শান্ত-মুশফিকের জোড়া সেঞ্চুরিতে বাংলাদেশের স্বস্তির দিন

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৭:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২৫

গলেতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্টে দিনের শুরুটা ছিল যেখানে চাপের, দিনশেষে সেই দৃশ্যপট পাল্টে নিয়েছে বাংলাদেশ। নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত জোড়া সেঞ্চুরিতে প্রথম দিনের খেলা শেষে স্বস্তিতে দিন পার করেছে টাইগাররা। ৯০ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯২ রান।

দীর্ঘ দেড় বছরের অপেক্ষা শেষে টেস্ট ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ শতক তুলে নিয়েছেন অধিনায়ক শান্ত। অন্যদিকে, ৯ মাস পর মুশফিক পেয়েছেন নিজের ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। দুজনে মিলে গড়েছেন ২৪৭ রানের অপরাজিত জুটি, যা বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ এবং সামগ্রিকভাবে ষষ্ঠ সর্বোচ্চ জুটি।

দিনের শুরুটা ভালো হয়নি সফরকারী বাংলাদেশের। দলীয় ৫ রানে এনামুল হক বিজয় শূন্য রানে আউট হন। এরপর মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও দুজনকেই ফিরিয়ে দেন অভিষিক্ত লঙ্কান স্পিনার থারিন্দু রত্ননায়েকে। মুমিনুল ২৯ ও সাদমান ১৪ রান করেন।

তিন উইকেট হারিয়ে দলীয় ৪৫ রানে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এরপর শান্ত-মুশফিক ব্যাট হাতে হাল ধরেন। ধৈর্য, দৃঢ়তা ও ক্লাসে তারা রচনা করেন দারুণ এক জুটি। প্রায় সাড়ে তিন রান হারে রান তুলতে তুলতে দিনের শেষ পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে আর কোনো সুযোগ দেননি।

শান্ত ছিলেন আগ্রাসী, বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে খেলেছেন তাঁর স্বভাবসিদ্ধ শটে। অন্যদিকে মুশফিক খেলেছেন একেবারে ক্যালকুলেটেড ইনিংস। সিঙ্গেলসের ওপর ভরসা রেখে, ঝুঁকিপূর্ণ শট পরিহার করে ১৭৬ বলে করেছেন শতক। ইনিংসে মাত্র ৫টি চারের দেখা মেলে, যা তার ধৈর্য ও পরিস্থিতি বোঝার প্রমাণ।

মুশফিকের ইনিংসটি এসেছে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ব্যর্থতা ও সমালোচনার পর ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারও ছিল চাপে। সেই জায়গা থেকে এই শতক তাকে দিয়েছে আত্মবিশ্বাসের বড় জোগান। গত আগস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৯১ রান করার পর এটাই তার প্রথম ফিফটির বেশি ইনিংস।

Nagad

অন্যদিকে, শান্ত ২০২৪ সালে টেস্টে ব্যর্থতার মধ্যেই কাটালেও, চলতি বছর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো শুরু করেন। তবে টেস্টে সেঞ্চুরি পেতে তার অপেক্ষা ছিল ১৫ মাসের। সবশেষ সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০২৩ সালের নভেম্বরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। লঙ্কানদের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় শতক।

শ্রীলঙ্কার পক্ষে থারিন্দু রত্ননায়েকে সর্বোচ্চ ২টি এবং আসিথা ফার্নান্দো একটি উইকেট নিয়েছেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২৯২/৩ (৯০ ওভার)
নাজমুল হোসেন শান্ত: ১৩৬*, মুশফিকুর রহিম: ১০৫*
উইকেট: রত্ননায়েকে ২টি, ফার্নান্দো ১টি