‘রমজানে নিত্যপণ্য সংগ্রহে ঘাটতি হবে না, এলসি খোলা হয়েছে’

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৮ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩

রোজায় চাহিদা বাড়ে এমন পাঁচ নিত্যপণ্যের যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে-বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. মেজবাউল হক। তিনি বলেন, আসছে রমজানে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর, পেঁয়াজ ও ছোলাসহ ভোক্তাদের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য সংগ্রহে কোনো ঘাটতি হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক এক সংবাদ সম্মেলন এ তথ্য জানায়।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, আসন্ন রমজানে পাঁচ পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে। এসব পণ্য আমদানিতে যথেষ্ট পরিমাণ ঋণপত্র খোলা হয়েছে। তিনি বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে এলসি না খুলতে পারার খবর এসেছে। আমরা মনে করছি- নিবিড় তদারকির মাধ্যমে পণ্য সরবরাহ করা হলে এসব পণ্যের কোনো ঘাটতি হবে না।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে ছোলার এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ মেট্রিক টন। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার ৫৯৬ মেট্রিক টন। জানুয়ারিতে পেঁয়াজের এলসি খোলা হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ মেট্টিক টন, যা গত বছর ছিল ৩৬ হাজার ২২৫ মেট্রিক টন। সদ্য বিদায়ী জানুয়ারি মাসে খেজুরের এলসি খোলা হয়েছে ২৯ হাজার ৪৮১ মেট্রিক টন। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে খেজুরের এলসি খোলা হয়েছিল মাত্র ১৬ হাজার ৪৯৮ মেট্রিক টন। রোজার আগেই আমাদের এসব পণ্য চলে আসবে। এজন্য কোনো নীতিসহায়তার প্রয়োজন হলে সেটাও দেওয়া হবে।

বছরের একই সময়ে ঋণপত্র খোলা কমে হয়েছে দুই লাখ ২৪ হাজার ৫৬৬ টন। গত বছরের একই মাসে ৩৬ হাজার ২২৫ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছিল, এবার যা বেড়ে হয়েছে ৪২ হাজার ৫৬২ টন। খেজুর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা এ বছর বেড়েছে। গত বছরের ১৬ হাজার ২৯৮ টন থেকে বেড়ে বর্তমান বছরে ২৯ হাজার ৪৮১ টন। সব মিলিয়ে এই পাঁচ পণ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছিল ১১ লাখ ৮২ হাজার ৭৭৩ টনের জন্য। তবে এ বছরের জানুয়ারিতে তা বেড়ে হয়েছে ১২ লাখ ৫৩ হাজার ৪০৫ টন।

সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক আরও বলেন, রমজানের পণ্য আমদানিতে নীতি সহায়তা দেওয়া হয়েছে। চাহিদামতো ঋণপত্র খোলা হচ্ছে। আশা করছি পণ্য সরবরাহও স্বাভাবিক থাকবে।

Nagad

সাত মাসে রিজার্ভ থেকে ৯২০ কোটি ডলার বিক্রি : সংবাদ সম্মেলনে মেজবাউল হক জানান, ডলারের সংকট কাটাতে উচ্চাভিলাষী পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিতের পাশাপাশি বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর পরও সংকট কাটছে না। এ কারণে জরুরি আমদানি দায় মেটাতেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে প্রতিনিয়ত ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ৯২০ কোটি বা ৯ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরের পুরো সময় রিজার্ভ থেকে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন বা ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক।