ভোলায় নতুন কূপের সন্ধান, দৈনিক মিলবে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস
ভোলা নর্থ-২ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। কূপটি থেকে দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট বা ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপপ্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন।
তিনিবলেন, দেশীয় জ্বালানির উৎস অনুসন্ধানে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে সরকার। এরই অংশ হিসেবে বাপেক্স এর তত্ত্বাবধানে গ্যাজপ্রমের মাধ্যমে টবগী-১, ভোলা নর্থ-২ এবং ইলিশা-১ তিনটি কূপ খনন কার্যক্রম দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
তিনি বলেন, গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভোলা নর্থ-২-এর কুপ খনন কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমে মাটির ৩ হাজার ৪২৮ মিটার গভীরতায় সফলভাবে কূপ খনন কার্যক্রম সম্পন্ন করে। ২৩ জানুয়ারি ভোলা নর্থ-২ কূপ ডিএসটি সম্পন্ন করে এ কুপে গ্যাস সন্ধান মেলে। এ কূপ থেকে প্রতিদিন ২০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জানা যাবে ঠিক কি পরিমাণ গ্যাস মজুদ রয়েছে।
এর আগে গত ৭ জানুয়ারি শাহবাজপুর গ্যাস ক্ষেত্র পরিদর্শনে এসে বাপেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আলী জানিয়েছেন, ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলে বিপুল পরিমাণ তেল-গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সম্ভাবনা যাচাই করতে ভোলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের ১০ জেলায় তেল-গ্যাস অনুসন্ধান করবে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বাপেক্স)।
মো. আলী জানান, এ জরিপ কাজে ব্যয় হবে ২৬৬ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটি অনুমোদন হলেই আগামী অর্থবছরের অক্টোবর থেকে কাজ শুরু করবে বাপেক্স।
বাপেক্সের তত্ত্বাবধানে ভোলা নর্থ-২ কূপ খনন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় কোম্পানি গ্যাজপ্রম। গত ডিসেম্বরে এখানে কূপ খনন কাজ শুরু হয়। কূপটি থেকে দিনে ২ কোটি ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।
চাহিদা না থাকায় অবকাঠামো থাকা সত্ত্বেও ভোলা নর্থ গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস তোলা হচ্ছে না। তবে জ্বালানি সংকটের সময় এই গ্যাস সিএনজি আকারে ঢাকাসহ দেশের অন্য অঞ্চলে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে জ্বালানি বিভাগ।
প্রসঙ্গত, ১৯৯৪-৯৫ সালের দিকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে প্রথম শাহবাজপুর গ্যাস আবিষ্কৃত হয়। পর্যায়ক্রমে সেখানে পাঁচটিসহ জেলার আরও চারটি স্পটে মোট আটটি কুপ খনন করে বাপেক্স। এ বছরের জুলাই মাসে আরও একটি কুপ খননের কাজ শুরু করবে বাপেক্স। এ পর্যন্ত দ্বীপজেলা ভোলায় আটটি কূপে মোট গ্যাস মজুদের পরিমান দাড়িয়েছে ১ দশমিক ৫ টিসিএফ ঘনফুট গ্যাস।