লাঙলেই আস্থা রংপুরে, বিপুল ভোটে বিজয়ী জাতীয় পার্টির মোস্তফা

রংপুর সংবাদদাতা:রংপুর সংবাদদাতা:
প্রকাশিত: ১০:৩৬ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২২

ছবি : ফোকাস বাংলা।

রংপুর সিটি করপোরেশনে টানা দ্বিতীয়বার নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে নগরপিতা নির্বাচিত হয়েছেন। মোট ২২৯টি কেন্দ্রে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট।

ভোটের দিনে শীতের সকালে ভোটারদের উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে থাকে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত আধুনিক যন্ত্রে ভোটদানে ধীরগতির ছাড়া তেমন অভিযোগ মেলেনি। দলীয় প্রতীকের এ ভোটে মেয়র পদে বিএনপি ছাড়াই নয়জন মেয়র পদে লড়াই করেছেন। বিজয়ী হলেন সেই মোস্তফাই।

গতকাল রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত প্রাপ্ত বেসরকারি তথ্য অনুসারে, ২২৯ কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ কেন্দ্রে লাঙল নিয়ে লড়াই করা মো. মোস্তাফিজুর রহমান পেয়েছেন ৫৯ হাজার ২৫৫ ভোট। তার নিকটকম প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে হাতপাখ নিয়ে মো. আমিরুজ্জামার পেয়েছেন ২১ হাজার ১৯৬ ভোট। নৌকা প্রতীকে হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া পেয়েছেন ৯ হাজার ৮২৫ ভোট।

মোস্তফা তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামি শাসনতন্ত্র আন্দোলনের আমিরুজ্জামান পিয়ালের চেয়ে ৯৬ হাজার ৯০৬ ভোট বেশি পেয়েছেন। পিয়াল পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন। তিনি পেয়েছেন ৩৩ হাজার ৮৮৩ ভোট আর আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ২২ হাজার ৩০৬ ভোট পেয়ে চতুর্থ হয়েছেন।

রাত ১২টার পর রিটার্নিং অফিসার আব্দুল বাতেন বেসরকারিভাবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেন। এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হলেন মোস্তফা।

নির্বাচিত ঘোষণার পর পরই জাপার নেতাকর্মী ও মোস্তফার সমর্থকরা তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে আনন্দ উল্লাস করেন।

Nagad

বিজয়ী হওয়ার পর রাতে মোস্তাফিজার রহমান তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, এই বিজয় কেবল তাঁর নয়, সব নগরবাসীর।

প্রসঙ্গত, এবার রংপুর সিটি করপোরেশনের ৩৩টি ওয়ার্ডের ২ লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং ২ লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পেয়েছেন। আর তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার রয়েছেন একজন। এবারের নির্বাচনে মোট প্রার্থী ২৬০ জন। এর মধ্যে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। নগরীর ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র পদে ৯ প্রার্থী হলেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মন্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।