আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৮, ২০২৩

প্রান্তিক নারীর ভরসা তথ্য আপা

বুধবার। ঘড়ির কাঁটা ঠিক ১০টা ৩০ মিনিটের দাগে। সাভার উপজেলা তথ্যকেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এসেছেন ষাটোর্ধ্ব ডলি পারভিন। ডায়াবেটিস ও ব্লাড প্রেশার পরীক্ষা করালেন তিনি।

ডলি বলেন, ‘ফার্মেসিতে গিয়ে এসব পরীক্ষা করাতে বেশ টাকা লাগে। আমি গরিব মানুষ। নিয়মিত এত টাকা কই পাব। তাই তথ্যকেন্দ্রে এসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাই।’ এখানকার কর্মকর্তারা খুবই আন্তরিক বলে তিনি জানান। তার কিছুক্ষণ পর আসেন উপজেলার ব্যাংক কলোনি এলাকার শান্তা খাতুন নামে এক তরুণী। তিনি এসেছেন টেইলারিং প্রশিক্ষণের খোঁজ নিতে।শান্তা বলেন, তিনি আগে তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে আবেদন করে পার্লারের কাজের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এখন টেইলারিংয়ে প্রশিক্ষণ নিতে চান। তাই আবেদন করতে এসছেন তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে। সম্প্রতি মৌলভীবাজারের রাজনগরে গিয়েও দেখা মিলেছে একই চিত্রের। সেখানে কথা হয় নাসরিন আক্তার নামের এক ষাটোর্ধ্ব নারীর সঙ্গে। পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন তার স্বামী। তখন নাসরিনের চোখে নেমে আসে অন্ধকার। এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন উপজেলা তথ্যকেন্দ্রে ‘তথ্য আপার’ মাধ্যমে ভিডব্লিউবি (দুস্থ মহিলা উন্নয়ন) কার্ডের আবেদন করা যায়। সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

খেলাপি ঋণ আদায় করতেই হবে

ব্যাংকিং খাতে প্রধান সমস্যা খেলাপি ঋণ। বিশাল অঙ্কের এই ঋণ আদায়ের জন্য বিভিন্ন সময় নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু খেলাপি ঋণ কমছে না; উল্টো বেড়েই চলেছে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত মঙ্গলবার শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির তালিকা জাতীয় সংসদে প্রকাশ করেছেন, যা নিয়ে দেশে এখন বেশ আলোচনা হচ্ছে। এই খেলাপি ঋণ আদায়ে কঠিন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) নবনির্বাচিত সভাপতি ব্যারিস্টার সামীর সাত্তার। দৈনিক বাংলাকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এই আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন দৈনিক বাংলার প্রতিবেদক বীর সাহাবী।-দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য কেমন চলছে? অর্থনীতির গতিপ্রকৃতি কেমন দেখছেন?
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল নয়। করোনা-পরবর্তী সময়ে ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধের কারণে অর্থনীতিতে যে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি হয়েছে তা এখনো বিদ্যমান এবং বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। আমরা যদি আমাদের সামগ্রিক অর্থনীতির কথা বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাব যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সরাসরি আমাদের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে প্রভাব সৃষ্টি করেছে। বিশ্বব্যাপী নিত্যপ্রয়োজনীয় ও শিল্পসংশ্লিষ্ট পণ্যের আমদানি খরচ অনেকাংশে বাড়িয়ে তুলেছে। পাশাপাশি, আমরা যেসব দেশে রপ্তানি করে থাকি সেসব দেশে যুদ্ধপরিস্থিতির প্রভাবে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে যাওয়ায় আমাদের রপ্তানিতেও প্রভাব ফেলেছে এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিতিশীল হয়েছে। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

জঙ্গি তৎপরতা
কেউ ৪ বছর, কেউ ৬ মাস আগে ঘর ছাড়েন
এই ব্যক্তিদের কেউ কাজের খোঁজে, কেউ তাবলিগে যাওয়া, কেউবা বিদেশ যাওয়ার কথা বলে ঘর ছাড়েন।

Nagad

উগ্রবাদে জড়িয়ে বান্দরবানে জঙ্গি আস্তানায় যাওয়া তরুণ-যুবাদের কেউ ঘর ছাড়েন চার বছর আগে, কেউ ছয় মাস আগে। এঁদের কেউ তাবলিগে যাওয়ার কথা বলে, কেউ কাজের খোঁজে বা বিদেশ যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। আবার কাউকে কিছু না জানিয়েও অনেকে নিরুদ্দেশ হন। স্বজনদের দাবি, তাঁদের সন্তানেরা যে জঙ্গিবাদে জড়িয়েছেন, সেটা তাঁরা জানতেন না। কোনো কোনো পরিবার থানায় নিখোঁজ জিডি (সাধারণ ডায়েরি) করলেও অনেক পরিবার বিষয়টি চেপে গেছেন।গত তিন দিনে ১৭ জেলার এমন ৪১ জনের স্বজন ও তাঁদের এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রথম আলোর সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলার প্রতিনিধিরা। তাতে জানা যায়, ‘নিখোঁজ’ ব্যক্তিদের বেশির ভাগই নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য। কেউ কেউ খুবই গরিব পরিবারের। অস্ত্র উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন জামাতুল আনসারের সামরিক কমান্ডার শিব্বির আহমেদ। ছবিতে বাঁ থেকে মিলন তালুকদার ও সালেহ আহমেদ এবং ডানে মো. দিদারস্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, এসব ব্যক্তিরা ভদ্র ও চুপচাপ স্বভাবের ছিলেন। এঁদের অনেকে পাহাড়ে জঙ্গি আস্তানায় অস্ত্র প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও চিত্র সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন বিস্মিত হয়েছেন। প্রশিক্ষণকালে জঙ্গি আস্তানায় মারা যাওয়া কুমিল্লার কলেজছাত্র আল-আমিনের বাবা তাঁর ছেলেকে যাঁরা এই পথে নিয়ে গেছেন, তাঁদের বিচার চেয়েছেন। তিনি আদালতে মামলাও করেছেন। সূত্র: প্রথম আলো

ইভিএমে এক শতাংশ আঙুলের ছাপ
অবস্থান থেকে সরে এলো ইসি
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ইভিএমে আঙুলের ছাপ দিয়ে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ভোটারের ব্যালট ইস্যুর বিধান আরপিওতে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে নিজেদের এ সংক্রান্ত প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে নির্বাচন কমিশন।

এখন এটি বাদ দিয়েই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রধান আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে’ (আরপিও’র) সংশোধনীর নতুন খসড়া সম্প্রতি চূড়ান্ত করেছে কমিশন। আরও কয়েকটি ধারায় ইসির প্রস্তাবিত সংশোধনী বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে নতুন খসড়ায় ১৫-১৭টি ধারা-উপধারায় সংশোধনীর প্রস্তাব রাখা হয়েছে।গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান ও বেগম রাশিদা সুলতানার সঙ্গে নির্বাচন ভবনে আইন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক হয়। সেখানের সিদ্ধান্তের আলোকে আরপিও’র সংশোধনী তৈরি করা হয়। ইসি ও আইন মন্ত্রণালয় সূত্রগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।ইসি সূত্র জানায়, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটার শনাক্তে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়। এরপর ভোট দেওয়ার জন্য ব্যালট ইস্যু করা হয়। এক্ষেত্রে আঙুলের ছাপ না মিললে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা (সহকারী প্রিসাইডিং) নিজ আঙুলের ছাপ দিয়ে ব্যালট ইস্যু করেন। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তার আঙুলের ছাপ দিয়ে কত শতাংশ বা কতজন ভোটারের ব্যালট ইস্যু করতে পারবেন তা নিয়ে আরপিওতে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। এমনকি বিধিমালাতেও তা স্পষ্ট নয়। এ নিয়ে কয়েকটি নির্বাচনে বিতর্ক ওঠে। এ অবস্থায় বর্তমান কমিশন নির্বাচনে স্বচ্ছতার স্বার্থে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ ১ শতাংশ ব্যালট ইস্যুর ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব করে। বিষয়টি আরপিওতে যুক্ত করে সংশোধনীর প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল। কিন্তু এখন নিজের ওই প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে ইসি। সূত্র: যুগান্তর

ডিসি সম্মেলন : ক্ষমতার পরিধি ও সুবিধা বৃদ্ধির প্রস্তাবই বেশি

এবারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে ২৪৫টি প্রস্তাব এসেছিল। এর মধ্যে তিনটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগসংশ্লিষ্ট। প্রস্তাবগুলো বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মোট ২৭ প্রস্তাবের সব কটিই ডিসি ও ইউএনওদের ক্ষমতা বা দায়িত্বের পরিধি বাড়ানো ও সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধিসংক্রান্ত। নাগরিকদের সেবা সহজলভ্য করা, সরকারঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণ উপযোগী প্রশাসন গঠন কিংবা দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার মতো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব ছিল না বললেই চলে। তিন দিনব্যাপী ডিসি সম্মেলন গত বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। এবারের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল জেলা পর্যায়ে রাজস্ব আদায়, উন্নয়ন প্রকল্পে আর্থিক ক্ষমতা বৃদ্ধি, জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমিটি করা এবং এ ধরনের কমিটিতে ডিসি বা ইউএনওদের প্রধান হওয়া। ছিল শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা সব চিঠি ডিসি-ইউএনওদের বরাবর পাঠানো, ইউএনওদের আবাসিক ভবনে সন্ধ্যাকালীন অফিস পরিচালনার জন্য নতুন কর্মচারী নিয়োগ করাসহ ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাব। এর মধ্যে রাজস্ব আদায় ও উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্ব তাঁরা আগের সম্মেলনেও চেয়েছিলেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

হিন্ডেনবার্গ প্রতিবেদনের প্রভাব
দুদিনে প্রায় ৫ হাজার কোটি ডলার সম্পদ কমেছে আদানির

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিনিয়োগ গবেষণা সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ। বিভিন্ন সময় নানা ধরনের গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে রীতিমতো সাড়া ফেলে দেয় তারা। সম্প্রতি সংস্থাটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত তেমন একটি প্রতিবেদনের পর রীতিমতো ধস নেমেছে ভারতের আদানি গ্রুপের শেয়ার ও গৌতম আদানির মোট সম্পদে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৪ জানুয়ারি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর গতকালের মধ্যে ভারতের আদানি এন্টারপ্রাইজের প্রায় ২০ শতাংশ শেয়ারের পতন ঘটে। প্রতিবেদনটি কোম্পানিটির তালিকাভুক্ত সংস্থাগুলোর মধ্যেও বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার জন্ম দিয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি গৌতম আদানির নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আদানি গ্রুপে সাতটি তালিকাভুক্ত কোম্পানি। তবে প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর বুধবার থেকে সম্মিলিত ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যের বাজার মূলধন খুইয়েছেন তিনি। হিন্ডেনবার্গ তাদের প্রতিবেদনে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, কর স্বর্গ (ট্যাক্স হ্যাভেন) ব্যবহারের পাশাপাশি শেয়ারের দাম বাড়াতে নিয়মের বাইরে গিয়ে কাজ করেছে আদানির কোম্পানি। বাজারে শেয়ারের দামের মূল্যায়ন বেশি করে দেখানো হয়েছে। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, কোম্পানিতে প্রমোটর বা মালিকের কারসাজির ফলেই স্টকের দাম বাজারে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখানো হয়েছে। আদানিরা অন্য লোকের ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট থেকে প্রচুর শেয়ার কিনে নিজের শেয়ারের দাম বাড়িয়েছে, যা এককথায় বিনিয়োগকারীদের চোখে ধুলো দেয়ারই নামান্তর। এ ধরনের জালিয়াতির তালিকায় নাম রয়েছে আদানির পাঁচ কোম্পানির। সূত্র: বণিক বার্তা।

এ বছর আসন্ন বৃহৎ বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোর অর্থ কীভাবে পরিশোধ করবে বাংলাদেশ?

গত বছরের মধ্য-মার্চে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উদ্‌যাপন করছিল গোটা দেশ। এই স্মরণীয় অর্জন এসেছে ২০০৯ সাল থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ২৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগের মাধ্যমে।কিন্তু ইউক্রেন যুদ্ধ ও তার জেরে রাশিয়ার তেলের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞা এই অর্জনকে কীভাবে গুঁড়িয়ে দেবে, তা তখন বাংলাদেশের কল্পনাতেও ছিল না।জ্বালানি খাতে বাংলাদেশের অর্জন এসেছে আগ্রাসীভাবে তৈরি করা কয়েকশো বিদ্যুৎকেন্দ্রের হাত ধরে। এসব বিদ্যুৎকেন্দ্র বিদ্যুৎ উৎপাদন করে আমদানিকৃত জ্বালানি, কয়লা ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ব্যবহার করে। কিন্তু এসব জ্বালানির প্রত্যেকটির দামই অনেক বেড়ে গেছে।তার ওপরে যুক্তরাষ্ট্র মূল্যস্ফীতির লাগাম টানার জন্য বারবার নীতি সুদহার বাড়ানোর কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গেছে। নীতি সুদহার বাড়ানোয় বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশেও ডলারের দাম গেছে বেড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বাংলাদেশ জ্বালানি আমদানি সীমিত করে ফেলে, পাশাপাশি পরিকল্পিত লোডশেডিংও শুরু করে। ব্যয়বহুল স্পট মার্কেট (খোলা বাজার) থেকে এলএনজি আমদানিও বন্ধ করে দেয়। গ্যাস সরবরাহের ঘাটতি পোষাতে বাংলাদেশ ২০১৯ সালে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় কাতার থেকে এলএনজি আমদানি শুরু করে। পাশাপাশি স্পট মার্কেট থেকেও এলএনজি কিনত বাংলাদেশ। ওই সময় মাঝেমধ্যেই স্পট মার্কেটে তুলনামূলক কম দামে এলএনজি পাওয়া যেত। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

বাংলাদেশে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা আত্মহত্যা করছে কেন?

বাংলাদেশে শুক্রবার সকালে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ের হিলরা গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক মেয়ে শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।মহেড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়ার সাথে যখন সন্ধ্যায় কথা হচ্ছিল তখন তিনি জানান, সকাল ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার খবর পান তিনি। ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে জানতে পারেন, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মা তাকে বাসায় রেখে বাজারে যান।সকাল আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে তিনি বাসায় ফিরলে, দরজা ভেতর থেকে বন্ধ থাকায় ঘরে ঢুকতে না পেরে বাড়ির মালিককে ডাকেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে, ওই শিক্ষার্থীকে ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। বাদশা মিয়া বলেন, তিনি পুলিশের সহায়তায় মরদেহটি উদ্ধার করেন এবং পরে সেটি ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

দ্বিগুণ রপ্তানিতে সুট ব্লেজারে সুদিন

অনেক বছর ধরেই সাধারণ ভোক্তার উপযোগী মৌলিক পোশাক রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চমূল্যের ফ্যাশনদুরস্ত পোশাক উৎপাদন ও সরবরাহকারী দেশের তালিকাতেও যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। টি-শার্ট, পোলো শার্ট, ট্রাউজার, ফরমাল শার্টের মতো গতানুগতিক পোশাকের পাশাপাশি হাল ফ্যাশনের সুট ও ব্লেজারও রপ্তানি হচ্ছে এখন। ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৮০০ ডলারের সুট ও ব্লেজারও রপ্তানি হচ্ছে। তবে কাপড়, রং, সেলাই ও ফিনিশিংয়ে নিখুঁত উচ্চমূল্যের সুট ও ব্লেজার এখনও রপ্তানির মূল প্রবাহে সেভাবে যুক্ত হয়নি। তৈরি পোশাকের মোট রপ্তানি আয়ে পণ্যটির অবদান এক শতাংশের মতো। ১৩টি প্রতিষ্ঠান সুট ও ব্লেজার উৎপাদন ও রপ্তানি করে থাকে। এখনও চীন, জাপান ও তুরস্কের দখলেই রয়েছে সুট ও ব্লেজারের বাজারের বড় অংশ। সাধারণ পোশাকের চেয়ে দ্বিগুণ রপ্তানি: সুট ও ব্লেজারের বিশ্ববাজার এখন ১৬০ বিলিয়ন ডলারের। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশ এক বিলিয়ন ডলারেরও কম। এখনও সুট ও ব্লেজারের বিশ্ববাজারের মূল প্রবাহে যুক্ত হতে না পারলেও বাংলাদেশ থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এর রপ্তানি। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অর্থাৎ প্রথম ছয় মাসে পোশাক খাতের সব পণ্যে গড়ে যে হারে বেড়েছে, সুট ও ব্লেজারের রপ্তানি বেড়েছে তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে। ওই সময়ে ৩১ কোটি ডলারের সুট ও ব্লেজার রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ২১ কোটি ডলার। অর্থাৎ রপ্তানি বেড়েছে ৩২ শতাংশ। এ সময় পোশাকপণ্যের সার্বিক রপ্তানি বেড়েছে ১৬ শতাংশের কম। গত অর্থবছরে সুট ও ব্লেজারে মোট রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪৭ কোটি ডলার। তার আগের অর্থবছর হয় ৩৬ কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ এক অর্থবছরে বেড়েছে ১০ কোটি ডলার। সূত্র: সমকাল

বাড়ি থেকে বেরোনোর পর গলাকাটা লাশ সড়কে

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় সড়ক থেকে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ; যিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ ছিলেন।উপজেলা সদরের দক্ষিণ সাহাপাড়ার ডা. উপেন্দ্র নাথ সাহার বাড়ির সামনের সড়ক থেকে শনিবার সকালে লাশটি উদ্ধারের খবর জানান সাদুল্লাপুর থানার এসআই ইমরান খান।তিনি বলেন, “নিহতের গলাকাটা ও পেটে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন রয়েছে।” নিহত ৬০ বছর বয়সী সুরুত আলীর বাড়ি উপজেলার কামারপাড়া ইউনিয়নের পুরাণ লক্ষ্মীপুর (দ্বীপ) গ্রামে। তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।নিহতের ছেলে রফিকুল ইসলাম জানান, শুক্রবার বিকাল ৫টার দিকে সাদুল্লাপুর বাজার যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন তার বাবা। এরপর তিনি রাতে আর ফেরেননি। ওই রাতেই তারা বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করলেও কোনো সন্ধান মিলছিল না। সূত্র: বিডি নিউজ