আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে : প্রধানমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:২৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৭, ২০২৩

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবগঠিত জাতীয় পরিষদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ছবি: পিআইডি

আওয়ামী লীগ যতদিন ক্ষমতায় আছে, মানুষের কষ্ট দূর করার জন্য যা যা করণীয় সেটা করে যাবে। আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় মানুষের পাশে আছে-বলে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বাংলার মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যা যা করণীয় সেটা আমরা করব। শুধু সরকারই নয়, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সব সময় মানুষের পাশে থাকে এবং আছে।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নবগঠিত জাতীয় পরিষদ, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি এবং উপদেষ্টা পরিষদের প্রথম যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি বলে আওয়ামী লীগ নাকি দেশের সর্বনাশই করেছে। তাহলে মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়ন কি তাদের সর্বনাশ করা? এগুলো কি মানুষের ক্ষতি সাধন করা? তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে, ক্ষতিটা দেখলো কোথায়? একই দিনে ১০০ সেতু ও ব্রিজ এবং ১০০টি সড়ক উন্নত ও উদ্বোধন করা কি সর্বনাশ? এগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরা উচিত।

গত ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২২ তম জাতীয় সম্মেলনে দশমবারের মতো দলটির সভাপতি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। টানা তৃতীয়বারের মতো সাধারণ সম্পাদক হন ওবায়দুল কাদের। পরে দলীয় সভাপতি কাউন্সিলরদের দেওয়া ক্ষমতা বলে জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ এবং উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মনোনীত করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই বিএনপি-জামায়াত ২০১৩ থেকে ১৫ সাল পর্যন্ত অগ্নিসন্ত্রাস করেছিল। তাদের ঘৃণা জানাতে হবে। তারা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। হত্যা, খুন ও গুম জিয়াউর রহমান শুরু করেছিল। খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র মিলে ২১ আগস্ট থেকে শুরু করে এত মানুষ হত্যা করেছে এবং অত্যাচার নির্যাতন করেছে। ভবিষ্যতে যদি একটা মানুষকেও তারা ক্ষতিগ্রস্ত করে, তাহলে যে হাত দিয়ে আগুন দেবে, ওই আগুনে সেই হাত পুড়িয়ে দেয়া হবে। যে হাতে মানুষ খুন করবে, তাদের উপযুক্ত শিক্ষা দেয়া হবে। এই কথাটা যেন সকলের মনে থাকে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আছি জনগণের পাশে আর তারা আছে ধ্বংস করতে। এই দেশটাকে নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না। আমরা কাউকে দেশ নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে দেশ চলবে। এই মাটিতে (টুঙ্গিপাড়া) বসে এই প্রতিজ্ঞা নিচ্ছি যে, বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি কেউ যাতে গতিরোধ করতে না পারে, তার জন্য আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যন্ত প্রতিটি নেতা–কর্মী সজাগ থাকবে, দৃঢ় থাকবে। যে কোনো অপকর্মের প্রতিরোধ করবে। এই প্রতিজ্ঞা নিয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলব।

Nagad

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, গ্রামপর্যায়ে মানুষের উন্নয়ন হচ্ছে। আমরা সবার জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় কোনো মানুষ গৃহহীন থাকবে না। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যেও আমরা আমাদের দেশের মানুষের যাতে কষ্ট না হয় সে পদক্ষেপ নিয়েছি। কোনো জমি অনাবাদি থাকবে না। সেজন্য সাধারণ মানুষকে আহ্বান জানাই। আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী যেন আমরা নিজেরাই সব কিছু উৎপাদন করতে পারি, সে লক্ষ্যে কাজ চলছে।

এর আগে পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি হিসেবে দুপুর ১টা ১০ মিনিটে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত মধুমতি নদীতে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল বোট ল্যান্ডিং র‍্যাম্প, মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনসহ গোপালগঞ্জ, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ২৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সন্ধ্যায় তিনি সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।