সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের হ্যাট্রিক, নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল

নোয়াখালী প্রতিনিধি:নোয়াখালী প্রতিনিধি:
প্রকাশিত: ৬:১৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

ফাইল ছবি-

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় তার নিজ জেলা নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল হয়েছে। চলেছে মিষ্টি বিতরণও।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে কাউন্সিলরদের সমর্থনে সর্বসম্মতিক্রমে ওবায়দুল কাদের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর নোয়াখালী থেকে আওয়ামী লীগের একমাত্র সভাপতি নির্বাচিত হন আব্দুল মালেক উকিল। এরপর সেখান থেকে আর কেউ দীর্ঘ মেয়াদে এত বড় পদ পাননি। এ কারণে দল মত নির্বিশেষে জেলার সাধারণ মানুষও বেশ উচ্ছ্বসিত।

ওবায়দুল কাদেরকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। পরে জেলা শহরে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করা হয়। অপরদিকে, ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকা কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটেও আনন্দ মিছিল হয়েছে। চলেছে মিষ্টি বিতরণও।

একই সময় জেলা শহর মাইজদীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল বের করেন নেতাকর্মীরা। এছাড়া নোয়াখালীর এই কীর্তি সন্তান তিন বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও শুভেচ্ছা-অভিনন্দনের পোস্ট ভাইরাল হয়ে গেছে।সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরের হ্যাট্রিক জয়ে তাঁকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম চৌধুরী সেলিম, সহ-সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন, সাধারণ সম্পাদক শহিদ উল্যাহ খান সোহেল, নোয়াখালী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন প্রমূখ।

বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সামসুদ্দিন নোমান বলেন, আমাদের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করায় উপজেলাবাসীর পক্ষ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই অভিনন্দন।

Nagad

উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বড় রাজাপুর গ্রামে ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ওবায়দুল কাদের জন্মগ্রহণ করেন। নোয়াখালী-৫ আসন থেকে (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) তিনি চারবার সাংসদ নির্বাচিত হন। রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে তাদের নাম ঘোষণা করেন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

১৯৮১ সাল থেকে আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন শেখ হাসিনা। দলে এখনও তার বিকল্প তৈরি হয়নি বলে মনে করেন নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের ২১তম সম্মেলনে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ওবায়দুল কাদের। এবার টানা তৃতীয়বারের মতো এই পদে দায়িত্ব পেলেন তিনি।এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, ছাত্রলীগ, মৎস্যজীবী লীগ, শ্রমিক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, তাঁতি লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সারাদেশের সাংগঠনিক জেলা থেকেও নেতাকর্মীদের ঢল নামে সম্মেলনে।

সারা দেশে দেশে কাউন্সিলর ও ডেলিগেটের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও সভাপতিমণ্ডলীর পরিষদের সদস্যরা সম্মেলনে যোগ দেন। এ ছাড়া দলের সাধারণ সম্পাদকসহ দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

প্রথম অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। শেখ হাসিনা আছেন বলেই পদ্মা সেতু হয়েছে, যা দেখে বিশ্ব অবাক। তাই বাংলাদেশের উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই।

সারাদিন. ২৪ ডিসেম্বর