আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

হিরো আলম বললেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি’

উপহারের গাড়ি নিয়ে বগুড়ার দুটি আসনের উপনির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী হিরো আলম ঝামেলায় পড়েছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি আজ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, ‘উপহারের গাড়ি নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছি।’ তাঁর দাবি, উপহারের গাড়ি হস্তান্তরের আগে উপহারদাতা শিক্ষক গাড়িটির ফিটনেস না থাকা ও ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি তাঁকে জানাননি। আর হবিগঞ্জে গাড়ি হস্তান্তরের সময় মানুষের ভিড়ের কারণে কাগজপত্র সেভাবে দেখার সুযোগ হয়নি তাঁর। তবে উপহারের গাড়ি ফেরত দেবেন না বলে জানালেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘গাড়িটির কাগজপত্র নিয়ে যত জটিলতাই হোক, উপহারের গাড়ি ফেরত দিব না। এটা করলে ওই শিক্ষককে অপমান ও ছোট করা হবে। গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স বানিয়ে গরিব মানুষের সেবায় দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছি, এখন গাড়িটি বৈধভাবে রাস্তায় চলাচল উপযোগী করতে যা অর্থ লাগে, তা খরচ করতে রাজি আছি। তবে যেহেতু গাড়িটি অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে ব্যবহার করা হবে, তাই বকেয়া মওকুফ চেয়ে বিআরটিএতে আবেদন করব। দু-এক দিনের মধ্যে কোনোরকমে গাড়িটি বগুড়ায় ওয়ার্কশপে নিয়ে অ্যাম্বুলেন্স বানানোর কাজ শুরু করব। এর মাধ্যমে হিরো আলম ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।’
হিরো আলমকে গাড়ি উপহার দেওয়া এম মখলিছুর রহমান হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার নরপতি গ্রামের হাজি আবদুল জব্বার জিএল একাডেমি অ্যান্ড হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক। উপনির্বাচনের এক দিন আগে গত ৩১ জানুয়ারি ফেসবুক লাইভে এসে তিনি হিরো আলমকে নিজের ব্যবহৃত নোয়া মাইক্রোবাসটি উপহার দেওয়ার ঘোষণা দেন। উপহারের গাড়ি নিতে গত মঙ্গলবার হবিগঞ্জে যান হিরো আলম। সূত্র: প্রথম আলো

ছাড় কমছে, পাসের হারও কমেছে

গত দুই বছরের মতো ২০২২ সালের উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় বিশেষ ছাড় দেওয়া হলেও কিছু সুবিধা কমানো হয়েছে। এতে অনেক বিষয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পাসের হার কমেছে। তবে বিশেষ ছাড়ের কারণে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তির হার বেড়েছে। করোনার কারণে ২০২২ সালসহ টানা তিন বছর উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। তিন বছরই শিক্ষার্থীদের পাসের হারের সঙ্গে জিপিএ ৫ পাওয়ার হার কয়েক গুণ বেড়েছে।করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় ২০২০ সালের পরীক্ষার্থীদের অটোপাস দেওয়া হয়। সে সময় শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করে, যা বিগত সময়ের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি। ২০২০ সালে জিপিএ ৫ পেয়েছে পৌনে দুই লাখ শিক্ষার্থী, আগের বছর যা ছিল ৫০ হাজারের কম। সূত্র: কালের কণ্ঠ

বিদেশে সম্পদ কেনার উৎসব

বিদেশে বাড়ি ও সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রে উৎসব চলছে বাংলাদেশিদের। কানাডা, যুক্তরাষ্ট্রের পর দুবাই ও লন্ডনে হিড়িক পড়েছে সম্পদ কেনার। আগেই আগ্রহের স্থান ছিল সিঙ্গাপুর ও মালয়েশিয়া। এখন সম্পদ কেনার পরিমাণ এতটাই বেড়েছে যে, বাংলাদেশিরা এখন সম্পদ কেনায় ধনী দেশের নাগরিকদের টপকিয়ে দখল করে নিচ্ছেন শীর্ষস্থানগুলো। ইতোমধ্যে দুবাইয়ে ফ্ল¬্যাট কেনার ক্ষেত্রে বাংলাদেশিরা সারা বিশ্বে রয়েছেন এক নম্বরে। আবার লন্ডনের অভিজাত স্থানে সম্পত্তি কেনার ক্ষেত্রেও শীর্ষ দশে আছেন বাংলাদেশিরা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এসব সম্পদ কিনতে যেসব অর্থ ব্যয় করা হয়েছে, তা বৈধ বা অবৈধ যে উপায়েই আয় করা হোক, দেশের বাইরে নেওয়া হয়েছে অবৈধ উপায়ে। কারণ বাংলাদেশ থেকে অর্থ স্থানান্তরে কোনো ক্ষেত্রেই অনুমোদন নেওয়া হয়নি। জানা যায়, বিশ্বের ধনীদের দ্বিতীয় ঘর হয়ে উঠছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। এর মধ্যেই দুবাইয়ে বাড়ি কেনায় বিপুল বিনিয়োগ করেছেন বাংলাদেশিরা। করোনা মহামারির একটি নির্দিষ্ট সময়ে যারা জমি-বাড়ি কিনছেন, তাদের মধ্যে বাংলাদেশিরা সবার আগে। দুবাইয়ের সরকারি নথিপত্র ও গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, (২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত) বাংলাদেশিরা দুবাইয়ে ১২ কোটি ২৩ লাখ দিরহাম বা ৩৪৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে বাড়ি-ফ্ল্যাট কিনেছেন। বেশ কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্যানুসারে, (দুবাইয়ে বাড়ি-ফ্ল্যাট কেনার এ তালিকায় আছেন ব্যবসায়ী, রাজনীতিক ও আমলারা) দুবাইয়ের এসব বিনিয়োগের গোপনীয়তা রক্ষা করা হয়। এ ছাড়া দেশটিতে ১ কোটি দিরহাম বা ২৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হলে গোল্ডেন ভিসা দেওয়া হয়। বিদেশিদের বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধও শিথিল করা হচ্ছে। লেনদেনের ৭০ শতাংশ হচ্ছে নগদ অর্থে। পৃথিবীর সব দেশের ক্ষমতাবান ও সামর্থ্যবানেরা সেখানে বাড়ি কিনছেন। রাশিয়ার তেল ব্যবসায়ীরা পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে যেমন দুবাইয়ে বাড়ি কিনছেন, তেমনি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ফুলে ফেঁপে ওঠা পাশের আরব দেশগুলোর ব্যবসায়ীরাও পাড়ি জমাচ্ছেন সেখানে। হলিউড-বলিউড ও ফুটবল বিশ্বের বিলিয়নিয়ার তারকারাও কিনছেন দুবাইয়ে বাড়ি ও ফ্ল্যাট। কিন্তু এসবের মধ্যেই বাংলাদেশিরা তালিকার শীর্ষে উঠে এসেছেন।
লন্ডনের সবচেয়ে অভিজাত এলাকায় প্রপার্টি কেনা শীর্ষ দশে বাংলাদেশিরা -সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

কমেছে পাশের হার ও জিপিএ-৫
তবুও কমতি নেই উচ্ছ্বাসে
গত বছর পরীক্ষা ছিল তিন বিষয়ে, এবার হয়েছে ১২টিতে, তাই ফল তুলনামূলক খারাপ * আগের মতো ইংরেজিতে অকৃতকার্যের হার বেশি

এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গত বছরের চেয়ে এবার পাশের হার এবং জিপিএ-৫ উভয়ই কমেছে। এরপরও আনন্দ-উচ্ছ্বাসে কমতি ছিল না শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের। তাদের মতে, গতবার পরীক্ষা হয়েছে তিন বিষয়ে, এ বছর হয়েছে ১২টিতে। তাই তুলনামূলক ফল খারাপ হয়েছে। এছাড়া লেখাপড়ার জন্য কার্যকর অর্থে সময় পেয়েছে নির্ধারিত দুই বছরের পরিবর্তে এক বছর। তাই শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ ছিল অপেক্ষাকৃত বেশি। সেই হিসাবে পরীক্ষার ফল ভালো হয়েছে। তবে বরাবরের মতো শিক্ষার্থীদের কাছে কঠিন বিষয় হিসাবে চিহ্নিত ইংরেজিতে অকৃতকার্যের হার তুলনামূলক বেশি। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ফলাফলের ওপর। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৫৭ দিনের মাথায় বুধবার এ ফল প্রকাশ করা হয়। এইচএসসি, আলিম এবং এইচএসসি (বিএম-ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা) ও ডিপ্লোমা ইন কমার্স পরীক্ষা এবারও ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে নেওয়া হয়। সব মিলে পাশের হার ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ, যা গত বছর ছিল ৯৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। আর সর্বোচ্চ সাফল্য হিসাবে বিবেচিত জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২৮২ শিক্ষার্থী। গত বছর ১ লাখ ৮৯ হাজার ১৬৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছিল। অর্থাৎ পাশের হার কমেছে ৯.৩১ শতাংশ আর জিপিএ-৫ কমেছে ১২ হাজার ৮৮৭টি। বুধবার দুপুর ১টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে (আমাই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফলের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। তবে এর আগে বেলা ১১টার দিকে ফলপ্রকাশের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর ৫২ মিনিট পর শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়েবসাইট এবং এসএমএসসহ ডিজিটাল মাধ্যমে ফল জানার ব্যবস্থা উন্মুক্ত করা হয়। পাশাপাশি একই সময়ে নিজ নিজ কলেজ ও মাদ্রাসা থেকেও শিক্ষার্থীরা ফল জানতে পেরেছে। আনুষ্ঠানিক ফলপ্রকাশ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিবসহ বিভিন্ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সূত্র: যুগান্তর।

‘চটপটি বিক্রেতা’ তাহিবুল পেলেন জিপিএ-৫

পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। এ প্রবাদকে যেন জীবনের ধ্রুবতারা করে নিয়েছেন তাহিবুল ইসলাম। তাইতো চটপটি বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করলেও পড়াশোনা ছেড়ে দেননি তিনি। দিনে চটপটি বিক্রি করে বাড়ি ফিরে গভীর রাত পর্যন্ত করেছেন পড়াশোনা। তাহিবুলের এই পরিশ্রম বিফলে যায়নি। এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়ে কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার এই তরুণ। তাহিবুল উপজেলার পৌর শহরের পূর্ব পাড়া এলাকার বাদল হোসেনের ছেলে। চাঁদপুর ফাজিল মাদ্রাসা থেকে এবারের আলিম পরীক্ষায় অংশ নেন তিনি। তাহিবুলের এমন সাফল্যে যারপরনাই খুশি তার পরিবারসহ ওই এলাকার লোকজন।বিরামপুর উপজেলার মেইন রোডসংলগ্ন বাস কাউন্টার এলাকায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নিয়মিত চটপটি বিক্রি করেন তাহিবুল। একসময় বাবাকে চটপটি বিক্রি করতে সাহায্য করা তাহিবুল এখন একাই ব্যবসা পরিণত করেন। সূত্র: সমকাল

সংকটেও বেড়েছে বিনিয়োগ

নানা সংকটের মধ্যেও দেশে বিনিয়োগ বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) চূড়ান্ত হিসাবে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে চলতি মূল্যে জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদনের) আকার দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা। আর সব মিলিয়ে দেশে বিনিয়োগ হয়েছে ১২ লাখ ৭২ হাজার ৮২৭ কোটি টাকা। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে গত অর্থবছরে (২০২১ সালের জুলাই থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত) জিডিপির ৩২ দশমিক শূন্য পাঁচ শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছে। আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) জিডিপির ৩১ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ বিনিয়োগ হয়েছিল। তার আগের বছরে (২০১৯-২০) এই হার ছিল ৩১ দশমিক ৩১ শতাংশ।বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোকে ঘিরে দেশে বিনিয়োগের একটি আবহ তৈরি হয়েছিল। সে কারণেই গত অর্থবছরে দেশে বিনিয়োগ খানিকটা বেড়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতির গবেষক আহসান এইচ মনসুর। অর্থবছর শেষ হওয়ার সাত মাস পর গত রোববার পরিসংখ্যান ব্যুরো জিডিপি প্রবৃদ্ধির চূড়ান্ত হিসাবের পাশাপাশি জাতীয় বিনিয়োগের তথ্যও প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে চলতি মূল্যে জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৭১ হাজার ৭১৬ কোটি টাকা বা ৪৬০ দশমিক ২১ বিলিয়ন ডলার। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

পণ্যে মূল্য সংযোজন বেড়েছে বাংলাদেশের পোশাক খাতের

আমদানি কমে স্থানীয় মূল্য সংযোজন বাড়ায় বর্ধিত হচ্ছে বাংলাদেশের পোশাক খাত। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক শিল্প (আরএমজি) ৬২.৭৮ শতাংশ মূল্য সংযোজন অর্জন করেছে, আগের প্রান্তিকের চেয়ে এক্ষেত্রে উন্নতি হয়েছে ১১.৩৯ শতাংশীয় পয়েন্ট।
অক্টোবর-ডিসেম্বর প্রান্তিকে এ শিল্পের আমদানিকৃত কাঁচামালের মূল্য ছিল ৪.১১ বিলিয়ন ডলার, যা ছিল আরএমজির মোট রপ্তানি আয়ের ৩২.৩১ শতাংশ। এতে এ খাতে নেট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৮.৬১ বিলিয়ন ডলারে, যা পূর্ববর্তী প্রান্তিকের চেয়ে ৬২.৭৯ শতাংশ এবং আগের বছরের একই প্রান্তিকের চেয়ে ৩৭.৩৯ শতাংশ উচ্চ।
২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর থেকে টানা আট প্রান্তিক ধরে মূল্য সংযোজন কমার পর এসেছে এই উন্নতি। এরজন্য আরও ভালো দরে রপ্তানি বৃদ্ধি এবং কাঁচামাল আমদানি কমার অবদান রয়েছে বলে জানা গেছে।বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বরে) পোশাক খাত ৫১.৩৯ শতাংশ মূল্য সংযোজন করে, যা ছিল সবচেয়ে নিম্ন বা ৫.২৯ বিলিয়ন ডলার। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

যুক্তরাষ্ট্র-চীন
কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকলেও বাণিজ্যে রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা এখন মোটামুটি সর্বজনবিদিত। বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের সম্পর্কের টানাপড়েনের মধ্যেও বাণিজ্যে কোনো ভাটা পড়েনি। বরং ২০২২ সালে চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্যে রীতিমতো রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। মার্কিন কর্তৃপক্ষের তথনুযায়ী, দেশ দুটির মধ্যে গত বছর দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে ৬৯ হাজার ৬০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। ইউএস ব্যুরো অব ইকোনমিকসের বিশ্লেষণ বলছে, চীনে রফতানির পরিমাণ ২৪০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে হয়েছে ১৫ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার। একই সময়ে চীনের পণ্য আমদানির পরিমাণ ৩ হাজার ১৮০ কোটি ডলার থেকে বেড়ে ৫৩ হাজার ৬৮০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। এর আগে ২০১৮ সালে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৫ হাজার ৮৮০ কোটি ডলার। সূত্র: বণিক বার্তা।

‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন সীমা থাকল না

আর্থিক লেনদেনে চালু করা ‘বাংলা কিউআর’ কোডে দৈনিক লেনদেনের সীমা তুলে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এতদিন দৈনিক লেনদেনের সর্বোচ্চ সীমা ছিল ২০ হাজার টাকা। বুধবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক সার্কুলারে ওই সীমা তুলে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে সন্দেহজনক বা বড় অংকের লেনদেনগুলো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে যাচাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে এবং সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারবে।কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ‘‘ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো নিজস্ব ঝুঁকি বিবেচনায় মার্চেন্ট পেমেন্টের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক বাংলা কিউআর কোডভিত্তিক লেনদেনের জন্য একক লেনদেনের সীমা, দৈনিক লেনদেনের সীমা এবং সংখ্যা নির্ধারণ করতে পারবে।” সূত্র: বিডি নিউজ

খালেদা জিয়ার সাজা বিএনপির রাজনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে

বাংলাদেশে প্রধান বিরোধী দল বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া পাঁচ বছর আগে ২০১৮ সালের ৮ই জানুয়ারি পাঁচ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে কারাবন্দী হয়েছিলেন। দুই বছর পর ২০২০ সালে তাকে বিদেশে না যাওয়া এবং নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা নেয়া- এই দুই শর্তে কারাগার থেকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয়া হয়। পরবর্তীতে কয়েক দফায় সেই মুক্তির মেয়াদ বাড়িয়েছে সরকার।কিন্তু কারাগারে যাওয়া বা পরবর্তীতে মুক্তির পর থেকে প্রত্যক্ষ রাজনীতির বাইরে রয়েছেন খালেদা জিয়া। বাসায় আসার পর থেকেও তাকে আর সরাসরি কোন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে দেখা যায়নি।এরপর অসুস্থতার কারণে তাকে কয়েক দফায় হাসপাতালেও কাটাতে হয়েছে। খালেদা জিয়ার এই অনুপস্থিতি রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপির ওপর কতটা প্রভাব ফেলেছে? সূত্র: বিবিসি বাংলা।