দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির পাখির ছবি দেখে মুগ্ধ দর্শনার্থীরা

শাহজালাল রোহান;শাহজালাল রোহান;
প্রকাশিত: ৭:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ছবি দেখেন শিল্পী হাশেম খান ছবি: শাহজালাল রোহান

‘দ্য উইংস অব ভাইব্র্যান্স’ শিরোনামের রাজধানীতে শুরু হয়েছে ডা. আব্দুস সামাদ আলিম (ইমু)র একক প্রদর্শনী। যেখানে স্থান পেয়েছে বিগত সাত-আট বছরের পৃথিবীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান থেকে ক্যামেরাবন্দি করা অসংখ্য পাখির ছবি। দেশ-বিদেশের গহিন অরণ্যে মাইলের পর মাইল হেটে, অনেক প্রতীক্ষার পর তোলা এসব ছবি দেখে প্রথম দিনের দর্শনার্থীরা মুগ্ধ হয়েছেন।

মনোমুগ্ধ হয়ে-ছবি দেখছেন আগত এক দর্শনার্থী। ছবি: শাহজালাল রোহান।

শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টা থেকে এই প্রদর্শনী শুরু হয়। তখন থেকেই বেশ দর্শনার্থীদের ভিড় লক্ষ করা গেছে। তবে প্রথম সেশন শেষে মূল উদ্বোধন হয় দুপুর ২ টায়। তখন এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েন ও ঢাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত লি জ্যাং-গুন।

ছবি দেখতে আসা পাখি বিশেষজ্ঞ ও আলোকচিত্রী ইনাম আল হক বলেন, ‘দ্য উইংস অব ভাইব্র্যান্স’ প্রদর্শনীতে স্থান পাওয়া ছবিগুলো আমি মুগ্ধ হয়েছি। সেই সাথে আমি বলতে চাই, সব আলোকচিত্রীকে একটি কথা মনে রাখতে হবে ছবি তুলতে গিয়ে যেনো পাখিদের স্বাভাবিক যাত্রায় জেনো কোনোভাবে বাধা সৃষ্টি না করি। কারণ আমার একটি ভালো ছবি তোলার চাইতে, ঐ পাখিটার ছানাটা বেঁচে থাকুক। এটা সবাই খেয়াল রাখবেন।

পাখি বিশেষজ্ঞ ও আলোকচিত্রী ইনাম আল হক।

আমরা ইচ্ছা করলেই পাখির সুন্দর ছবি-তোলা সম্ভব। এই ছবিগুলোর জন্য ডা. ইমুর প্রশংসা করতেই হয়।

শিল্পী হাশেম খান। ছবি -শাহজালাল রোহান

প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিল্পী হাশেম খান বলেন, আমরা যদি সংস্কৃতি মনা হই, তাহলে দেশ, দেশের জনগণের অনেক উপকারে আসবে। এজন্য সবাইকে শিল্পী হতে হবে, আলোকচিত্রী হতে হবে, বিষয়টি তা নয়, সবার মাঝে শিল্পবোধটা থাকলেই হবে।

Nagad

অনুষ্ঠানে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক আলোকচিত্রী আনসার উদ্দিন খান পাঠান বলেন, এই বার্ড ফটোগ্রাফিতে এসে মনটাই ভালো হয়ে গেলো। অসাধারণ সব ছবি। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে, প্রকৃতি বাঁচলেই মানুষ বাঁচবে। প্রকৃতির প্রশংসা করা অর্থই মানুষের প্রশংসা করা। এই প্রকৃতিকে ভালোবাসা মানে মানুষকেই ভালোবাসা। আর এই পাখি হলো প্রকৃতির অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। যার সৌন্দর্য অপরিসীম। এই পাখি যখন নানা রকম অঙ্গভঙ্গি করে, নানান ভাবে বসে, এটি মানুষের মধ্যে নির্মল আনন্দ দেয়।

পাখির এ আলোকচিত্র প্রদর্শনী দেখতে এসেছিলেন বিদেশীরাও। ছবি: শাহজালাল রোহান।

এদিকে রাজধানীর গুলশান ২ এর বে’স এজ ওয়াটার -এর এজ গ্যালারীতে দুই দিনব্যাপী এই ডা. আব্দুস সামাদ আলিম (ইমু) -এর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী দ্যা উইংস অব ভাইব্র্যান্স (Solo Bird Photography Exhibition) চলবে। এই প্রদর্শনীতে ৬৫ প্রজাতির ৮৯ টি ছবি প্রদর্শন হচ্ছে। দর্শনার্থীরা বিনামূল্যে এই পাখির ছবি গুলো দেখতে পারছে। পাখি সম্পর্কে জানতে পারছেন। এই ছবি গুলো তিনি বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা সহ, থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালদ্বীপ, ভারতের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান থেকে তুলেছেন।

ডা. আব্দুস এ আলিম (ইমু)।

ডা. আব্দুস সামাদ আলিম (ইমু), একজন ক্লিনিক্যাল নিউরোলজিস্ট এবং পেশায় ব্যবসায়ী, কিন্তু হৃদয়ে একজন আগ্রহী ফটোগ্রাফার, অনেক প্রতিভার অধিকারী একজন মানুষ। যিনি ইতো মধ্যে বেশ ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফিতে সুনাম কুড়িয়েছেন।

প্রথম দিনে বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থী ও পাখি প্রেমীরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় এই প্রদর্শনীটি উপভোগ করছেন। রোববার (২৫ ডিসেম্বর) ও এই প্রদর্শনী সকাল ১১ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। এই প্রদর্শনীতে ৬৫ প্রজাতির ৮৯ টি ছবি প্রদর্শন হচ্ছে।

সারাদিন/ ২৪ ডিসেম্বর/ এসআর