দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সুযোগ দেখছেন না খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার-বলেছেন, দেশে খাদ্য সংকটের কোনো সুযোগ দেখছি না। দেশে দুর্ভিক্ষ হবে না, হওয়ার কোনো চান্স নাই, যদি আল্লাহ নিজের হাতে গজব না দেয়। সামনে বোরো আবাদ হচ্ছে, ফলনও ভালো হবে, যেখানে ১৫-১৬ মণ হত, সেখানে এবার ২০-২৫ মণ হবে।’
আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ডিসিদের সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
খরার কারণে আমনের ফলন নিয়ে শঙ্কা থাকলেও এবার আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে দাবি করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সংগ্রহ ভাল হয়েছে, সরবরাহও ভাল আছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মজুদ, এখন প্রায় ১৯ লাখ ২৫ হাজার মেট্রিক টন। আমন ধান সংগ্রহ এখনও চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।
এতো ফলনের পরও দাম কেন কমছে না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সাধন চন্দ্র বলেন, আপনি এর থেকে যদি কমের কথা বলেন, তাহলে কৃষকদের কাছ থেকে ৭০০ টাকা মণ ধান কিনতে হবে। মারা পড়বে কৃষক, তখন ধান চালই পাওয়া যাবে না। আমরা যে ধানের দাম নির্ধারণ করেছি, এর থেকে বেশি দামে কৃষক বাজারে ধান বিক্রি করছে। ন্যায্যমূল্যের ওপরে দাম পাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় ধান কিনি একটা কারণে, যাতে সিন্ডিকেট করে কৃষকদের কেউ না ঠকায়। আমাদের কাছে না আসুক, বাজারে বেশি মূল্য পাক, দ্যাটস এনাফ।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশকে বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। চালের দাম যাদের জন্য অসহনীয় পর্যায়ে, তাদের জন্য ওএমএস, খাদ্যবান্ধব ভিজিডি, ভিজিএফ ইত্যাদি আছে। শঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই, সবাই ভালো আছে। বাঙালির পেট ঠাণ্ডা, মাথাও ঠাণ্ডা আছে। অপচয় বন্ধ করতে হবে, বিয়ে বাড়িতে দেখা যায় যে ১০-১৫ শতাংশ খাবার অপচয় হচ্ছে।’
এ সময় ৩০ শতাংশ ভোজ্যতেল সরিষা থেকে সংগ্রহ করা যাবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শুধু মানিকগঞ্জ নয়, সারাদেশেই সরিষার আবাদ হচ্ছে। আমার ধারণা ৩০ শতাংশ ভোজ্যতেল এবার আমরা সরিষা থেকে সংগ্রহ করতে পারব।’
দেশে কোনো মানুষ এখন না খেয়ে থাকছে কিনা, সেই প্রশ্ন রেখে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অতীতে কার্তিক মাসে মঙ্গা হলেও দেশে এখন কোনো খাদ্যসংকট নেই, মঙ্গাও নেই।