পুলিশের সহযোগিতায় স্ত্রীর হাত থেকে রক্ষা, যা বললো ‘আরজে কিবরিয়া’
কক্সবাজারে বেড়াতে গিয়ে ছেলে ও নিজেকে মারধর ও হুমকির অভিযোগে স্ত্রীর বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় জিডি করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জনপ্রিয় আরজে কিবরিয়া। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে তিনি এই জিডি করেন।
এ বিষয়ে -কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। পরে আরজে কিবরিয়া বাদী হয়ে তার স্ত্রী রাফিয়া লোরার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি লিপিবদ্ধ করেন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর সূত্র ধরেই এ ঘটনাটি ঘটেছে বলেও জানান ওসি।
এ বিষয়ে জানতে আরজে কিবরিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি-তবে সন্ধ্যা ৭টা ১২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন আরজে কিবরিয়া। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
‘প্রিয় পরিচিতজন
আমার জ্ঞানত আমি কোনো দিন আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে আলোচনা সমালোচনা হয় এমন কোনো বিষয় নিয়ে কথা বলিনি । আমি বলতেও চাই না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে আমার স্ত্রী । আমি কমবেশি সোশ্যাল মিডিয়ার নেগেটিভিটি ফেস করা মানুষ। আমি জানি একটা সংবাদ যাচাই-বাছাই না করে অনলাইনে ছাড়া যায়। ঘটনা পুরাই উল্টে দেওয়া যায়। কাউকে নিয়ে পাবিলিকলি বাজে কথা বলার আমি পক্ষে না। আমি জানি আমার চির শত্রু বলে যদি কেউ থেকে থেকে তো সে প্রথম এবং একমাত্র টার্গেট করবে আমার চরিত্র এবং পাবলিক ইমেজ। আমি সেটাতে বিন্দুমাত্র ভয় পাই না। আমি ক্ষমা করতে ভালোবাসি। আমার সন্তানদের ক্ষতি যেমন আমি কোনো দিন মেনে নিব না, ঠিক একইভাবে আপনাদের এই ভুলভাল নিউজ তাদের ফিউচারের জন্য কোনো ক্ষতি হোক সেটাও আমি চাই না। প্লিজ। আমি আমার কাছে সৎ এবং কারো প্রতি কোনো অন্যায় করিনি। যারা আমাকে ভালোবাসেন তারা আস্থা রাখুন। দোয়া করবেন।’
আরজে কিবরিয়ার পুরো নাম মো. গোলাম কিবরিয়া সরকার। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে রেডিও জকি (আরজে) হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। টানা ১৬ বছর রেডিওতে কাজ করেছেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের উপস্থাপক হিসেবে। শুদ্ধ ও সাবলীল বাচনভঙ্গি, জীবনঘনিষ্ঠ অনুষ্ঠান হওয়া আর চমৎকার উপস্থাপনের কারণে অল্প সময়েই প্রতিটি অনুষ্ঠানই শ্রোতাদের কাছে জনপ্রিয় হয়েছে।
২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে করোনা মহামারি সময় গড়ে তোলেন সোশ্যাল মিডিয়াকেন্দ্রিক স্টার্টআপ ‘স্টুডিও অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস লিমিটেড’। প্রাথমিকভাবে প্রতিষ্ঠানটি তিনটি প্রজেক্ট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। যার মধ্যে রয়েছে হারানো স্বজন খুঁজে পেতে এবং উপযুক্ত তথ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে পরিবারের কাছে হারানো স্বজনকে তুলে দিতে ‘আপন ঠিকানা’,‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ ও আশপাশে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য জীবন গল্পের শিক্ষামূলক কিংবা অনুপ্রেরণামূলক গল্পগুলো ছড়িয়ে দিতে ‘লাইফ’। ফেসবুকে ‘আপন ঠিকানা’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে হারানো স্বজনদের খুঁজে দিয়ে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আরজে কিবরিয়া। তার ফেসবুক পেজের ফলোয়ার ৮১ লাখ।