আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৯:৪৯ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ৩১, ২০২৩

সংবাদ বিশ্লেষণ
বিএনপির ‘উকিলের’ উপনির্বাচন কি আওয়ামী লীগের নতুন মডেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচন একটা নতুন মডেল হিসেবে আসছে কি না—এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। দেশে নির্বাচনের ইতিহাসে এই উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ একেবারে ভিন্ন ধরনের কৌশল নিয়ে মাঠে রয়েছে।বিএনপির দলছুট নেতার নির্বাচনী কার্যক্রমের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যসহ নেতা–কর্মীরা। আওয়ামী লীগ দলগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েই মাঠে রয়েছে। একই সঙ্গে রয়েছে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার তৎপরতা। নির্বাচনী এলাকার পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিএনপির সেই দলছুট নেতা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়াকে জেতানোর দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে জন্য ক্ষমতাসীনেরা সব ধরনের ‘মেকানিজম’ বা সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। কোনো রাখঢাক নেই। বিএনপির সাতজন সংসদ সদস্যের পদত্যাগের কারণে শূন্য হওয়া আসনগুলোর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ সহ ছয়টি আসনে উপনির্বাচন হতে যাচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি। এর মধ্যে দুটি আসনে, অর্থাৎ বগুড়া–৪ আসনে শরিক দল জাসদ ও ঠাকুরগাঁও–৩ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টিকে ছেড়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু এ দুই আসনে শরিক দলের প্রার্থীদের সমর্থনে আওয়ামী লীগ সেভাবে সক্রিয় নয়। সূত্র: প্রথম আলো

আইএমএফের ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ পেল বাংলাদেশ

দীর্ঘ আলোচনা ও বোঝাপড়ার পর অবশেষে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সাড়ে চার বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪৭ হাজার ২০৫ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১০৫ টাকা হিসাবে) ঋণ পেল বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে আইএমএফ কার্যালয়ে স্থানীয় সময় সোমবার অনুষ্ঠিত নির্বাহী বোর্ডের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবটি অনুমোদনের বিষয়টি আইএমএফ ও অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। এই অনুমোদনের ফলে সাত কিস্তির ঋণের প্রথমটি ফেব্রুয়ারিতেই পেতে পারে বাংলাদেশ।ঋণ অনুমোদনের বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা অবশ্যই আইএমএফের প্রতি এই ঋণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে আইএমএফের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) অ্যান্তইনেত মনসিও সায়েহ, মিশনপ্রধান রাহুল আনন্দসহ যে দলটি এই ঋণের বিষয়ে বাংলাদেশ সফর করেছিল, তাদের প্রতি জানাই ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ফাতিমা ইয়াসমিনসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা যাঁরা এই ঋণ প্রগ্রাম নিয়ে কাজ করেছেন, তাঁদের প্রতিও রইল আমার কৃতজ্ঞতা।’সূত্র: কালের কণ্ঠ

আমি একজন কপিরাইটার, আমি নিশ্চিত এআই আমার চাকরি দখল করবে

‘”পেমেন্ট গেটওয়ে কী?” এ বিষয়ে একটি আর্টিকেল লেখো,’—সম্প্রতি চ্যাটজিপিটির কাছে এমন প্রশ্ন রেখেছিলাম আমি। আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) শক্তিতে চালিত লেখা তৈরিকারী এ টুলটি সঙ্গে সঙ্গে আমার হুকুম তামিল করল। চ্যাটজিপিটি যা লিখে দিল, তা এককথায় অনবদ্য। হ্যাঁ, হয়তো লেখার সুরটা মানবীয় হয়নি—কিন্তু লেখার মূল বক্তব্য, ব্যাকরণ ও পদবিন্যাস সবই ছিল যথার্থ।
ওই লেখাটার ওপর একটু হাত চালানোর পরই ওটা কোনো ওয়েবসাইটে প্রকাশযোগ্য কপিরাইটিং আর্টিকেল হিসেবে দিব্যি চালিয়ে নেওয়ার মতো হয়ে গেল। আর এ ধরনের আর্টিকেল আমার মতো পেশাদার কপিরাইটারেরা লিখেন। যেগুলো লেখার পেছনে আমাদের কয়েক ঘণ্টা ব্যয় হয়।অবাক হওয়ার পালা ততক্ষণে শেষ। চ্যাটজিপিটির এ খেল দেখে আমি এবার একটু ভয় পেতে শুরু করলাম। লেখাটা লিখতে এটির মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মতো সময় লেগেছে। তা-ও লিখে দিয়েছে বিনামূল্যে। এ ধরনের একটি আর্টিকেল লিখতে আমি ৫০০ পাউন্ড নিই। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

Nagad

দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় বড় ভরসা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়

জেলায় জেলায় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলছে সরকার। প্রত্যন্ত এলাকায়ও প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে বেসরকারি অনেক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এর পরও আর্থসামাজিক ও ভৌগোলিক নানা প্রতিকূলতায় দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পাবলিক-প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মিলছে খুবই কম। ফলে নিম্নবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে নির্ভর করতে হচ্ছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর ওপর। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক গবেষণায় দেখা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৩ শতাংশ শিক্ষার্থীরই পারিবারিক আয় ১০ হাজার টাকার নিচে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ হার মাত্র ৯ শতাংশ। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে তা যৎসামান্যই। অর্থাৎ দেশে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় এখনো বড় ভরসা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষাসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য শুরু হয়। অর্থাভাবে ভালো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়ার সুযোগ হয় না নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের। পরিবার খরচ চালাতে না পারায় যাওয়া হয় না কোচিং কিংবা প্রাইভেট টিউশনে। এ কারণে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাটাই দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। তাই শেষ পর্যায়ে দরিদ্র পরিবারের খুব কম শিক্ষার্থীরই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ মেলে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজগুলোর ওপর নির্ভর করতে হয় উচ্চশিক্ষাপ্রার্থী দরিদ্র শিক্ষার্থীদের। সূত্র: বণিক বার্তা।

বিডার ১১০ সংস্কার বাস্তবায়নে ধীরগতি

দেশে ব্যবসার পরিবেশ সহজ করতে গত বছরের জুনে তিন বছরের মধ্যে ১১০টি সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিডা। প্রথম বছরে ৫০টি এবং পরের দুই বছরে ৬০টি সংস্কার বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু আট মাস পার হয়ে গেলেও একটি সংস্কার প্রস্তাবও পুরোপুরি বাস্তবায়ন হয়নি। কয়েকটির কাজ শুরু হয়েছে মাত্র।দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সংস্কারগুলো বাস্তবায়ন করতে কেন দেরি হচ্ছে- এ প্রশ্নের উত্তরে বিডার নির্বাহী পরিচালক মহসিনা ইয়াসমিন দৈনিক বাংলাকে বলেন, ‘দেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে সরকার নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছে। যে ১১০টি সংস্কার কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল, সেটি সে উদ্যোগের একটি অংশ। কিন্তু সরকারি কাজের পদ্ধতির কারণে এই সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করতে দেরি হয়ে যাচ্ছে।’ দেশের বেসরকারি খাতকে বেগবান করতে এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর বিনিয়োগ বোর্ড ও বেসরকারীকরণ কমিশনকে একীভূত করে গঠন করা হয় বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। বিডার প্রধান কাজ হচ্ছে দেশে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

উকিল সাত্তার বনাম রুমিন ফারহানা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আলোচিত উপনির্বাচন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের ‘বিচিত্র’ উপনির্বাচনে প্রার্থী না হয়েও আলোচনায় বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। দলীয় নির্দেশে সংসদ থেকে পদত্যাগ করলেও উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়ে বিএনপি থেকে বহিস্কার হওয়া উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার ‘প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী’ তিনিই। আগামীকাল বুধবারের ভোটে তাঁদের অঘোষিত মূল লড়াই।রুমিন ফারহানার কারণে দলে কোণঠাসা হয়ে বিএনপির সঙ্গে ৪৩ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বাধ্য হয়ে উকিল সাত্তার ভোটে অংশ নিচ্ছেন- এমন প্রচার রয়েছে। তাঁর পক্ষে আদাজল খেয়ে ভোটে নামা আওয়ামী লীগ নেতাদের আক্রমণের লক্ষ্যও রুমিন ফারহানা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাঁকে অবাঞ্ছিতও ঘোষণা করা হয়েছে। রুমিন ফারহানার অনুসারীরা ভোটের মাঠে না থাকলেও উকিল সাত্তারের জয় ঠেকাতে সব রকম চেষ্টা করছেন। সূত্র: সমকাল

সুবিধা নিয়েও ব্যবসায়ীরা নিশ্চুপ বাজার নিয়ন্ত্রণে

সরকারের কাছ থেকে একের পর এক সুবিধা পেলেও ভোগ্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে তেমন কোনো ভূমিকা রাখছেন না আমদানিকারক ও বড় ব্যবসায়ীরা। আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা এবং আমদানি শুল্ক তুলে দেওয়ার পরও বাজারে এর কোনো প্রভাব দেখা যায় না। অস্থিরতা কাটিয়ে মাসখানেক ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে অনেক পণ্যের দাম কমলেও দেশের বাজারে ঊর্ধ্বগতি থামছে না। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশে তার প্রভাব পড়তে একদিনও লাগে না। এসব কারণে বিশ্লেষকদের কেউ কেউ বলে থাকেন, ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। জাতীয় ও বৈশ্বিক কোনো সংকট এলেই সাধারণ মানুষের দোহাই দিয়ে সরকারের কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা আদায় করে নেন তারা। এতে নিজেরা রক্ষা পেলেও দেশের মানুষ কোনো সুফল পায় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে থাকেন, ‘বেসরকারি খাত দেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি। এজন্যই আওয়ামী লীগ সরকার বেসরকারি খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’ এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি সুবিধা নিয়ে থাকে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকরা। এর পরেই রয়েছে অত্যাবশ্যকীয় বা নিত্যপণ্যের আমদানিকারক ও স্থানীয় উৎপাদনকারী এবং পরিশোধনকারী কোম্পানি। মূলত যেভাবে এসব ব্যবসায়ী সরকারের কাছ থেকে জনগণের দোহাই দিয়ে সুবিধা নিয়ে থাকে, সে হিসেবে সাধারণ মানুষ বা ভোক্তারা সুবিধা পাচ্ছে না। সূত্র: কালবেলা

অর্থ বিভাগের মূল্যায়ন
চ্যালেঞ্জের মুখে অর্থনীতি
রিজার্ভ ও আমদানিতে নেতিবাচক প্রভাব * শিগগিরই আগের অবস্থানে ফেরার প্রত্যাশা
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে দেশের অর্থনীতি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। এর ধাক্কায় কমেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ। নেতিবাচক ধারা বইছে আমদানি খাতে। কমেছে সরকারের বাজেটের অর্থ ব্যয়ের অঙ্কও। তবে এ সময় বেশ ভালো অবস্থানে আছে রাজস্ব ও প্রবাসী আয়। যা দেশের অর্থনীতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার চালক হিসাবে কাজ করছে।সার্বিক অর্থনীতিতে করোনা ও যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে অর্থ বিভাগের মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন চিত্র। সেখানে আরও বলা হয়, করোনায় এক ধরনের নেতিবাচক প্রভাব পড়ে অর্থনীতিতে। পাশাপাশি এ খাতে আছে অস্থিরতাও। তবে সরকারের নানা পদক্ষেপে সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ায়। কিন্তু চলমান যুদ্ধ বিশ্ব অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব ফেলে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও।ওই মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কারণে সৃষ্ট বৈশ্বিক সংকট মোকাবিলা করছে। কোভিড-১৯ অতিমারির প্রাদুর্ভাব সাফল্যের সঙ্গে মোকাবিলা করে বিগত দিনে যেভাবে আমরা অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার সাধন করেছি, বর্তমান সংকটও একইভাবে মোকাবিলা করে আমরা সামনে এগিয়ে যাব বলে আমি দৃঢ় বিশ্বাস করি।’ সূত্র: যুগান্তর

আগে পালানো সালেহীন অধরা, শামীম-সোহেলেরও পাত্তা নেই

ময়মনসিংহের ত্রিশালে প্রিজন ভ্যানে হামলা চালিয়ে এক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে জেএমবির শীর্ষ তিন নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়াদের একজন সালাউদ্দিন সালেহীন পলাতক নয় বছর ধরে; সবশেষ ঢাকায় আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যাওয়া দুই জঙ্গির হদিসও দুই মাসে মেলেনি।আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছ থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের এসব ঘটনায় বাহিনীর ‘পেশাদারিত্বের ঘাটতিকে’ কারণ মনে করেন অপরাধ বিশেষজ্ঞর। তাদের আশঙ্কা, এসব ঘটনা সমাজে সংগঠিত অপরাধ প্রবণতা বাড়িয়ে তুলবে। পালানো জঙ্গিদের গ্রেপ্তারে নিজেদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার কথা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হলেও তাতে অগ্রগতি সূচক কোনো তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।জেএমবির প্রতিষ্ঠাকালীন শূরা সদস্য ছিলেন সালেহীন। তাকে ধরিয়ে দিতে পাঁচ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে রেখেছে বাংলাদেশ পুলিশ। ভারতের জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ এর ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায়ও রয়েছেন তিনি। সূত্র: বিডি নিউজ

ভয়ংকর বিপদ মাইক্রোপ্লাস্টিকে

বিশ্বের বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের তিনটি প্রধান নদী পশুর, রূপসা ও মোংলার পানিতে বিপজ্জনক মাইক্রোপ্লাস্টিক ছড়িয়ে পড়েছে। এ জন্য এ তিন নদীর অন্তত ১৭ প্রজাতির মাছ ও তিন প্রজাতির শেলফিশ সংক্রমিত হয়ে পড়েছে মাইক্রোপ্লাস্টিকে। পাঁচ মিলিমিটারের কম দৈর্ঘ্যরে প্লাস্টিকের টুকরোগুলোকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বলা হয়, যা মাছ বা শেলফিশ সহজেই গিলে ফেলতে পারে। মাছের গিলে খাওয়া ওই সব প্লাস্টিকের কণা একপর্যায়ে মানুষের খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সম্প্রতি ‘সায়েন্স অব দ্য টোটাল এনভায়রনমেন্ট’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।এর আগে বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের হৃৎপিন্ডখ্যাত কর্ণফুলী নদীতেও এ বিষয়ে প্রায় অভিন্ন তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। গবেষণা থেকে বলা হয়-প্লাস্টিক বর্জ্য কর্ণফুলীকে পরিণত করেছে চরম মাত্রায় দূষিত নদীতে। এ নদীতে চট্টগ্রাম শহরের প্রায় ৪০ শতাংশ প্লাস্টিকের ঠাঁই হয়। এরপরই রয়েছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে রূপসা নদী, যেখানে ফেলা হয় প্রায় ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ পর্যন্ত প্লাস্টিক বর্জ্য। অন্তত ৭ মিটার উঁচু পলিথিনের বিশাল আস্তরণের কারণে সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে একটি ড্রেজিং প্রকল্প অর্ধসমাপ্ত রেখেই থামতে হয়েছে। সম্প্রতি ‘সিপিডি-গ্রিন সিটিস ইনিশিয়েটিভ’ রিসার্চের অংশ হিসেবে একটি সেকেন্ডারি ডাটা বিশ্লেষণ প্রকাশ করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। শুধু পশুর, রূপসা, মোংলা, কর্ণফুলী নদীই নয়, রাজধানীর আশপাশসহ অধিকাংশ নদীতে এ ধরনের দূষণের খবর নতুন নয়। ফলে ওই নদীগুলোর মাছ ও মানুষ ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. গাউসিয়া ওয়াহিদুন্নেছা চৌধুরী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলে প্রবেশ করে মাছ-মানুষ সবারই ক্ষতি করছে। মাছের পেট কাটলে প্লাস্টিক পাওয়া যাচ্ছে। সেই মাছ মানুষ খাচ্ছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন ।