আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৫৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১২, ২০২৩

অর্থবছরের ছয় মাস
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার নিল ৬৬ হাজার কোটি টাকা

গত ৬ মাসে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৬৫ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা ধার করেছে বাংলাদেশ সরকার। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নেওয়া এ ঋণের টাকা থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ৩৩ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকার ঋণ শোধ করেছে সরকার।এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ বাড়লেও কমেছে বেসরকারি ব্যাংকের ঋণ। এতে ২০২২-২৩ অর্থবছরের ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর ২০২২) ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের নিট বা প্রকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩২ হাজার ২৪৯ কোটি টাকা।জারে টাকার প্রবাহ স্বাভাবিক রাখতে সরকারের ট্রেজারি ব্যবস্থাপনার আওতায় বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ শোধের এ কৌশল নেওয়া হয়েছে। কারণ, ২০২২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকে ১ লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা জমা দিয়ে প্রায় ১৩ বিলিয়ন ডলার কিনেছে বিভিন্ন ব্যাংক। এতে ব্যাংকগুলোতে তারল্যসংকট তৈরি হয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকের ঋণ শোধ করা হচ্ছে। চলতি অর্থবছরে সরকার ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। সেই লক্ষ্য অনুযায়ী আগামী জুন পর্যন্ত আরও প্রায় ৬৮ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিতে পারবে সরকার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের জানুয়ারি-জুন সময়ে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিল ৪৮ হাজার ৯৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক যে টাকা বাজারে ছাড়ে, তার পুরোটাই রিজার্ভ মানি বা নতুন টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারকে ঋণ দেয়, ব্যাংকগুলোকে ধার ও পুনঃ অর্থায়ন-সুবিধা দিয়ে থাকে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের টাকা বাইরে ছাড়ার অর্থ উচ্চমানের টাকা (হাই পাওয়ার) বাজারে ছাড়া। কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ বেড়ে গেলে একদিকে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়ে যায়, তাতে চাপ তৈরি হয় মূল্যস্ফীতির। সূত্র: প্রথম আলো

৩৫০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া অনিশ্চিত

ই-কমার্স কম্পানির লোভনীয় অফারের ফাঁদে পড়ে প্রতারিত লাখো গ্রাহকের পাওনা প্রায় তিন হাজার ৫০০ কোটি টাকা ফেরত পাওয়া প্রায় অনিশ্চিত। ১৩টি কম্পানির কাছ থেকে গ্রাহকরা আংশিক টাকা ফেরত পেলেও ১৪টি কম্পানি কোনো টাকাই দেয়নি। হকদের টাকা ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমন্বয়কের দায়িত্বে থাকা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল কমার্স সেল বলছে, গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তবে প্রতারিত গ্রাহকের তথ্য পাওয়া কঠিন। কম্পানিগুলো এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে না। এতে বিপুল অঙ্কের ওই টাকা ফেরত পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।অভিযোগ ওঠা কম্পানির কেউ কেউ আগেই দেশ ছেড়েছেন, কেউ বা গ্রেপ্তার হয়ে এখন কারাগারে। আবার কয়েকটি কম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসব কম্পানির টাকার দায় নিচ্ছে না কেউ। সূত্র: কালের কণ্ঠ

সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
কোথায় দুর্নীতি সুনির্দিষ্ট বলুন
কুইক রেন্টাল না হলে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হতো না

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন হ্রাস করা হয়। মানুষ বিদ্যুৎ পেত না। দিনের পর দিন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার ছিল। ইন্ডাস্ট্রিগুলো চলতে পারত না। আমরা এসে এসব সমস্যার সমাধান করি। কুইক রেন্টাল না হলে মানুষকে বিদ্যুৎ দেওয়া সম্ভব হতো না। গতকাল জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে গণফোরামের মোকাব্বির খান ও সরকারি দলের এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির আমলে এই বিদ্যুতের ওপর দুর্নীতি হয়েছিল বলেই বিশ্বব্যাংক টাকা দেওয়া বন্ধ করেছিল। ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে দুর্নীতির কারণে অর্থ বন্ধ হয়। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

মেয়াদোত্তীর্ণের কাছাকাছি সময়ে গম আমদানি
আমদানিকারকদের দুই দিক থেকে লাভ * মেয়াদোত্তীর্ণ আটায় অধিকাংশ বেকারি বিস্কুট তৈরি হয়

অপেক্ষাকৃত কম দামে কিনতে মেয়াদোত্তীর্ণের কাছাকাছি সময়ের গম আমদানিতে ঝুঁকছেন ব্যবসায়ীরা। দেশে পৌঁছানোর কয়েকদিনের মাথায় এসব গমের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় বেশির ভাগ গম দ্রুত ভেঙে আটা-ময়দা করে বিক্রি করা হয়।পাশাপাশি অধিকাংশ মেয়াদোত্তীর্ণ আটা-ময়দায় তৈরি হয় নিুমানের পাউরুটি ও বিস্কুট, যা বাজারজাত করা হয়। এতে থাকছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। এছাড়া কম দামে গম আমদানির মাধ্যমে উচ্চমূল্যে আটা-ময়দা বিক্রি করে অধিক মুনাফা করছেন একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী।কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি সম্প্রাসরণ অধিদপ্তর, গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপ করে পাওয়া গেছে উল্লিখিত সব তথ্য। জানা যায়, ভাত ছাড়া সব খাদ্যদ্রব্যই আটা-ময়দা থেকে তৈরি। দেশে চাহিদার প্রায় ৯০ ভাগ অর্থাৎ ৬৫ থেকে ৭০ লাখ মেট্রিক টন গম প্রতিবছর বিদেশ থেকে আমদারি করা হয়। এছাড়া গমের সঙ্গে নির্দিষ্ট মাত্রায় ভুট্টা মেশানোর অভিযোগও রয়েছে আটা প্রস্তুতকারকদের বিরুদ্ধে। তবে উচ্চবিত্তের ব্যবহার ও উন্নতমানের বেকারি বিস্কুট তৈরির জন্য উন্নতমানের গমও দেশে আমদানি হয়। তবে তা পরিমাণে খুবই কম। সূত্র: যুগান্তর

চাহিবামাত্র বিপিসির টাকা দিতে পারবে তো ব্যাংকগুলো?

ব্যাংক খাতের সবচেয়ে বড় গ্রাহক প্রতিষ্ঠান বলা হয় বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনকে (বিপিসি)। মেয়াদি আমানত ও নগদ অর্থ হিসেবে দেশের সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় ২৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থ গচ্ছিত রেখেছে বিপিসি। এর মধ্যে কোনো কোনো ব্যাংকে পরিচালন ব্যয় নির্বাহের জন্য শুধু নগদ অর্থ হিসেবেই গচ্ছিত আছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। দেশের ব্যাংক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তীব্র তারল্য সংকটে ভুগছে। এ অবস্থায় বিপিসি কোনো ব্যাংক থেকে প্রয়োজনের মুহূর্তে গচ্ছিত অর্থ একবারে তুলে নিতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পক্ষে তা চাওয়ামাত্র পরিশোধ করা সম্ভব হবে কিনা, সে বিষয়ে সন্দিহান খাতসংশ্লিষ্টরা। বিপিসির সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, গত বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয় ১০ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা দীর্ঘমেয়াদি আমানত হিসেবে জমা রেখেছে বিপিসি, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৩ হাজার ৫৪৬ কোটি টাকা। ব্যাংকগুলোর বাইরে রাষ্ট্রায়ত্ত বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) কাছে গত জুন শেষে বিপিসির দীর্ঘমেয়াদি আমানত ছিল ৩৮২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। বেসরকারি ১২ ব্যাংকে এ সময় স্বল্পমেয়াদি আমানত ছিল ১ হাজার ৮৩১ কোটি টাকার। এর আগে ২০২১ সালের জুন শেষে ২১টি বেসরকারি ব্যাংকে বিপিসির গচ্ছিত স্বল্পমেয়াদি আমানতের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। সূত্র: বণিক বার্তা।

আমদানি ব্যয় কমাতে অধিক সালফারযুক্ত ডিজেল আমদানি করতে চায় বিপিসি

রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা ও দেশের একমাত্র জ্বালানি তেল আমদানিকারক– বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) চলমান ডলার সংকটের মধ্যে– জ্বালানি আমদানির ব্যয় কমাতে, অধিক সালফারযুক্ত ডিজেল আমদানি করতে চায়। বিপিসির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা জানান, সংস্থাটি প্রতিব্যারেল ডিজেল আমদানিতে ৩ ডলার সাশ্রয় করতে, বর্তমানের ৫০ পার্টস পার মিলিয়ন (পিপিএম) এর পরিবর্তে ৫০০ পিপিএম এর বেশি মাত্রার সালফারযুক্ত ডিজেল আমদানির কথা ভাবছে।এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, দেশের ডিজেলের মোট চাহিদার অন্তত অর্ধেক যদি অধিক সালফারযুক্ত আমদানি করা যায়– তাহলে ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক বাদে চলতি বছরে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয় করা যাবে বলে নাম না প্রকাশের শর্তে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানান তিনি।ডিজেলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন (বিএসটিআই) নির্ধারিত সালফারের মানমাত্রা (৩৫০ পিপিএম) শিথিল করতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করেছে বিপিসি। বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আলোচনার জন্য সংশ্লিষ্ট খাতের বিশেষজ্ঞদের সাথে একটি সভাও করবে। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাণিজ্য
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ
অর্থনীতির প্রধান ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি ও ঋণ সংকট
চলতি বছর বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান সমস্যা হবে মূল্যস্ফীতি ও ঋণ সংকট । এ ছাড়া গুরুতর পণ্যমূল্য ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশের ক্ষতি, সম্পদের ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাও অর্থনীতির ঝুঁকির তালিকায় থাকছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন-২০২৩ শীর্ষক প্রতিবেদনে এসব ঝুঁকির কথা উঠে এসেছে।

গতকাল বুধবার এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বের প্রায় ১ হাজার বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন খাতের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। এবার নিয়ে ১৮ বার বৈশ্বিক ঝুঁকি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে গতকাল আন্তর্জাতিক সংস্থাটি ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। প্রতিবেদনে সংস্থাটি শতাধিক দেশের প্রধান পাঁচটি ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে। এতে অর্থনৈতিক ঝুঁকির পাশাপাশি সামাজিক, রাজনৈতিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির বিষয়ও উঠে এসেছে। মূল্যস্ফীতি ও ঋণ সংকটের পাশাপাশি বাংলাদেশের জন্য আরেকটি বড় ঝুঁকি হচ্ছে কৌশলগত সম্পদের ভূ-রাজনৈতিকীকরণ। প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ না করে বলা হয়, বাংলাদেশের বিভিন্ন কৌশলগত স্থানে স্থাপনা নির্মাণে এশিয়ার বৃহৎ দুটি দেশের মধ্যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে। এই প্রতিযোগিতার সুবিধা হচ্ছে, বাংলাদেশ এখন বড় প্রকল্পে সহজেই বিনিয়োগ পাচ্ছে। কিন্তু এই পরিস্থিতি দীর্ঘদিন চললে উন্নয়নের পরিবেশ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

পাঠদান করে বিপদে ৭২৯ স্কুল

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার যদুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১৫ সালে শুরু হয় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান। অতিরিক্ত তিনটি ক্লাস বাড়লেও অবকাঠামোগত উন্নয়ন, অতিরিক্ত শিক্ষক পদায়ন কিংবা কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। আশপাশে মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান অব্যাহত রেখেছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আলী আকবর প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, ‘প্রাইমারির অবকাঠামোতে অতিরিক্ত তিনটি ক্লাস পরিচালনা সম্ভব না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় অতিরিক্ত তিনটি ক্লাসরুম নির্মাণ এবং তিনজন প্যারা শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে পাঠদান অব্যাহত রেখেছি।’ তারা অব্যাহত রাখতে পারলেও একই উপজেলার ভবেরমুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় তা পারেনি। এই বিদ্যালয়ে ২০১৫ থেকে দুই বছর অতিরিক্ত তিন ক্লাসে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হলেও নানা সংকটে পড়ে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষক আবদুল বারিক বলেন, শিক্ষক ও অবকাঠামো না থাকায় তিনটি ক্লাস বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন তারা। এই বিদ্যালয়টির মতো আরও অন্তত অর্ধশত প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত চালু হওয়ার পর বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন শিক্ষা কর্মকর্তারা। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

অচল ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’ বিপাকে হতদরিদ্ররা

কম ভাড়ায় অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে আনা-নেওয়ার জন্য নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বেশ জনপ্রিয়তা পায় ‘গরিবের অ্যাম্বুলেন্স’। তবে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে বিকল হয়ে পড়েছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে অ্যাম্বুলেন্সে রূপ দেওয়া যানবাহনগুলো। এতে দ্রুত সেবা পেতে বিপাকে পড়তে হচ্ছে উপজেলার সাধারণ মানুষকে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকারের উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প এবং জাইকার অর্থায়নে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ থেকে এ অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের পাকা, জামনগর, বাগাতিপাড়া সদর, ফাগুয়াড়দিয়াড় ও দয়ারামপুর ইউনিয়নের প্রতিটিতে একটি করে অ্যাম্বুলেন্স দেওয়া হয়। সূত্র: কালবেলা

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কিভাবে ‘বিতর্কিত’ হয়েছিল?

প্রায় তিন দশক আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল নির্বাচন পদ্ধতি। কার অধীনে নির্বাচন হবে – ক্ষমতাসীন সরকার, নাকি নির্দলীয় একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার? সেই বিতর্কের অবসান হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, যখন ক্ষমতাসীন বিএনপি প্রবল বিক্ষোভের মুখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করে।কিন্তু ২০১১ সালে আওয়ামী লীগ সংবিধান থেকে এই নির্বাচন পদ্ধতি বাতিল করে দেয়। এখন এই বিতর্ক নতুন করে মাথা-চাড়া দিয়ে উঠেছে।নব্বই-এর দশকে আওয়ামী লীগ ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবীদার। কিন্তু ২০২৩ সালে বিএনপি বলছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া তারা নির্বাচনে যাবে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা