‘ছেলেমেয়েরা খুব মেধাবী, সুযোগ পেলে অসাধ্য সাধন করতে পারে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ২:২০ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। -সংগৃহীত ছবি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের ছেলেমেয়েরা খুব মেধাবী, একটু সুযোগ পেলে তারা অসাধ্য সাধন করতে পারে।

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা পাস করতে পারেনি, তারা যেন মন খারাপ না করে। সামনে ভালো করার জন্য নতুন করে যেন উদ্যোগ নেয়। আমাদের ছেলে-মেয়েরা কেন ফেল করবে?

বুধবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলি হলে ২০২২ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, আমি দেখলাম পাসের হারে মেয়েদের সংখ্যা বেশি। তার মানে, ছেলেদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। প্রথম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের হাতে করা। কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রেখে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করেছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এর প্রধান হাতিয়ার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার উদ্যোগ দিয়েছি। অনেকগুলো কৃষি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।

Nagad

শেখ হাসিনা বলেন, আমরা নিয়ম করেছিলাম, ফলাফল ৬০ দিনের মধ্যে দিতে হবে। এবার আপনারা ৬০ দিনের আগেই দিয়েছেন। তাই সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

তিনি বলেন, জাতির জনক সোনার বাংলা গড়ার জন্য সোনার মানুষ চেয়েছেন। আজকের ছেলে-মেয়েরাই তো সোনার মানুষ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এর প্রধান হাতিয়ার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। শিক্ষাকে আমরা সবসময় গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের উদ্যোগের ফলে শিক্ষার হার বেড়েছে। বহুমুখী শিক্ষাব্যবস্থা করেছি। যুগোপযোগী শিক্ষা বা বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার উদ্যোগ দিয়েছি। অনেকগুলো কৃষি ও বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি।

আমরা গবেষণায় গুরুত্ব দিচ্ছি। বিজ্ঞান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে গবেষণা হচ্ছে। কৃষির গবেষণায় খুব ফল পাচ্ছি। গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবন হয়। সব সেক্টরকে গবেষণায় এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে বেশি উদ্যোগ নেওয়া উচিত।

মাদরাসা শিক্ষাকে আরও বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং নিতে আরও সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। কর্মসংস্থান তৈরি হবে।

এসময় শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ সচিব ও শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান এবং পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাদিন. ৭ ফেব্রুয়ারি