আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০২৩

কাশিমপুর কারাগারে হামলার লক্ষ্য ছিল জঙ্গিদের
বড় হামলা করে আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিল জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। প্রচারের লক্ষ্যে তারা ভিডিও চিত্রও তৈরি করেছিল। চলতি বছরের মধ্যে দেশে বড় ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আত্মপ্রকাশের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছিল নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া। তার আগে প্রশিক্ষিত সদস্যসংখ্যা ৩১৩ করার লক্ষ্যে গোপন এই সংগঠনের নেতারা তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। এ জন্য পাহাড়ের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর শিবিরে বিভিন্ন ব্যাচে সদস্যদের প্রশিক্ষণও শুরু করা হয়। আত্মপ্রকাশের দিন ইন্টারনেটে প্রচারের জন্য সশস্ত্র প্রশিক্ষণের একটি ভিডিও চিত্রও ধারণ করে তারা, যাতে সংগঠনের আমিরসহ গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা ছিলেন।
গ্রেপ্তার জঙ্গিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং তাঁদের আস্তানা থেকে উদ্ধার করা কাগজপত্রের তথ্য–উপাত্ত থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই জঙ্গিদের হামলার লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কে জানতে পেরেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, নতুন এই জঙ্গিদের হামলার একটা লক্ষ্যবস্তু ছিল গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার। এর কারণ হিসেবে জঙ্গিগোষ্ঠীর নেতাদের যুক্তি, এই কারাগারে অনেক জঙ্গি নেতা রয়েছেন। যাঁরা তাঁদের ভাষায় ‘নির্যাতিত মুসলিম বন্দী’। এই বন্দীদের মুক্ত করার নামে তাঁরা হামলা চালিয়ে সংগঠনের আত্মপ্রকাশ করতে চেয়েছিলেন। সূত্র: প্রথম আলো।

জমির নিবন্ধন ও নামজারিতে হয়রানি-দুর্ভোগ বেড়েছে
জমির কেনাবেচা নিয়ে লাল ফিতার নতুন দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে। জমির নিবন্ধন ও নামজারিতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেওয়ার নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি হয়েছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা। এতে একদিকে জমি কেনাবেচায় হয়রানি-দুর্ভোগ বাড়ছে, তেমনি নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন কমে যাওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জমি কিনতে গিয়ে জটিলতায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কম্পানিগুলো। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, সরকারকে দুর্বল করতে নেওয়া হয়েছে এ পরিকল্পনা। শিল্পায়নে আগ্রহী হচ্ছে কম্পানিগুলো, বাড়ছে এ খাতে বিনিয়োগ। সারা দেশে কর্মসংস্থান করতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে কম্পানিগুলো। কিন্তু জমি কিনতে গিয়ে বাধছে বিপত্তি। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি যদি কম্পানি কিনতে যায়, তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। এরপর এ জমি নিবন্ধন করে নামজারি করতে গেলে আবারও অনুমতি লাগবে। আগে নামজারি করতে শুধু সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করলেই হতো। এখন অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনুমতি মিললে এরপর শুরু হচ্ছে খারিজের মূল কার্যক্রম। অনুমতি নিয়ে তারপর সহকারী কমিশনারের কাছে আবেদন করতে হচ্ছে। এতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা। আবেদন করে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দুই দফা অনুমতির গ্যাঁড়াকলে দুর্ভোগে পড়ছে মানুষ। অনুমতি নিতে গিয়ে কম্পানি এ পর্যন্ত কী পরিমাণ জমি কিনেছে, তার নথি জমা দিতে হচ্ছে। ফাইলের স্তূপ কমাতে সরকার অনলাইন নামজারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে ভেস্তে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অনলাইন নামজারির প্রক্রিয়া। সূত্র: কালের কণ্ঠ

লাল ফিতার খড়গ জমি কেনাবেচায়
♦ জমি খারিজে লাগবে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ♦ দীর্ঘ হচ্ছে ফাইলের স্তূপ ♦ বাড়ছে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ♦ কমছে রেজিস্ট্রি, বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ♦ মাসের পর মাস পড়ে থাকছে খারিজের আবেদন ♦ হয়রানিতে আগ্রহ হারাচ্ছে প্রতিষ্ঠান

লাল ফিতার নতুন প্যাঁচে পড়েছে জমি কেনাবেচা। জমির নামজারিতে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নেওয়ার নতুন বিজ্ঞপ্তিতে তৈরি হয়েছে জটিলতা। এতে ফাইলের স্তূপে বাড়ছে ভোগান্তি। রেজিস্ট্রি কমে যাওয়ায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। জমি কিনতে গিয়ে জটিলতায় পড়ে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে কোম্পানিগুলো। রাজস্ব ক্ষতিগ্রস্ত করে সরকারকে বিপাকে ফেলতে চলছে উন্নয়ন ঠেকানোর নীলনকশা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারকে দুর্বল করতে নেওয়া হয়েছে এ পরিকল্পনা। শিল্পায়নে আগ্রহী হচ্ছে কোম্পানিগুলো, বাড়ছে এ খাতে বিনিয়োগ। সারা দেশে কর্মসংস্থান করতে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে কোম্পানিগুলো। কিন্তু জমি কিনতে গিয়ে বাধছে বিপত্তি। ব্যক্তিমালিকানাধীন জমি যদি কোম্পানি কিনতে যায় তাহলে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিতে হবে। এরপর এ জমি রেজিস্ট্রি করে নামজারি করতে গেলে আবারও অনুমতি লাগবে। আগে নামজারি করতে শুধু সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করলেই হতো। এখন অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অনুমতি মিললে এরপর শুরু হচ্ছে খারিজের মূল কার্যক্রম। অনুমতি নিয়ে তারপর সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কাছে আবেদন করতে হচ্ছে। এতে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘসূত্রতা। আবেদন করে ৪৫ দিন অপেক্ষা করতে হচ্ছে। দুই দফা অনুমতির গ্যাড়াকলে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ। অনুমতি নিতে গিয়ে কোম্পানি এ পর্যন্ত কত পরিমাণ জমি কিনেছে এর নথি জমা দিতে হচ্ছে। ফাইলের স্তূপ কমাতে সরকার অনলাইন নামজারির প্রক্রিয়া শুরু করেছে। কিন্তু নতুন এই বিজ্ঞপ্তিতে ভেস্তে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে অনলাইন নামজারির প্রক্রিয়া। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

সংসদে প্রশ্নোত্তরে অর্থমন্ত্রী
শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ
১৯২৮৩ কোটি টাকা ঋণের মধ্যে খেলাপি ১৬৫৮৮ কোটি * মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা ৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫ * পাচারকৃত অর্থ উদ্ধারে আইনগত কার্যক্রম চলমান

জাতীয় সংসদে দেশের শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের মোট ঋণের পরিমাণ ১৯ হাজার ২৮৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হচ্ছে ১৬ হাজার ৫৮৭ কোটি ৯২ লাখ টাকা। ২০ জনের তালিকা প্রকাশ করা হলেও মোট ঋণখেলাপির সংখ্যা সাত লাখ ৮৬ হাজার ৬৫। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে এ তথ্য জানান। এর আগে ঋণখেলাপির বিষয়ে সংসদ-সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান।
মন্ত্রীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির মধ্যে সিএলসি পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ১৭৩২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণ ১৬৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপইয়ার্ড লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ১৮৫৫ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণ ১৫২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। রিমেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ১০৭৭ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। এদের পুরোটাই খেলাপি ঋণ। রাইজিং স্টিল কোম্পানি লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ১১৪২ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণ ৯৯০ কোটি ২৮ লাখ টাকা। মোহাম্মদ ইলিয়াস ব্রাদার্স (প্রা.) লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ৯৬৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। তাদের পুরোটাই খেলাপি ঋণ। অর্থমন্ত্রী জানান, রূপালী কম্পোজিট লেদার ওয়্যার লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ একই। তাদের খেলাপি ঋণ ৮৭৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। ক্রিসেন্ট লেদার্স প্রডাক্ট লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোয়ান্টাম পাওয়ার সিস্টেমস লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৮১১ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। সাদ মুসা ফেব্রিক্স লিমিটেডের ঋণের স্থিতি ১১৩১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। তাদের খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। বি আর স্পিনিং মিলস লিমিটেডের স্থিতি ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৭২১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

কাশিমপুর কারাগারে একযোগে হামলার ছক কষেছিল জঙ্গিরা: র‌্যাব

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার দুই শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তারের পর বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। র‌্যাব বলছে, নতুন এই জঙ্গি সদস্যরা কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার ছক কষেছিলেন। সোমবার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হন নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক শাখার প্রধান মাসুকুর রহমান মাসুদ ওরফে রনবীর ও বোমা বিশেষজ্ঞ আবুল বাশার মৃধা। এর পর তাঁদের মোবাইল থেকে পাহাড়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের ভিডিও জব্দ করা হয়।এই ভিডিওর বিষয়ে র‌্যাবের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমকালকে জানান, ছোট ছোট এই ভিডিওগুলো তিন-চার মাস আগের তৈরি। বড় ধরনের হামলা করে অস্ত্রসহ এসব ভিডিও প্রকাশ করে ‘দায় স্বীকারের’ পরিকল্পনা ছিল তাদের। বিশেষ করে কাশিমপুর কারাগারে একযোগে জঙ্গি হামলা চালিয়ে উগ্রপন্থিদের ছাড়িয়ে নেওয়ার ছক কষেছিলেন তাঁরা। অস্ত্র প্রশিক্ষণের অধিকাংশ ভিডিও নতুন জঙ্গি সংগঠনের সামরিক প্রশিক্ষক রনবীরের ডিভাইস থেকে পাওয়া গেছে। সূত্র: সমকাল

পাঠ্যবইয়ে ভুল, বিব্রত হলেও ষড়যন্ত্র দেখছে সরকার

পাঠ্যবইয়ে চিহ্নিত হওয়া ভুল নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নানামুখী প্রতিক্রিয়ায় বিব্রত সরকার, এর পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে জাতীয় সংসদ, রাজনৈতিক বক্তৃতা-বিবৃতি, ওয়াজ মাহফিলসহ বিভিন্ন আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে বইয়ের ভুল ও অসঙ্গতির বিষয়গুলো। এই প্রেক্ষাপটে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি গত সোমবার বলেছেন, ‘পাঠ্যপুস্তক নিয়ে তারা যা বলেছেন তা মিথ্যাচার। কোনো ইস্যু না পেয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে সরাতে কেউ কেউ নতুন শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তকের ওপর ভর করার চেষ্টা করেছেন।’একাধিক শিক্ষাবিদ গতকাল মঙ্গলবার দৈনিক বাংলাকে বলেছেন, পাঠ্যপুস্তকে ভুলত্রুটি আছে, এটা সত্য এবং দুঃখজনক। কিন্তু এটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মহল যার যার স্বার্থ হাসিল করার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানিমূলক বক্তব্য দেখে তারা মনে করছেন, ধর্মশিক্ষা, বিবর্তনবাদ ও যৌনশিক্ষার মতো বিষয়গুলো নিয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়ানোর অপচেষ্টা রয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

গ্যাসস্বল্পতা, তবু সঞ্চালন লাইনে বিনিয়োগ করে আর্থিক চাপে জিটিসিএল

স্থানীয় উৎস থেকে পর্যাপ্ত সরবরাহ নেই। বাজার অস্থিতিশীলতায় কমেছে এলএনজি আমদানি। প্রয়োজনীয় গ্যাসের সংস্থান না হলেও তা সঞ্চালনের জন্য এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করে ফেলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। সঞ্চালন লাইন নির্মাণে বিভিন্ন প্রকল্পে প্রায় সোয়া ৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে সংস্থাটি। এর মধ্যে বড় একটি অংশের অর্থায়ন হয়েছে বিদেশী ও স্থানীয় উৎস থেকে ঋণের ভিত্তিতে। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে এরই মধ্যে আর্থিক লোকসানে পড়েছে সংস্থাটি। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পাইপলাইন নির্মাণ শেষে গ্যাস সরবরাহ না হলে আর্থিকভাবে আরো বড় ঝুঁকিতে পড়বে জিটিসিএল। কাঙ্ক্ষিত ফল না পেলে ঋণ পরিশোধ নিয়ে বিপাকে পড়তে পারে সংস্থাটি।দেশে গ্যাস সঞ্চালন ব্যবস্থা তৈরি ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজটি তত্ত্বাবধান হয় জিটিসিএলের মাধ্যমে। উত্তোলনকারী কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে গ্যাস নিয়ে তা বিতরণকারী কোম্পানিগুলোকে সরবরাহ করে জিটিসিএল। এ সঞ্চালন বাবদ পাওয়া চার্জই সংস্থাটির আয়ের একমাত্র উৎস। সূত্র: বণিক বার্তা।

লোডশেডিং কমাতে জ্বালানি তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে চায় বেসরকারি উৎপাদনকারীরা

আগামী গ্রীষ্মে জ্বালানির বর্ধিত চাহিদা মোকাবিলা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির জন্য ব্যবহৃত বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে হেভি ফুয়েল অয়েল (এইচএফও) বা ফার্নেস তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবহার বাড়াতে পরামর্শ দিয়েছে বেসরকারি বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীরা (আইপিপি)। বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রোডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন (বিপ্পা) সম্প্রতি বিদ্যুৎ বিভাগে স্টেকহোল্ডারদের এক বৈঠকে এ প্রস্তাব দেয়। সেখানে তারা বলে, ২০২৩ সালে এইচএফওর ব্যবহার ৪০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬৬ শতাংশ করা যেতে পারে। এ উদ্যোগ নিলে সরকার প্রায় ১৬ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারবে বলে উল্লেখ করে তারা।
বিপ্পার তথ্যমতে, বাড়তি ২৬ শতাংশ বা ১১ হাজার ৪৫ মিলিয়ন কিলোওয়াট/ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সরকারের মাত্র ১৭ হাজার ৬৭২ কোটি টাকা ব্যয় হবে। অন্যদিকে স্পট এলএনজি ব্যবহার করে একই পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য ব্যয় হবে ৩৪ হাজার ২৪০ কোটি টাকা।প্রস্তাবিত পরিকল্পনাটি বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পেট্রোবাংলাকে স্পট এলএনজি আমদানি করার প্রয়োজন পড়বে না। বরং বর্তমান সরবরাহ দিয়েই অন্যান্য খাতের গ্যাসের চাহিদা মেটাতে পারবে।এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে আগামী গ্রীষ্মে প্রত্যাশিত জ্বালানি সংকট থেকেও সরকার পরিত্রাণ পাবে বলে কর্তৃপক্ষকে আশ্বস্ত করেছে বিপ্পা সদস্যরা। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

মাঠ প্রশাসনের সাথে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতার দ্বন্দ্ব কোথায়?
বাংলাদেশে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং স্থানীয় সরকার প্রশাসনের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা ও বিতর্ক চলতে থাকলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিষয়টির সমাধান হচ্ছে না বলে মনে করেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, আইনগতভাবেই স্থানীয় পর্যায়ে একটি দ্বৈত শাসন ব্যবস্থা কায়েম করে রাখা হয়েছে। একটি হচ্ছে উপজেলা নির্বাহী প্রশাসনের শাসন। আরেকটি হচ্ছে উপজেলা পরিষদের শাসন। বিষয়টি আরো ভালভাবে সামনে আসে বাংলাদেশে গত ৬ই জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি রুল জারির পর। হাইকোর্ট একটি রুল জারি করে জানতে চেয়েছে যে, উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধির থেকে নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতা কেন বেশি হবে। এই রুল জারির আগে বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশন এই বিষয়টি সামনে এনে একটি রিট পিটিশন করে। যার জেরে রুল জারি করে আদালত।এছাড়া এরআগেও বাংলাদেশে নানা ঘটনা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে এসেছে যার মাধ্যমে স্থানীয় এই দুই প্রশাসনের দ্বন্দ্ব সামনে এসেছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বন ও পরিবেশ রক্ষায় ডিসিদের সহযোগিতা চাইল মন্ত্রণালয়

বন, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র রক্ষা; টিলা ও মাটি কাটা রোধ এবং অবৈধ ইট ভাটা বন্ধে জেলা প্রশাসকদের সহযোগিতা চেয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন জানিয়েছেন, চলমান ডিসি সম্মেলনে এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসকদের বিভিন্ন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরিবেশ অফিস না থাকা ১৪ জেলার ডিসিরা চেয়েছেন অফিস ও জনবল।জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন বুধবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের সেশনের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী।তিনি বলেন, “আমাদের মন্ত্রণালয়ে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে ডিসি সাহেবদের অনেক দায়িত্ব। আমাদের টিলা কাটা, বন উজাড়, গাছ কাটা, মাটি কাটা, অবৈধ ইট ভাটা পলিথিন-প্লাস্টিক, বন্য প্রাণী-পাখি নিধন এগুলো পরিবেশের ক্ষতি করছে। এগুলো বন্ধে এবং আমাদের পরিবেশ প্রতিবেশ সুরক্ষার জন্য আমাদের আইন অনুযায়ী তারা যাতে আমাদের মন্ত্রণালয়ে সহযোগিতা করেন, সেজন্য আমরা তাদের বলেছি। সূত্র: বিডি নিউজ