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

আমদানিতে প্রায় ৯ বিলিয়ন ডলারের মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রি!

আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বিল অব এন্ট্রিকে (আগামপত্র) বিবেচনা করা হয় আমদানীকৃত পণ্য বন্দরে পৌঁছার প্রমাণপত্র হিসেবে। এতে চালানে আসা পণ্যের বিস্তারিত তথ্য লিপিবদ্ধ করা থাকে, যার ভিত্তিতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আসা পণ্য পরীক্ষা ও শুল্কায়ন করে। এরপর তা যে ব্যাংকে পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছিল, সেখানে জমা দিতে হয়। নিয়ম রয়েছে, আমদানি মূল্য পরিশোধের চার মাসের মধ্যে পণ্য দেশে আসতে হবে। মূলত পরিশোধকৃত মূল্যের বিপরীতে যথাযথভাবে পরিমাণ পণ্য দেশে আসার প্রমাণ হিসেবেই এ বিল অব এন্ট্রি জমা দিতে হয়। উল্লিখিত চার মাসের মধ্যে জমা দিতে না পারলে সংশ্লিষ্ট এলসির বিপরীতে বিল অব এন্ট্রিকে মেয়াদোত্তীর্ণ বলে গণ্য করা হয়। দেশে এখন প্রতি বছরই মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রির সংখ্যা বাড়ছে। বাড়ছে এসব বিল অব এন্ট্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণও। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রির সংখ্যা ৬ হাজার ৯৬১। এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের পুঞ্জীভূত পরিমাণ ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ডলার। ২০১৩ সাল থেকে এ-সংক্রান্ত হিসাব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সংরক্ষণ করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এর মধ্যে আগের কিছু তথ্যও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।তথ্য অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রির সিংহভাগই সরকারি প্রতিষ্ঠানের ঋণপত্র-সংশ্লিষ্ট। ৮৯৩ কোটি ৩৩ লাখ ডলারের মোট ওভারডিউর মধ্যে শুধু বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনেরই (বিপিসি) রয়েছে ৫৬ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত সংস্থাটির জ্বালানি তেল আমদানিতে ৮৭০ মেয়াদোত্তীর্ণ আগামপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ৫০০ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ডলার। অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের রয়েছে ৩০ শতাংশের বেশি। ব্যক্তি খাতের আমদানিকারকদের মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অর্থের পরিমাণ ১১৯ কোটি ৮৪ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৪২ শতাংশ।বিপুল পরিমাণ অর্থের বিল মেয়াদোত্তীর্ণ বা ওভারডিউ হয়ে পড়া সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংক-সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য হলো আপাতদৃষ্টিতে এর মানে দাঁড়ায়, যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে, তার সমমূল্যের পণ্য দেশে আসেনি। অথবা এলেও তা ব্যাংককে জানানো হয়নি। আবার পণ্য এলেও কাস্টমসে কোনো ভুলভ্রান্তির পর তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে সংশোধন করেনি। তবে মোটাদাগে ব্যাংকিং বিধি অনুযায়ী এর অর্থ দাঁড়ায়, যে পরিমাণ অর্থ পরিশোধ হয়েছে, তার সমপরিমাণ মূল্যের পণ্য আসেনি। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে পণ্য দেশে আসা বা বিদেশে পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের তা বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানোর নিয়ম রয়েছে। চার মাস বা ১২০ দিনের মধ্যে আমদানির উৎস থেকে পণ্য দেশে না এলে কিংবা রফতানি গন্তব্যে পাঠানোর জন্য জাহাজীকরণ না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ড্যাশ বোর্ডে তা মেয়াদোত্তীর্ণ বিল অব এন্ট্রি হিসেবে গণ্য হয়। সূত্র: বণিক বার্তা।

গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সুপারিশ অর্থ মন্ত্রণালয়ের
অর্থনীতিবিষয়ক সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠক

গ্যাস, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল এবং সারের সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে সরকার। মূল্যস্টম্ফীতি ও জনসাধারণের ওপর বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে পণ্য ও সেবার দাম নির্ধারণ করা হয়। ভোক্তা পর্যায়ে মূল্য সহনশীল রাখতে দীর্ঘদিন ধরেই এসব খাতে ভর্তুকি দিয়ে আসছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে এগুলোর দাম বাড়লে দেশেও তার প্রভাব পড়ে। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের ঊর্ধ্বগতির কারণে ভর্তুকির পরিমাণও বেড়ে যাচ্ছে। ফলে চাপের মধ্যে দেশের সার্বিক অর্থনীতি। এতে করে সংকটে পড়েছে বাজেট ব্যবস্থাপনা। সামগ্রিক বিষয় বিবেচনায় জ্বালানি তেলের পর এবার গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে ভর্তুকির চাপ কমানোর প্রস্তাব করেছে অর্থ বিভাগ। গতকাল মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আর্থিক, মুদ্রা ও মুদ্রা বিনিময় হার-সংক্রান্ত সমন্বয় কাউন্সিলের বৈঠকে এ সুপারিশ করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এ বিভাগটি। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী, পরিকল্পনামন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও অর্থ, বাণিজ্য, কৃষি ও পরিকল্পনা সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
এতে আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, মূল্যস্টম্ফীতি, রেমিট্যান্সসহ বিভিন্ন সূচকের হালনাগাদ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়। এ বৈঠকের পর বাজেট ব্যবস্থাপনা ও সম্পদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। এতে চলতি অর্থবছরের অর্থনৈতিক ও বাজেট বাস্তবায়নের নানা দিক ও আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রাক্কলন নিয়ে আলোচনা হয়। সূত্র: সমকাল

বাণিজ্য
আসছে নির্বাচনী বড় বাজেট
বৈশ্বিক সংকটের কারণে অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মধ্যে আরেকটি বড় বাজেট করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। মূলত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে নতুন অর্থবছরের বাজেট সাজাতে বলেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম ‍মুস্তফা কামাল। গতকাল সচিবালয়ে কো-অর্ডিনেশন কাউন্সিলের বৈঠকে বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও দেশের বর্তমান বাস্তবতাকে মাথায় রেখে আসন্ন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়নের নির্দেশ দেন অর্থমন্ত্রী। একই সঙ্গে বাজেট মনিটরিং ও সম্পদ কমিটির বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়।অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, অর্থ মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি ও চলতি অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব তুলে ধরেন বাজেট প্রণয়নের সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকর্তারা। অর্থনীতিতে এখন চার চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করেন তারা। এগুলো হলো: উচ্চমূল্যস্ফীতি, মুদ্রার বিনিময় হারের অস্থিরতা, প্রবাসীদের পাঠানো আয় বা রেমিট্যান্স ও ভর্তুকির চাপ। সূত্র; দৈনিক বাংলা।

তিন মাসে তারল্য কমেছে ২৭,১৫১ কোটি টাকা

অস্বাভাবিকভাবে কমেছে ব্যাংক খাতের তারল্য। চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই তিন মাসে তারল্য কমেছে ২৭ হাজার ১৫১ কোটি টাকা।গত বছরের জুন শেষে ব্যাংকে মোট তারল্য ছিল ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯২৯ কোটি টাকা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর তা কমে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ৪ হাজার ৭৭৮ কোটি টাকায়। তবে গত অক্টোবরে এসে তারল্য কিছুটা বেড়েছে।ওই সময়ে মোট তারল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ১৫ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকায়। এ হিসাবে গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এই চার মাসে তারল্য কমেছে ২৬ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনে ব্যাংকিং খাতে তারল্য কমার জন্য চারটি কারণকে শনাক্ত করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এগুলো হচ্ছে-করোনার পর হঠাৎ করে চাহিদা বৃদ্ধি, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহে বাড়তি প্রবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম বাড়ার কারণে আমদানি ব্যয়ের মাত্রাতিরিক্ত প্রবৃদ্ধি ও ব্যাংক থেকে নগদ টাকা তুলে গ্রাহকরা নিজেদের হাতে রাখার প্রবণতা বেড়ে যাওয়া। সূত্র: যুগান্তর

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য কি ‘দ্বৈত শাসনের ঝুঁকি’ তৈরি করবে?

বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রকাঠামো, তাদের ভাষায়, মেরামত করার যে ২৭ দফা ঘোষণা করেছে তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা। বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের একটি অংশ বেশ কছর ধরেই বলে আসছে প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য দরকার।তাদের সেই চিন্তা বিএনপির রূপরেখায় উঠে এসেছে। কিন্তু রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য কিভাবে হবে এবং এর সম্ভাব্য পরিণতি কী হতে পারে? সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ফের বড় ছাড় : অর্থনীতিতে তৈরি করবে বড় ধরনের সংকট

খেলাপি ঋণসংক্রান্ত উদ্বেগ কিছুতেই নিরসন হচ্ছে না। কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না খেলাপি ঋণের। নানা পদক্ষেপ গ্রহণ ও খেলাপিদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও আসছে না কোনো ইতিবাচক ফল। উল্টো নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে খেলাপির পরিমাণ। ঋণ পরিশোধে ব্যবসায়ীদের আবারও বড় ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার কালবেলায় প্রকাশিত ‘ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ফের বড় ছাড়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন থেকে মেয়াদি ঋণের কিস্তির অর্ধেক পরিশোধ করলেই ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আর খেলাপি করা হবে না। কিস্তির বকেয়া টাকা পরিশোধের সময়ও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এখন থেকে ব্যাংক ও গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ঋণের মেয়াদ শেষের পর আরও দুই বছর বকেয়া ঋণ পরিশোধ করা যাবে। রোববার বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ প্রান্তিকের ঋণের কিস্তির ৫০ শতাংশ ডিসেম্বরের মধ্যে পরিশোধ করলে ঋণগ্রহীতা খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত হবেন না। এর আগে গত জুন মাসে এক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছিল, কিস্তির ৭৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করলে গ্রাহককে খেলাপি করা হবে না। সূত্র: কাল বেলা

ভিক্ষাবৃত্তি বেড়েছে ঢাকায়, হাত পাতছেন শ্রমজীবীরাও

‘ব্যাগ নেন ভাই, ব্যাগ নেন, অনেক ভাল ব্যাগ, মাত্র ৩০ ট্যাকা’; বাসের ভেতরে কয়েকবার হাঁকডাক দিয়ে কয়েক যাত্রীর কাছে গিয়ে নূর হোসেন বললেন, ‘দেই একটা? হাতে নিয়া দেখেন, ভাল লাগলে নিয়েন’। সবাই তার ব্যাগ নেড়েচেড়ে দেখলেন, নিলেন না কেউ। হতাশ হয়ে নূর হোসেন বলতে লাগলেন- ‘সংসার টানতে পারি না। এই কাজ করেও কিছু হয় না, ব্যাগ না নিলে এই অসহায়কে পারলে ১০ ট্যাকা দিয়ে সাহায্য কইরেন।”তিন দশক আগে ভোলার স্বরাজগঞ্জ থেকে নদীভাঙ্গনে নিঃস্ব হয়ে ঢাকায় আসা নূর হোসেনের সঙ্গে কথা হল নিউ মার্কেট এলাকায়। মিরপুরগামী একটি বাসে উঠে ব্যাগ বিক্রি করতে না পেরে সাহায্য চাইছিলেন তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ