রাজশাহীতে প্রস্তুত নৌকার আদলে মঞ্চ, নগরজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা যাচ্ছেন রাজশাহী। তাঁর আগমন উপলক্ষে রাজশাহী শহর সেজেছে নতুন সাজে। রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ প্রধানমন্ত্রীর জনসভার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। এরই মধ্যে শেষ হয়েছে মঞ্চ নির্মাণের কাজ। নৌকার আদলে বানানো হয়েছে মঞ্চ। নগরজুড়ে করা হয়েছে সাজসজ্জা, লাইটিং। প্রতিটি প্রান্তে যেন উৎসবের আমেজ। মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে রাজশাহীজুড়ে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোড়ে মোড়ে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট।
মাদরাসা মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, মাঠের উত্তর পাশে প্রধান প্রবেশপথে বাঁশ দিয়ে এমনভাবে গেট তৈরি করা হয়েছে, যেন সুশৃঙ্খলভাবে লোকজন ভেতরে ঢুকতে পারেন। মাঠের মধ্যে একাধিক বাঁশের বেড়া দিয়ে মাঠকে কয়েক ভাগে ভাগ করে ফেলা হয়েছে। এছাড়া মাঠে নেতাকর্মীদের স্থান সংকুলানের জন্য মাঠের দক্ষিণ পাশের দেওয়াল অপসারণ করা হয়েছে। এতে দক্ষিণ পাশের রাস্তাটি এখন মাঠের সঙ্গে সংযুক্ত। ওই রাস্তার পূর্ব ও পশ্চিম পাশেও বিশেষ প্রবেশপথ নির্মাণ করা হয়েছে।
পুরো মঞ্চটিই সাদা কাপড়ে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের পাশের রাজশাহী কারাগারের প্রাচীরও সাদা কাপড়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। মঞ্চের বাইরে ও ভেতরে মাইক লাগানো হয়েছে। কিছুক্ষণ পর পর সেগুলো থেকে শব্দ পরীক্ষা করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে আসা নেতাকর্মীদের জন্য অস্থায়ী টয়লেট বসানো হয়েছে।
এদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সকালে প্রথমে যাবেন রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে। সেখানে নবীন বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন। এরপর বিকেলে রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের জনসভায় ভাষণ দেবেন। এরপর রাজশাহীতে চলমান ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে ২৫টি উন্নয়ন প্রকল্পের ফলক উন্মোচন করবেন ও ছয়টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
এদিকে, নেতাদের ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন ও তোরণে ভরে গেছে পুরো শহর। সড়ক বিভাজকগুলোতে করা হয়েছে রঙ। বিভিন্ন জায়গায় দেখা মিলছে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা। কেউ কেউ হাতে নৌকা নিয়ে ঘুরছে। কেউবা নিজের পছন্দের বাইককেই সাজিয়েছে নৌকার আদলে। এমনই একজনের সঙ্গে কথা হয়েছে সময় সংবাদের।
এদিকে, মঞ্চ ও এর আশপাশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুরো রাজশাহী শহর জুড়েই বাসানো হয়েছে নিরাপত্তা চেকপোস্ট।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, মাদরাসা ও ঈদগাহ মাঠে সমাবেশ হবে। শহরে ২২০টি মাইক ও ১২টি এলইডি স্ক্রিন থাকবে। এছাড়া সমাবেশের জন্য পাঁচ শতাধিক ভলান্টিয়ার রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত পানি ও টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার রফিকুল আলম বলেন, রাজশাহীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি পয়েন্টেই নিরাপত্তা চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। পাশাপাশি সাদা পোশাকেও গোয়েন্দা নজরদারি রয়েছে।