আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৩

ঋণ কেলেঙ্কারিমুক্ত ব্যাংক খাত কীভাবে
আইএমএফের ঋণ পেতে ব্যাংক খাত সংস্কারের অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ। তবে পরিস্থিতির উন্নতির জন্য জোরালো সংস্কার প্রয়োজন।

গত এক যুগে অর্থনীতিতে বিশেষজ্ঞরা সবচেয়ে বেশি সুপারিশ করেছেন ব্যাংক খাত নিয়ে। সব মহল থেকেই ব্যাংক খাত সংস্কারে একটি কমিশন গঠনের দাবি তোলা হয়েছে বারবার। এ সময়ের দুই অর্থমন্ত্রীই একাধিকবার ব্যাংক সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, পরে প্রতিশ্রুতি ভেঙেছেনও। আবারও ব্যাংক সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন বর্তমান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল। তবে এই অঙ্গীকার করা হয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে, ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ পেতে। প্রায় দুই দশক ধরে অর্থনীতিতে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) বড় প্রবৃদ্ধি হলেও ব্যাংক খাতের অবস্থা হয়েছে অনেক বেশি নাজুক। এ সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নজরদারি ছিল দুর্বল। ঘটেছে একের পর এক ঋণ কেলেঙ্কারি, বেড়েছে খেলাপি ঋণ, ঋণখেলাপিদের ছাড় দিতে নিয়মনীতি শিথিল করা হয়েছে, প্রভাবশালীদের চাপে আইনে পরিবর্তন আনা হয়েছে, পরিবারতন্ত্র কায়েম হয়েছে, প্রতিষ্ঠা পেয়েছে একচেটিয়া মালিকানা, ব্যাংকের সম্পদ কমেছে, ব্যাংক খাতের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন প্রভাবশালী ও স্বার্থান্বেষীরা আর সবশেষে ভালো থাকা ইসলামি ব্যাংকগুলো পড়ে গেছে আর্থিক সংকটে। সূত্র: প্রথম আলো

পাতালেও চলবে মেট্রো রেল

মেট্রো রেলের দ্বিতীয় পর্যায়ে শুরু হতে যাচ্ছে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) লাইন-১-এর নির্মাণকাজ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার পূর্বাচলে এক জনসভায় প্রকল্পের নির্মাণকাজের উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।রাজধানীর কাঞ্চন সেতু থেকে কমলাপুর পর্যন্ত উড়াল ও পাতালের সমন্বয়ে নির্মিত হবে ৩১.২৪ কিলোমিটার এই রেলপথ। এই রেলপথ চালু হলে দেশে প্রথম মাটির নিচ বা পাতাল দিয়ে যাবে ট্রেন। ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক জানান, প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য এরই মধ্যে ৯২.৯৭ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ২০২৬ সালে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী এই কাজের উদ্বোধন করার পর পিতলগঞ্জে মেট্রো রেলের ডিপো নির্মাণ করা হবে। এর মধ্য দিয়ে এই প্রকল্পের পাতাল দিয়ে যাওয়া রেলপথের নির্মাণকাজ শুরু হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মুখস্থ থেকে সরে যোগ্যতাভিত্তিক শিখন ফল
নতুন শিক্ষাব্যবস্থার যুগে বাংলাদেশ

স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় অসংখ্যবার পরিবর্তন এসেছে। প্রত্যেক পরিবর্তনেই কিছু না কিছু বিষয় নতুন করে যোগ হয়েছে। বলা হয়েছে, যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত করে গড়ে তুলতেই এসব পদক্ষেপ। কিন্তু এই প্রথম দেশের প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাব্যবস্থা একেবারেই খোলনলচে বদলে ফেলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সনাতনী পাঠদানের মতো থাকছে না শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়া। শিক্ষকরা পড়ানোর পরিবর্তে শ্রেণিকক্ষে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন।
শিক্ষার্থীরা তোতাপাখির মতো প্রশ্নের উত্তর মুখস্থ করবে না। সামষ্টিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষার পরিবর্তে তাদের সারা বছর ধরে মূল্যায়ন করা হবে। তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত থাকছে না কোনো পরীক্ষা। হবে ধারাবাহিক মূল্যায়ন। এই মূল্যায়ন কেবল শিক্ষক নন; পাশাপাশি শিক্ষার্থীর সহপাঠী, তার বাবা-মা কিংবা অভিভাবক এবং সমাজের অংশীজনও মূল্যায়ন করবেন। ফলে শিক্ষার্থী পাঠ্যবই থেকে কতটুকু শিখল তা নির্ধারণ কেবল শিক্ষকের হাতে থাকছে না। এসব কারণে নোট-গাইড আর কোচিংয়ের কবল থেকে মুক্তির পথ তৈরির সম্ভাবনার কথা বলা হচ্ছে। সবমিলে শিখনফলকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা থেকে যোগ্যতাভিত্তিক শিখনফলের যুগে প্রবেশ করছে বাংলাদেশ। সূত্র: যুগান্তর

Nagad

রপ্তানি আয়ে ডলারের দর আরও ১ টাকা বাড়ল

ডলারসংকট নিরসনে রপ্তানি আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম আরও ১ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছে ব্যাংকগুলো। বুধবার থেকেই নতুন এ দর কার্যকর হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম বেড়ে হয়েছে ১০৩ টাকা। এই সিদ্ধান্তের ফলে বাজারে ডলারের সরবরাহ বাড়বে বলে আশা করছেন ব্যাংকাররা।গত মঙ্গলবার রাতে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বাফেদার চেয়ারম্যান আফজাল করিম দৈনিক বাংলাকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘বাফেদা-এবিবির সভায় রপ্তানি বিল নগদায়ন ১০৩ টাকা করা হয়েছে। এটি বুধবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। আগে রপ্তানি বিল ছিল ১০২ টাকা। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মধ্যে যে পার্থক্য রয়েছে, তা কাছাকাছি নিয়ে আসা হবে। সেজন্যই রপ্তানি বিলে আরও এক টাকা বাড়ানো হয়েছে।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

সম্পর্কে আরও কাছাকাছি ঢাকা ও ওয়াশিংটন

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক আরও নতুন মাত্রা পাচ্ছে। বেশ কয়েক বছর ধরে সম্পর্কে শীতলতা থাকলেও চলতি বছর থেকে মতপার্থক্য দূর করে সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার পক্ষে দুই দেশ। অস্বীকারের প্রথা থেকে বের হয়ে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার মূল্যবোধক সামনে রেখে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে প্রস্তুত ঢাকা। আর সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে দুই দেশের মধ্যে চলছে নিবিড় যোগাযোগ। শুধু চলতি মাসেই প্রথমার্ধে ঢাকা সফর করবে মার্কিন তিনটি প্রতিনিধি দল। আর এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা রয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা সফরে আসছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও শ্রমবিষয়ক ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি কারা ম্যাকডোনাল্ড। মূলত বাংলাদেশের শ্রমমান উন্নয়ন ও অধিকারের বিষয়ে আলোচনা করবেন মার্কিন এ কর্মকর্তা। তিন দিনের সফরে ৯ ফেব্রুয়ারি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্নিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এ দিনই পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে কারা ম্যাকডোনাল্ডের বৈঠকের কথা রয়েছে। আর ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের শ্রম খাতের সংশ্নিষ্ট অধিকার কর্মী এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। সূত্র: সমকাল

বাংলাদেশে গ্যাস খাতে দেশী বড় বিনিয়োগ অসম্ভব কি
দেশের গ্যাস ও পেট্রোলিয়াম খাতে এ পর্যন্ত পুঞ্জীভূত বিদেশী বিনিয়োগ ৩৯৮ কোটি ডলারের কিছু বেশি। এর সিংহভাগই বিনিয়োগ হয়েছে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে। এছাড়া গ্যাস অবকাঠামো বা পাইপলাইন নির্মাণেও বিনিয়োগ রয়েছে। পুঞ্জীভূত বিনিয়োগের মধ্যে বড় একটি অংশ আবার মুনাফার পুনর্বিনিয়োগ। নিট মূলধনি বিনিয়োগ আছে পুঞ্জীভূত বিনিয়োগের অর্ধেকেরও নিচে, প্রায় ৪৯ শতাংশ। ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারেরও কম মূলধনের এ বিদেশী বিনিয়োগই এখন দেশের গ্যাস উত্তোলন কার্যক্রমের মূল চালিকাশক্তি। বিদেশী কোম্পানিগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শেভরন একাই সরবরাহ করছে দেশে দৈনিক স্থানীয় গ্যাস উত্তোলনের প্রায় ৬০ শতাংশ।
বিদেশী কোম্পানিগুলো দেশে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে বিনিয়োগ করেছিল মূলত উৎপাদন বণ্টন চুক্তির (পিএসসি) আওতায়। বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে দীর্ঘদিন ধরে এ চুক্তির আওতায় বিদেশী কোম্পানিগুলোকে নানা সুযোগ-সুবিধা দেয়া হয়েছে। তার পরও গ্যাস খাতে বিদেশী প্রতিষ্ঠানগুলোর নিট মূলধনি বিনিয়োগ ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারেনি। সূত্র: বণিক বার্তা।

বোরো মৌসুমের শুরু যেন কৃষকের জয়যাত্রার গাথা…

আসন্ন খাদ্য সংকট নিয়ে বিশ্বব্যাপী যখন চরম উৎকণ্ঠা, সে খবর দ্রুতই পেয়ে যান- রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার গোলাই গ্রামের কৃষক তারেক বিন মাহতাব। গতবছর তিনি ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধানের আবাদ করলেও, এবছর করবেন ১০ বিঘা জমিতে। ‘এবছরই প্রথম উচুঁ ডাঙ্গার জমিতে সরিষার চাষাবাদ করেছিলাম। যেসব জমি থেকে ইতিমধ্যে সরিষা তোলা হয়েছে, সেখানে সরিষার ফলন ভালো হয়েছে ‘- বলেন তিনি।ফসল চাষে বৈচিত্র্য থাকলে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায়, তাছাড়া চালের দামও আগের চেয়ে বেশি।৪ শতক জমিতে বেগুন আর শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন নওগাঁ সদরের ভীমপুর গ্রামের বাসিন্দা মোকাব্বর আলী।এই কৃষক বলেন, ‘জমিতে বিভিন্ন ফসল চাষের পরিকল্পনা করছি। খাবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে বাড়ির উঠানজুড়ে এখন বিভিন্ন সবজির চাষ করব। একইসাথে ৩ জোড়া ষাঁড় পালনেরও চেষ্টা করছি। অন্য কৃষকরাও সর্বোচ্চ চেষ্টা নিয়ে এগিয়ে এলে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে’। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

চুরি সিস্টেম লসে বিদ্যুতে সর্বনাশ
♦ অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যোগসাজশেই হরিলুট ♦ চুরির ক্ষতি দেখানো হচ্ছে সিস্টেম লস হিসেবে ♦ বছরে নেই সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা ♦ মেলে না কাক্সিক্ষত সেবা, আছে গ্রাহক হয়রানি

সিস্টেম লসের নামে বিদ্যুৎ চুরি থামছেই না। দিনের পর দিন প্রকাশ্যে অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ চুরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। চুরির বিদ্যুৎ সিস্টেম লস হিসেবে চালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। চুরির মহোৎসব চললেও এ বিষয়ে কাউকে কোনো জবাবদিহি করতে হয় না। বরং চুরির কারণে যে লোকসান হয়, তা পুষিয়ে নিতে গ্রাহকপর্যায়ে চরম হয়রানি করা হয়। ভুতুড়ে বিল ও ঘুষ-দুর্নীতিও চলে সমানে। আবার অনেক ক্ষেত্রে বছর শেষে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে তা পুষিয়ে নেওয়া হয়। সময়ের সঙ্গে ঢাকায় পর্যায়ক্রমে কয়েকটি বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা গঠিত হলেও বন্ধ হয়নি সিস্টেম লস। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) থেকে প্রথমে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থায় গঠিত হয় ঢাকা ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই অথরিটি (ডেসা)। পরে অনিয়মের মুখে পড়ে বিলুপ্ত হয় ডেসা। গঠিত হয় ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো) এবং ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ডিপিডিসি)। বিদ্যুতের গ্রাহকদের অভিযোগ, দুটি বিতরণ কোম্পানি থেকে তারা আশানুরূপ সেবা পাচ্ছেন না। পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে। নতুন সংযোগ পেতে অসাধু কর্মকর্তাদের ঘুষ দিতে হচ্ছে। এ অবস্থায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের তরফে বিভিন্ন সময় সিস্টেম লস কম করে দেখানো হলেও তা আসলে কমে না, উল্টো সিস্টেম লসের নামে গোঁজামিল দেওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্যানুসারে, এ খাতে সিস্টেম লসের কারণে অপচয় হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা। বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ২০১০-১১ সালে বিদ্যুৎ খাতে সামগ্রিকভাবে বছরে গড় সিস্টেম লস ছিল ১৪ দশমিক ৭৩ শতাংশ। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশি বেড়েছে

ডিসেম্বরে প্রতিদিন ফেসবুক ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে গড়ে দুই বিলিয়নে ঠেকেছে – যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় এক চতুর্থাংশ। প্রত্যাশার তুলনায় বেশি হওয়া এই প্রবৃদ্ধি কোম্পানিটি নিয়ে নতুন আশার সঞ্চার করতে সাহায্য করেছে। এরইমধ্যে কোম্পানিটি ব্যয় বৃদ্ধি এবং বিজ্ঞাপন বিক্রয় কমে যাওয়ার কারণে চাপের মধ্যে ছিল। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ২০২৩ সালকে “দক্ষতার বছর” হিসাবে ঘোষণা করার পর মূল কোম্পানি মেটা-এর শেয়ারের দাম বাজারের মূল বাণিজ্য ঘণ্টা শেষ হয়ে যাওয়ার পরও পরবর্তীতে ১৫ শতাংশের বেশি বেড়েছে।তিনি বলেছিলেন যে তিনি ব্যয় কমানোর দিকে নজর দিয়েছেন।”আমরা এখন একটি ভিন্ন পরিবেশে আছি,” তিনি ফার্মের মুনাফার দিকে ইঙ্গিত করেন, যা ২০২২ সালে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কমেছে। এর আগে কয়েক বছর ধরে ফার্মটির মুনাফার প্রবৃদ্ধির হার দুই অংকের ঘরেই ছিল। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

জানুয়ারিতেও রপ্তানি আয় ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘরে

শিল্পমালিকদের আশঙ্কা ভুল প্রমাণ করে গত দুই মাসের ধারাবাহিকতায় জানুয়ারির রপ্তানি আয়ও ৫ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।বৃহস্পতিবার রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) থেকে প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, জানুয়ারিতে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই আয় আগের বছরের একই মাসের ৪৮৫ কোটি ডলারের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ বেশি। তবে এবারের জানুয়ারির ৫২৪ কোটি ৬০ লাখ ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১০ শতাংশ কম।গত নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসেও ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য রপ্তানি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। সবশেষ ডিসেম্বর মাসে ৫৩৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় হয় রপ্তানি থেকে, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। সূত্র: বিডি নিউজ