আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ২২, ২০২৩

কালিয়াকৈরে ট্রাকচাপায় নিরাপত্তাকর্মী নিহত, প্রতিবাদে ভাঙচুর-মহাসড়ক অবরোধ

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ট্রাকের চাপায় এক পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছেন। আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় আরও তিন শ্রমিক আহত হয়েছেন। এদিকে দুর্ঘটনার পর নিহত ব্যক্তির সহকর্মী শ্রমিকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওই ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেন এবং অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা চন্দ্রা এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করেন। সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ আছে।নিহত নিরাপত্তাকর্মীর নাম আজাদুল হক (৪০)। তিনি গাইবান্ধার গবিন্দগঞ্জ উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের আরব আলীর ছেলে। আজাদুল হক চন্দ্রা এলাকার মাহমুদ জিনস নামের একটি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন।ওই কারখানার শ্রমিক ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকালে আজাদুলসহ কয়েকজন শ্রমিক একসঙ্গে কারখানায় যাচ্ছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো

অদরকারি পণ্যে যাচ্ছে ডলার

দেশে উৎপাদন হচ্ছে এমন অনেক অদরকারি পণ্য আমদানিতে অপচয় হচ্ছে বিপুল অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে এ ধরনের পণ্য আমদানির পেছনেই খরচ হয়ে গেছে মোট আমদানি ব্যয়ের ৪৫ শতাংশ। ওই অর্থবছরে আমদানি হয়েছে প্রায় আট হাজার ৯০০ কোটি ডলারের পণ্য। এর মধ্যে অন্তত চার হাজার কোটি ডলার খরচ হয়েছে এমন সব পণ্য আমদানিতে, যেগুলো অপ্রয়োজনীয় এবং দেশেই উৎপাদন হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, বৈশ্বিক কারণে দেশে বর্তমানে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। ব্যাংকগুলো ঋণপত্র খুলতে খুবই রক্ষণশীল আচরণ করছে। শিল্পের কাঁচামাল, যন্ত্রাংশ ও জরুরি খাদ্যপণ্য আমদানিতে ব্যাঘাত ঘটায় দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে এ ধরনের পণ্যে অ্যান্টিডাম্পিং শুল্ক আরোপ করলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে। একই সঙ্গে দেশি শিল্পের সুরক্ষাও নিশ্চিত হবে। পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআরআইবি) নির্বাহী পরিচালক ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসান এইচ মনসুর বলেন, দেশে পণ্য ডাম্পিং হচ্ছে কি না তা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) একটি সেল থাকা উচিত, যাদের দায়িত্ব হবে দেশে কোন কোন পণ্য ডাম্পিং হচ্ছে বা অপ্রয়োজনীয় পণ্য আসছে কি না তার তদারকি করা। অ্যান্টি ডাম্পিং সম্পর্কিত আইন প্রণয়ন করে ডাম্পিং বন্ধ করতে হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

দুজনকে বিমানবন্দরে টার্গেট করে মহাখালীতে গতিরোধ
র‌্যাবের নামে অপহরণ চেষ্টা
র‌্যাব সদস্যসহ তিনজন আটক, অন্যদেরও খুঁজছে পুলিশ * ভাড়া করা প্রাইভেটকারের চালকও ছিলেন চক্রের সদস্য

জীবিকার তাগিদে ১৪ বছর সৌদি আরব ছিলেন মানিকগঞ্জের সিংগাইরের মো. শহীদুল ইসলাম (৪২)। দেশে ফিরে নিজ এলাকায় শুরু করেন ট্রাভেলস এজেন্সির ব্যবসা। সৌদি আরব থাকার সময় তার বন্ধুত্ব হয় কুমিল্লার মো. তারিকের সঙ্গে। স্ত্রী অসুস্থ হওয়ায় জরুরি ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে দেশে ফেরেন তারিক। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বন্ধুকে বিপদের দিনে সান্ত্বনা দিতে রাত সোয়া ১টার দিকে সিংগাইর থেকে হযরত শাহজালাল (রহ.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছুটে আসেন শহীদুল। সঙ্গে ছিলেন ভাগিনা মো. রিয়াজ। বিমানবন্দর থেকে বন্ধুর সঙ্গে কথা শেষে ভাড়া করা প্রাইভেটকারে রাত ২টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। গাড়িটি মহাখালী ফ্লাইওভারে আসতেই আরেকটি প্রাইভেটকার এসে ফিল্মি স্টাইলে তাদের গতিরোধ করে। সেখান থেকে পরনে র‌্যাব লেখা জ্যাকেট, হাতে পুলিশের সিগন্যাল লাইট ও অস্ত্রসহ তিনজন নেমে আসেন। নিজেদের র‌্যাব সদস্য পরিচয় দেন। অস্ত্র তাক করেন মামা-ভাগিনার দিকে। গাড়ি থেকে নামিয়ে বলা হয় তারা ‘স্বর্ণ চোরাচালানকারী’। একটি হ্যান্ডকাফে আটকে দেওয়া হয় শহীদুল ও রিয়াজকে। শুরু করেন বেদম মারধর। চেষ্টা করেন অপহরণের। এরপর উপস্থিত জনতার প্রচেষ্টায় একজন আটক হন। পরে গ্রেফতার করা হয় এক র‌্যাব সদস্যসহ আরও দুজনকে। এ ঘটনায় শনিবার রাজধানীর বনানী থানায় শহীদুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলা নং-২১। গ্রেফতারকৃতরা হলেন-দিনাজপুর সদরের আরিয়ান আহমেদ জয় (২৩), জামালপুরের সরিষাবাড়ীর আল মোমেন (২৬) ও মানিকগঞ্জের সিংগাইরের মো. ফরহাদ হোসেন (২২)। এ ঘটনায় আরেক আসামি জালাল (২৫) পলাতক রয়েছেন। বনানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আযম মিয়া যুগান্তরকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে তার দাবি, ‘এটি অপহরণ চেষ্টা নয়, ছিনতাই চেষ্টা।’ সূত্র: যুগান্তর

Nagad

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন
বড় পরিবর্তন আসছে না সীমানায়
জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদনের অপেক্ষা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় কোনো পরিবর্তন আসছে না। জনশুমারির চূড়ান্ত প্রতিবেদন হাতে না পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন সীমানায় বড় কোনো পরিবর্তন করতে পারছে না। গত বছরের জুলাইয়ে জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও এখন সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হয়নি। ইসি চূড়ান্ত প্রতিবেদন ছাড়া সীমানা নির্ধারণের কাজে হাত দিতে পারছে না। যদিও বিদ্যমান সীমানায় ১৫০টি আসনে ভোটারের ভারসাম্য নেই। ৩৭ আসনে আঞ্চলিক অখন্ডতা রক্ষা হয়নি। এক উপজেলাকে খন্ড খন্ড করে বিভিন্ন আসনে দেওয়া হয়েছে। ইসির টার্গেট আগামী মে মাসের মধ্যে সীমানা নির্ধারণের কাজ শেষ করা। সে হিসেবে সীমানা নির্ধারণের জন্য মাত্র চার মাস সময় পাচ্ছে ইসি। এ স্বল্পসময়ের মধ্যে সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় পরিবর্তন করাও সম্ভব নয়। তাই পুরনো সীমানা বহাল রেখে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের চিন্তা করছে কমিশন। কেননা সংসদীয় আসনের সীমানা নির্ধারণের নতুন আইনেও পুরনো সীমানা বহাল রেখে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ রয়েছে। ইসির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রায় ছয় মাস হলো জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশের; আমরা চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করার অপেক্ষায় রয়েছি। তবে কবেনাগাদ সেই প্রতিবেদন চূড়ান্ত হবে তা-ও বলা যাচ্ছে না। তবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে ইসি যোগাযোগ রাখছে নিয়মিত। কেননা চূড়ান্ত প্রতিবেদন ছাড়া সীমানায় বড় পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। সূত্র: প্রতিদিন।

দিন ও রাতে তাপমাত্রা বাড়বে

সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়বে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। রোববার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে এ কথা বলা হয়েছে।এতে বলা হয়, নওগাঁ ও মৌলভীবাজারসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, তা কিছু কিছু জায়গায় প্রশমিত হতে পারে। এ ছাড়া শেষরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পরে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বিহার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

প্রাথমিকে এক শিফট চালু নিয়ে বিতর্ক

আগে-পরে কিছু না ভেবে অনেকটা হঠাৎ করেই দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক শিফট চালু করার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। ৪ জানুয়ারি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এ নির্দেশের পর মহাবিপাকে পড়েছেন কর্মকর্তারা।সংশ্নিষ্টরা বলছেন, বাস্তবে এ আদেশ প্রতিপালন করা কঠিন। সব বিদ্যালয়ে এক শিফট করতে গেলে আরও শিক্ষক প্রয়োজন। দরকার হবে বাড়তি ক্লাসরুমেরও। রয়েছে আরও নানা সমস্যা। তবে এ নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে চান না তাঁদের কেউই। ওই আদেশে প্রয়োজনে শিক্ষার্থী কম থাকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে একীভূত করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তারা বলছেন, এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা খুবই কঠিন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোমলমতি শিশুরা পড়ে। রয়েছে প্রাক-প্রাথমিকের খুদেরাও। তাদের পক্ষে এক কিলোমিটারের দূরবর্তী স্থানে গিয়ে প্রতিদিন ক্লাস করা বাস্তবসম্মত নয়। এ সিদ্ধান্তের কারণে ঝরে পড়ার হার (ড্রপ আউট) বেড়ে যাবে। সামাজিক নিরাপত্তার অভাবের কারণে ছাত্রীদের পক্ষেও দূরের স্কুলে গিয়ে পাঠগ্রহণ সব সময় সম্ভব হবে না। এতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যাও কমে যেতে পারে। নষ্ট হবে ছাত্র ও ছাত্রী সংখ্যার ভারসাম্য। উপরন্তু চর, হাওর-বাঁওড় ও পার্বত্য অঞ্চলের মতো দুর্গম এলাকায় এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা প্রায় অসম্ভব। দুই পৃথক বিদ্যালয় একীভূত করা হলে যে বিদ্যালয়ে ক্লাস হবে না, সেই বিদ্যালয়ের ভূমি, ভবন, পুকুর ও অন্যান্য সম্পত্তির রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে হবে- এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর মিলছে না। সূত্র: সমকাল

৬২ হাজার কোটি টাকার তহবিল
ব্যাংক খাত এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলনির্ভর

বেশি সুদের প্রস্তাব দিয়েও গ্রাহকের কাছ থেকে আমানত পাচ্ছে না দেশের অনেক ব্যাংক। আবার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজার (কলমানি) থেকেও চাহিদা অনুযায়ী অর্থের সংস্থান হচ্ছে না। বাড়ানো হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ ধারের প্রধান মাধ্যম রেপোর সুদহারও। এতে ব্যাংকগুলোর তহবিল সংগ্রহ ব্যয় বা কস্ট অব ফান্ড বেড়েই চলছে। যদিও ব্যাংকের আয়ের উৎস বা ঋণের সুদহার স্থির আছে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশেই। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিলগুলোই এখন দেশের ব্যাংক খাতের লাইফলাইন বা বেঁচে থাকার অবলম্বন হয়ে উঠেছে। মুদ্রাবাজারে তারল্যের জোগান বাড়াতে পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের পরিমাণ ও আকার বাড়িয়ে চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। শুধু গত ছয় মাসেই গঠন করা হয়েছে ৬২ হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল। সূত্র: বণিক বার্তা।

কর্ণফুলী গ্যাস কর্মচারীদের জন্য ১৮ লাখ টাকা বোনাস, টাকা কোম্পানির না…

২০২১-২২ অর্থবছরে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ১৮ লাখ টাকা করে মুনাফা বোনাস দিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডে (কেজিডিসিএল)। অথচ এ টাকা দেওয়ার কথা ছিল পেট্রোবাংলাকে। এই অর্থ আয় করা হয় বহুজাতিক কোম্পানি- কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো)’র কাছ থেকে; গ্যাস কোম্পানিটি কাফকো’র কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত সার কোম্পানিগুলোর জন্য বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে উচ্চ দামে গ্যাস বিক্রি করে।একজন বিশেষজ্ঞের মতে, অতিরিক্ত এই অর্থ পেট্রোবাংলাকে না দিয়ে বিইআরসির আদেশ লঙ্ঘন করে নিজদের কাছেই রাখে কর্ণফুলী গ্যাস।জ্বালানি বিভাগের সূত্রগুলো টিবিএসকে জানায়, সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত সার কারখানায় ভর্তুকি মূল্যে গ্যাস সরবরাহ করে। কিন্তু, কাফকো একটি বহুজাতিক কোম্পানি, যা বাংলাদেশ, জাপান, ডেনমার্ক ও নেদারল্যান্ডের সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ উদ্যোগ ও সমর্থনে গঠিত। ফলে কোম্পানিটিকে উচ্চ দরেই গ্যাস কিনতে হয়। ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত কাফকোর থেকে এভাবে আয় করা দুই হাজার ৮৩৪ কোটি টাকা পেট্রোবাংলাকে দেয়নি কর্ণফুলী গ্যাস কোম্পানি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

রুশ ওয়াগনার গ্রুপকে কেন ‘অপরাধী সংগঠন’ ঘোষণা করছে যুক্তরাষ্ট্র

রুশ সেনাদের সহযোগী ভাড়াটে বাহিনী হিসেবে ইউক্রেনে যুদ্ধরত ওয়াগনার গ্রুপকে একটি ‘অপরাধী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ।ইউক্রেনে বর্তমানে এই গোষ্ঠীর প্রায় ৫০,০০০ যোদ্ধা সক্রিয় রয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন কারবি। ওয়াগনার গ্রুপের নেতা হচ্ছেন ইয়েভগেনি প্রিগোশিন – যিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একজন মিত্র। মি. কারবি বলেন, গ্রুপটির যোদ্ধাদের ৮০ শতাংশই নেয়া হয়েছে কারাবন্দীদের মধ্যে থেকে।
ওয়াশিংটন থেকে বিবিসির সংবাদদাতা বার্ন্ড ডেবুসম্যান জুনিয়র জানাচ্ছেন, এই ওয়াগনার গ্রুপকে “বিভিন্ন দেশে সক্রিয় একটি অপরাধী সংগঠন” বলে ঘোষণার ফলে যুক্তরাষ্ট্র এর বিরুদ্ধে ব্যাপকভিত্তিক কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে। আগামী সপ্তাহেই হোয়াইট হাউস এই গ্রুপ এবং তার সহযোগী নেটওয়ার্কগুলোর ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার কথা ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

রেললাইনে বসে ‘গভীর মনোযোগ’ মোবাইল ফোনে, কাটা পড়ল তরুণ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইল ফোন চালাতে মনোযোগী ছিলেন তিন তরুণ; এ সময় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেছে এক জনের। বাকিরা গুরুতর জখম হয়ে ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে।শনিবার রাত ১২টার দিকে পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আমিনুল ইসলাম জানান।নিহত ২০ বছর বয়সী রিমঝিম ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে।আহতরা হলেন- একই এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)। তাদের জেলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ রেললাইনে বসে মোবাইল ফোন চালাচ্ছিলেন। ফোনের দিকে তাদের গভীর মনোযোগ থাকায় তারা ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এ সময় দ্রুতগামী ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই রিমঝিম মারা যান। সূত্র: বিডি নিউজ