‘ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কারও ছবি দেয়া যাবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১০:২২ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৯, ২০২৩

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় সরকারি টাকায় নির্মিত একটি ম্যুরালে থাকা স্থানীয় সংসদ সদস্য ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছবি অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। নকশা পরিবর্তন করে নির্মিত ম্যুরালে প্রধানমন্ত্রীর ছবির নিচে স্থানীয় সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এবং তার ভাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রুকনের ছবি যুক্ত করা হয়।এমন ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেছে, এটা তো গুরুতর অসদাচরণ।

হাইকোর্ট বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের মূল নকশা অপরিবর্তিত রেখে সেখান থেকে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও তার ভাইয়ের (উপজেলা চেয়ারম্যানের) ছবি অপসারণ করতে নির্দেশ দিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে এসব ছবি অপসারণ করতে বলেছেন আদালত।

রোববার (৮ জানুয়ারি) এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর দ্বৈত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের ছবির ভিত্তিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব’ এর ম্যুরাল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সেই সিদ্ধান্ত মোতাবেক এডিপির অর্থায়নে সুনামগঞ্জের মধ্যনগর ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় এই ম্যুরাল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ম্যুরালের মূল নকশা পরিবর্তন করে বঙ্গবন্ধু ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবির সঙ্গে স্থানীয় এমপি ও তার ভাইয়ের ছবি জুড়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে দুটি গণমাধ্যমেও প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করেন মধ্যনগরের বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদের স্ত্রী আওয়ামী লীগ নেত্রী সাজেদা আহম্মেদ। এর আগে তিনি এ বিষয়ে স্মারকলিপি দিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ‘ত্রয়ী’ নামের ওই ম্যুরাল স্থাপনায় প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। নিচে একই স্থাপনায় সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তার ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।

Nagad