বডিবিল্ডার জাহিদ ইস্যু, ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৮:৫১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে আজ মঙ্গলবার ছিল বঙ্গমাতা ও বঙ্গবন্ধু কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনাল পূর্ব সংবাদ সম্মেলন। সেই সংবাদ সম্মেলনেও উঠে এসেছে বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের লাথি দেয়ার প্রসঙ্গ।

সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি অত্যন্ত আলোচিত। মূল সারির গণমাধ্যমেও উঠে এসেছে বিষয়টি। যে কারণে বিষয়টি নজরে এসেছে যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেলেরও।

বডিবিল্ডার জাহিদ হাসানের লাথি ইস্যুতে মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটির কথা বলেছেন, ‘এটি এখন অত্যন্ত আলোচিত বিষয়। আমরা বিষয়টি জেনেছি এবং একটি তদন্ত কমিটি করেছি।’

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন জানান, মন্ত্রণালয়ের দুইজন কর্মকর্তা এই তদন্ত কমিটির সদস্য। তাদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজীবন নিষিদ্ধ হলেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন জাহিদ। তার দাবি, ক্ষমার চাওয়ার কোনো কারণ নেই।

গণমাধ্যমে তিনি বলেন, ক্ষমা চাওয়া তো দূরের কথা। তারা আমাকে কী ব্যান করবে, আমি এই ফেডারেশনকে বয়কট করছি।

Nagad

উল্লেখ্য, জাতীয় শরীর গঠন প্রতিযোগিতার পুরস্কারে লাথি দিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেন বডিবিল্ডার জাহিদ হাসান শুভ। তার পুরস্কারে লাথি মারার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ভাইরাল হয়।

জাতীয় বডিবিল্ডিংয়ে জাহিদ হাসান চার বার জাতীয় চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। এবার তিনি রানার আপ হয়েছেন। জাহিদের দাবি যিনি প্রথম হয়েছেন তার তুলনায় তিনি অত্যন্ত যোগ্য। বিচারকরা সঠিক ফলাফল দেননি। এতে অসন্তোষ হয়ে তিনি পুরস্কার মঞ্চের পর প্রাপ্ত পুরস্কার লাথি দেন। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পর্যবেক্ষণ, ‘সাদা চোখে বা সাধারণ দৃষ্টিতে দুইজনকে দেখলে (প্রথম যিনি হয়েছেন ও জাহিদ) পার্থক্যটা স্পষ্ট। আমরা যেহেতু টেকনিক্যাল ব্যক্তি নই, সুতরাং মন্তব্য করা যায় না। যারা বিচারক তারা নিশ্চয়ই কোনো মানদণ্ডে এটি ঠিক করেছেন।’