আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩

সিপিডি ও সিজিএস’র জরিপ
ব্যবসা-বাণিজ্যে বাধা দুর্নীতি

দেশের ৭৪ শতাংশ ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তা সরাসরি দুর্নীতির শিকার। করোনা-পরবর্তী সময়ে এটি আরও ভয়াবহভাবে বেড়েছে। লাইসেন্স গ্রহণ ও কর পরিশোধে সবেচেয়ে বেশি দুর্নীতি হচ্ছে। ব্যবসা শুরুর লাইসেন্স পেতে ও নবায়ন করতে ১৪-১৫টি ঘাটে ঘুস দিতে হয়। অপরদিকে ৬৪ শতাংশ কর্মকর্তা কর প্রদানে, ৫৪ শতাংশ ব্যবসায়িক লাইসেন্স নিতে, ৪৯ শতাংশ গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির সংযোগ নিতে এবং ৭৫ শতাংশ কর্মকর্তা মনে করেন আমদানি-রপ্তানিতে দুর্নীতি হচ্ছে। মোট কথা, দুর্নীতি এখন বাংলাদেশের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। ৪৪ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, টাকা পাচার ঠেকানো এখন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ। ৬০ শতাংশ ব্যবসায়ীর মতে, অপ্রয়োজনীয় বড় প্রকল্প পরিহার করা দরকার। সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজের (সিজিএস) এবং বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পৃথক দুই জরিপে এমন চিত্র উঠে এসেছে। গত বছরের ২৭ জুন থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৮ বিভাগের ১৯৪ জন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জরিপ তৈরি করেছে সিজিএস। রোববার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সেমিনারে জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মফিজুর রহমান, এনবিআর-এর সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ প্রমুখ। সূত্র: যুগান্তর

আমলাগিরির প্যাঁচে এত গাড়ি কব্জা!

সরকারের একজন উপসচিব মাস শেষে বেতনভাতা পান নিচে ৭৭ হাজার ৫০০ টাকা, ওপরে ৯৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে পান একটি গাড়ি ও গাড়িতে চড়ার যাবতীয় খরচ। উপসচিবের এক ধাপ ওপরেই থাকেন যুগ্ম সচিব, তার ওপরে অতিরিক্ত সচিব, তারপর সচিব আর সর্বোচ্চ ধাপে সিনিয়র সচিব। এভাবে ধাপে ধাপে বেতনভাতা বাড়তে বাড়তে একজন সচিবের পকেটে মাস গেলেই সরকারি কোষাগার তথা জনগণের টাকা ঢোকে প্রায় দেড় লাখ। আর সিনিয়র সচিবের আরেকটু বেশি। সরকারের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা আমলারা মোটা অঙ্কের বেতনভাতার সঙ্গে পান দামি একটা গাড়িও। নিচে উপসচিব, ওপরে সিনিয়র সচিব- সবার বেতনভাতার সঙ্গেই যুক্ত করে দেওয়া আছে একটি করে গাড়ি। কিন্তু, জনগণের সেবকদের জনগণের টাকায় দেওয়া এই গাড়ি নিয়ে প্রতিদিনের বাংলাদেশের অনুসন্ধানজালে উঠে এসেছে গুরুতর সব অনিয়ম-দুর্নীতির ঘটনা। আগে নিয়ম ছিল, আমলাদের গাড়ি দেবে সরকার; সঙ্গে চালক, জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়। পরে ২০১১ সালে এক সার্কুলারের মাধ্যমে যুগ্ম সচিব থেকে সিনিয়র সচিব পর্যন্ত সব আমলার জন্য ‘সর্বোচ্চ ৩০ লাখ টাকা সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে নিজের পছন্দসই গাড়ি কিনতে পারবেন; সেই সঙ্গে সরকার থেকে গাড়ির খরচ বাবদ পাবেন আরও ৫০ হাজার টাকা। এমনকি ঋণ শোধ হওয়ার পরও বেতনভাতার পাশাপাশি অতিরিক্ত ওই ৫০ হাজার টাকা তিনি পেতেই থাকবেন। পরে এই সুযোগ-সুবিধার উৎসববলয়ে উপসচিবদেরও নিয়ে আসা হয়। (তবে করোনাকালে উপসচিবদের বেলায় তিন বছর চাকরির পর গাড়ি দেওয়ার বিধান করা হয়েছে)।’ সূত্র: প্রতিদিনের বাংলাদেশ।

২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় চালু হচ্ছে আর্জেন্টিনা দূতাবাস
ভৌগোলিকভাবে আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের দূরত্বটা ১৭ হাজার কিলোমিটারের বেশি। কিন্তু আলবিসেলেস্তের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের ভালোবাসায় এ দূরত্বকে বিস্তর মনে হয় না। কাতার বিশ্বকাপ ফুটবলের সময় আর্জেন্টিনা দলকে নিয়ে বাংলাদেশের উন্মাদনা লাতিন আমেরিকার দেশটিকে চমকে দিয়েছে। এ উন্মাদনা আর্জেন্টিনা তো বটেই, সারা বিশ্বের নজর কেড়েছে।আর্জেন্টিনার মানুষও এখন বাংলাদেশকে আপন ভাবছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব আরও গভীর করতে বিশ্বকাপজয়ী দেশটি ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় দূতাবাস চালু করতে যাচ্ছে।ঢাকায় দূতাবাসের উদ্বোধন করতে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে আসছেন আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সান্তিয়াগো ক্যাফিয়েরো। পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারি দূতাবাস উদ্বোধন করা হবে।বাংলাদেশে দূতাবাস খোলার পূর্বপ্রস্তুতির অংশ হিসেবে নয়াদিল্লিতে অবস্থিত আর্জেন্টিনা দূতাবাসের উপরাষ্ট্রদূত ফ্রাঙ্কো সেনিলিয়ানির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল আজ সোমবার ঢাকায় আসছেন। ফ্রাঙ্কো গতকাল রোববার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সূত্র: প্রথম আলো

স্মার্ট দেশ গড়তে নৌকায় ভোট দিন

Nagad

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, ‘নৌকায় ভোট দিয়ে আমাদের উন্নয়নের এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখবেন। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ যেন করতে পারি, সে জন্য নৌকায় ভোট দেবেন।’ তিনি গতকাল বিকেলে রাজশাহী মহানগরীর মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী জনসভায় এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন এলাকায় নির্বাচনী জনসভা শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তারই অংশ হিসেবে গতকাল রাজশাহী জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশ নেন তিনি। সেখানে রাজশাহীর ২৬টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ছয়টির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।জনসভায় দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন, বিএনপি নেতাদের দুর্নীতি, রাজশাহীকে ঘিরে সরকারের আগামী দিনের নানা পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

হাতিরঝিলে বসছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ৮০ পিয়ার

ঢাকার দৃষ্টিনন্দন জলাধারগুলোর একটি হাতিরঝিল। শহরের পানি নিষ্কাশনেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে এ জলাধার। হাতিরঝিলের একটি অংশের ওপর দিয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে ঢাকার প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এজন্য ঝিলের মধ্যে বসবে ৮০টি পিয়ার বা খুঁটি। এতে জলাধারটির স্বাভাবিক সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি পানিপ্রবাহ এবং নৌ চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এর নকশাকারকরা। যদিও প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পিয়ারের কারণে হাতিরঝিলের পানিপ্রবাহে কোনো সমস্যা হবে না। আর সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য এ প্রকল্পের মাধ্যমে সাজানো হবে বেগুনবাড়ী খাল এলাকা। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে থেকে বনানী, তেজগাঁও, মগবাজার, কমলাপুর হয়ে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালীতে গিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যুক্ত হবে ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’। প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে যানজট এড়িয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক হয়ে সহজেই চলে যাওয়া যাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। চাইলে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে বের হয়ে ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টেও যাওয়া যাবে। এজন্য ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তৈরি করা হচ্ছে ৩১টি র্যাম্প বা সংযোগ সড়ক। এর মধ্যে একটি র্যাম্প হবে এফডিসি মোড় থেকে পলাশী পর্যন্ত। এক্সপ্রেসওয়ে থেকে এ র্যাম্পে ওঠা ও নামার পথের জন্য হাতিরঝিলে ৮০টি পিয়ার তৈরি করা হবে। সূত্র: বণিক বার্তা।

পেঁয়াজ-রসুনের যুগে বিধবাদের রান্নাঘর থেকে আসা সুস্বাদু নিরামিষ খাবার!

‘খিড়কির দরজা খুলে নিজে বাড়ির পেছনের বাগান থেকে নিয়ে এলো সবে কচি পাতা আসা কুমড়ো শাক, গাছের পাকা লঙ্কা। শাশুড়ির আমলের পুরনো ভারী শিলটা পাতলো অনেক দিন পরে। যত্ন করে ধুয়ে সেই কবেকার প্রাচীন হিম শীতল পাথরটার ওপর রাখলো সর্ষে দানা। শিল আর নোড়ার আদিম ঘর্ষণে খুলনা থেকে পাঠানো মায়ের শেষ সর্ষেটুকু বেটে ফেললো ইন্দুবালা অল্পক্ষণের মধ্যেই। লোহার কড়াইতে জল মরতে থাকা সবুজ ঘন কুমড়োশাকের ওপর আঁজলা করে ছড়িয়ে দিল সর্ষের মন্ড। কয়লার আঁচে টগবগ আওয়াজে ফুটতে থাকলো কচি শাক গুলো। তার নরম পাতা গুলো।’ কল্লোল লাহিড়ীর উপন্যাস ‘ইন্দুবালা ভাতের হোটেল’ এর এই লাইনগুলো পড়তে পড়তেই কচি কুমড়োশাকের সুবাস নাকে ভেসে আসছে, তাই না? কোনোরকম পেঁয়াজ-রসুন ছাড়া গুটিকয়েক মশলা দিয়ে তৈরি এই খাবার যে কারো মন কাড়তে বাধ্য। শুধু কী কুমড়ো শাক! আজও বাংলার হেঁশেলে হাতছানি দেয় লাবড়া, কলার মোচা, পটলের দোলমা, কাঁচকলার কোফতা কিংবা ফুলকপির ডালনার মতো খাবার। খাবারের সাথে বাঙালির পরিচয় আজ নতুন নয়; বরং সে বহু শতাব্দী আগের। পছন্দের খাবারের তালিকায় ভাত থাকায় ‘ভেতো বাঙালি’ পরিচয়ও তাই বাঙালির কোনোদিন ঘুঁচবার নয়। এ প্রেক্ষিতে ঐতিহাসিক নীহাররঞ্জন রায় তাঁর ‘বাঙালির ইতিহাস’ গ্রন্থে প্রাচীন বাঙালির খাদ্যাভ্যাস প্রসঙ্গে লিখেছেন যে ধান যেহেতু এদেশের প্রথম ও প্রধান উৎপন্ন বস্তু, কাজেই সে দেশের প্রধান খাদ্য যে ভাত হবে তাতে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

খুলনায় গুলি করে একজনকে হত্যা

খুলনার ফুলতলা উপজেলায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে মিলন ফকির (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার আলকা গ্রামের আইডিয়াল মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিলন ফকির ওই এলাকার আব্দুল ওহাব ফকিরের ছেলে।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে জামিরা রোডের আইডিয়াল স্কুল মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিলন ফকির। হঠাৎ একটি মোটরসাইকেলে আসা কয়েকজন দুর্বৃত্ত তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে শুরু করলে মিলন ফকির দৌড়ে স্থানীয় একটি দোকানে ঢুকে পড়েন। সেখানেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান মিলন।স্থানীয় লোকজন জানান, মিলন ফকির কয়েকজনের সঙ্গে ফুলতলার শিকিরহাট খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে পরিচালনা করতেন। ঘাটের ইজারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। সূত্র: সমকাল

মিথ্যা ঘোষণার আমদানিতে সর্বনাশ

মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে খাদ্যপণ্য ও ওষুধের কাঁচামাল আমদানির আড়ালে আনা হচ্ছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট। এতে বিদেশে চলে যাচ্ছে মার্কিন ডলার, যা চলমান ডলার সংকট আরও ঘনীভূত করছে। এতে করে প্রতি বছর প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। সম্প্রতি এনবিআরের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমদানি হচ্ছে বিপুল পরিমাণ সিগারেট। কম নিকোটিনের দোহাই দিয়ে এসব বিদেশি সিগারেট বাজারে ছাড়া হচ্ছে দেদার। এদিকে রাজস্ব ক্ষতির সঙ্গে জনস্বাস্থ্যও চরম হুমকির মুখে পড়েছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। করোনা মহামারির পর বিদেশি সিগারেট আমদানি কয়েক গুণ বেড়েছে বলে জানা গেছে। অর্থ বিভাগের এক মূল্যায়নপত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এ জন্য এনবিআরের শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগকে আরও তৎপর হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থ বিভাগের পৃথক পত্র ঘেঁটে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসা অবৈধ বিদেশি সিগারেট। শহরের অলিগলি থেকে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও দেদার বিক্রি হচ্ছে এসব সিগারেট। কম মূল্য, আকর্ষণীয় মোড়ক, ভিন্ন ভিন্ন ফ্লেভার ও সহজলভ্য হওয়ায় তরুণ প্রজন্মের ধূমপায়ীরা ঝুঁকছেন এসব সিগারেটে। এতে একদিকে বড় অঙ্কের রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার, অন্যদিকে মিথ্যা ঘোষণায় দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে বড় অঙ্কের অর্থ। সেই সঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক অর্থ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের একটি প্রতিবেদন পেয়েছি। বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা সেলও এটা নিয়ে কাজ করছে।’ সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

‘থাকব মায়ের কাছে, বাবা চাইলেই দেখা করব’
বাংলাদেশের আদালতের রায়ে জাপানি মায়ের জিম্মায় যাওয়া দুই মেয়ের একজন আদালতের সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, এখন সে ‘নিজ বাড়ি’তে ফিরতে পারবে। তার বাবা বাংলাদেশি ইমরান শরীফের করা মামলা রোববার খারিজ করে রায় দেন ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত সহকারী জজ ও পারিবারিক আদালতের বিচারক দুরদানা রহমান।পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কিশোরী মেয়েটি বলেছে, “আজকের এই দিনের জন্য আমি সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি এখন নিজ বাড়িতে ফিরতে পারব। এই রায়ের ফলে আমার মতো ভুক্তভোগীরা ভবিষ্যতে সুরক্ষা পাবে। আমি বাংলাদেশকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।” সূত্র: বিডি নিউজ

সরকারি মেডিকেল কলেজের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছে না কেন

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালিক সম্প্রতি জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন যে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে শিক্ষকের যত পদ আছে তার প্রায় অর্ধেকই এখন খালি এবং এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন যে মেডিকেল কলেজগুলোতে সরাসরি শিক্ষক নিয়োগ হয় না।
আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন কিছু বিষয়ে পড়তে অনাগ্রহের কারণে চিকিৎসকদের মধ্যেই পর্যাপ্ত সংখ্যক বিশেষজ্ঞ তৈরি হচ্ছে না বলে সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে শিক্ষক সংকট তৈরি হয়েছে।মেডিকেল অফিসার হিসেবে সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসক নিয়োগ হয়ে বিসিএসের মাধ্যমে। সেখান থেকেই প্রভাষক পদের জন্য আবেদনের সুযোগ দেয়া হয়। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ বলছে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোতে বেসিক সাবজেক্ট হিসেবে পরিচিত বিষয়গুলোর শিক্ষার্থীও পাওয়া যায় না, তাই শিক্ষকও তৈরি হচ্ছে না। সূত্র: বিবিসি বাংলা