আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য চাই স্মার্ট পুলিশ বাহিনী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৯, ২০২৩

বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে দক্ষতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, সবার আগে পুলিশ বাহিনীকে জনগণের আস্থা অর্জন করতে হবে। কারণ জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস দমন জনগণের ভূমিকা ও সহযোগিতা প্রয়োজন।

রোববার (২৯ জানুয়ারি) রাজশাহীর সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সাল হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। সেখানে পুলিশকেও স্মার্ট পুলিশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এজন্য সরকার সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ম রক্ষা ও জঙ্গিবাদ মোকাবিলায় ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছে পুলিশ বাহিনী। মুক্তিযদ্ধের চেতনায় জনগণের দোরগোড়ায় উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দিতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।

এসময় তিনি আরও বলেন, সংবিধান বহির্ভূতভাবে যেন কেউ আর ক্ষমতায় আসতে না পরে, সেই চেষ্টা করছে সরকার।

সাইবার ক্রাইম রোধে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। মানুষ ডিজিটাল সেবা পাচ্ছে। তবে এর ভালো দিক যেমন আছে, তেমনি অনেক খারাপ দিকও রয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সাইবার ক্রাইম, জালিয়াতি, জঙ্গিবাদ বাড়ছে। এসব প্রতিরোধে পুলিশ বাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।’

Nagad

তিনি বলেন, ‘পুলিশ বাহিনীর জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ দেশের মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। মানুষ এ নম্বরে কল করে দ্রুত সেবা পাচ্ছে। বিপদে তারা পুলিশের তাৎক্ষণিক সেবা পাচ্ছে। ফলে তাদের পুলিশের প্রতি আস্থা বাড়ছে। নারী নির্যাতন রোধ ও সন্ত্রাস দমনেও তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে এ সেবা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।’

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার টানা তিন মেয়াদে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ মেগা প্রকল্পের মাধ্যমে দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছে। বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল করতে কাজ করে যাচ্ছে সরকার।

তবে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দিতে একটি গোষ্ঠী উঠেপড়ে লেগে মন্তব্য করে তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী হত্যা, লুটপাট, অগ্নিসন্ত্রাস, জঙ্গিবাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশ বাহিনী পেশাদারিত্বের সঙ্গে অগ্নিসন্ত্রাস, বোমাবাজ, জঙ্গিবাদে জড়িতদের প্রতিহতে কাজ করে যাচ্ছে। করোনাভাইরাসের সময়ও পুলিশ বাহিনী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের সেবা করেছে। করোনায় মৃত ব্যক্তিকে যখন তার আত্মীয়-স্বজনরাও দাফন করছিলেন না, তখন পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে গিয়েছিল।

এর আগে আজ রোববার সকাল ১০টায় রাজশাহী পৌঁছে প্রধানমন্ত্রী সারদায় বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমিতে ৩৮তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

দুপুরে শহরের ঐতিহাসিক মাদ্রাসা মাঠে যাবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি। এই মাঠে জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেবেন তিনি। সেখানে রাজশাহীর ৩২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। বর্ণিল সাজে সেজেছে রাজশাহী। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্মরণকালের সর্ববৃহৎ জনসমাগম ঘটবে। পাঁচ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহী সফলে গেলেন।