আজকের দিনের আন্তর্জাতিক পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩

তুরস্ক–সিরিয়ায় ভূমিকম্প
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে আসা উদ্ধারের আকুতি ধীরে ধীরে থেমে যাচ্ছে

তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্প থেকে প্রাণে বেঁচে যাওয়া লোকজন দুর্বিষহ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেই এখন খাদ্য ও আশ্রয়ের জন্য ছুটছেন। যাঁদের স্বজন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন, তাঁদের অসহায়ত্ব আরও বেশি। কেউ কেউ বলছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে স্বজনদের উদ্ধারের আকুতি তাঁরা শুনেছেন। তবে তাঁরা কিছু করতে পারেননি। কিন্তু এখন আর তাঁরা কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছেন না। তুরস্কের হাতায়ে শহরের একটি কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষক সেমির কোবান। তিনি ভূমিকম্প থেকে প্রাণে বেঁচে গেছেন। এই শিক্ষক বলেন, তাঁর ভাগ্নে, ভগ্নিপতি, ভগ্নিপতির বোন ধ্বংসস্তূপের নিচে আছেন। এখন তাঁদের বেঁচে থাকার কোনো আলামত তাঁরা পাচ্ছেন না।
সেমির কোবান বলেন, তাঁরা ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা স্বজনদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। তাঁরা স্বজনদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছেন। কিন্তু স্বজনেরা কোনো সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁরা সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করছেন। ভূমিকম্পের পর অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। সূত্র: প্রথম আলো

মৃত্যুপুরী ছাড়ার মরিয়া চেষ্টা

তুরস্ক ও সিরিয়ায় কয়েক দফা ভূমিকম্প এবং অনেকগুলো পরাঘাতের পর ধ্বংসনগরী গাজিয়ান্তেপ ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে স্থানীয় লোকজন। তবে বিমানবন্দর ব্যবহারের অনুপযুক্ত হওয়ায় এবং বেশির ভাগ সড়ক বন্ধ থাকায় শহর ছেড়ে যাওয়াও কঠিন দুর্ভোগের বিষয় হয়ে উঠেছে। নিরাপদ অঞ্চলে যেতে সময় লাগছে স্বাভাবিক অবস্থার চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। গাজিয়ান্তেপ শহরটি ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে। শহর ছাড়তে না পেরে অনেকে আশ্রয় নিয়েছে মসজিদ, স্টেডিয়াম ও কমিউনিটি সেন্টারে। বাসস্টেশনে গেলে দেখা যাচ্ছে দীর্ঘ সারি। টিকিট পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত। বাস ছাড়লেও অনেক সড়ক বন্ধ থাকায় দুর্যোগকবলিত আরেক শহর আদানায় আটকে পড়েছে অনেকে।ইউক্রেনীয় শরণার্থী মারিয়া হনচারুক (২৪) গাজিয়ান্তেপে বাস করতেন। ভূমিকম্পের পর থেকে শহরটি ছাড়ার চেষ্টায় আছেন তিনি। মারিয়া বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এখান থেকে যত দূর সম্ভব দূরে যেতে চাই।’ সূত্র: কালের কণ্ঠ

চীনা নজরদারি বেলুন: ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে যে তথ্য দিল যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বাস চীনা নজরদারি বেলুন কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটা চীনের পাঁচ মহাদেশ জুড়ে চালানো নজরদারি কার্যক্রমের বেলুন বহরের একটা অংশ। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘এই প্রোগামের একমাত্র টার্গেট যুক্তরাষ্ট্র নয়।’মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, তারা বেলুনের ধ্বংসাবশেষ ঘেটে পাওয়া তথ্য বেশ কয়েকটি দেশের সাথে শেয়ার করেছি।যদিও চীন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বেইজিংয়ের দাবি, তারা এই বেলুন গোয়েন্দাগিরির কাজে লাগায়নি, এটা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণের জন্য।যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, চীনা এই বেলুনটি ২০০ ফুট বা ৬০ মিটার লম্বা। এটি ওজনেও বেশ ভারী ছিল। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

Nagad

২০০ কোটি টাকা দাবি করে অমিত শাহকে খুনের হুমকি!

ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খুনের হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন এক বাড়িওয়ালা। এ চিঠিটি ইংরেজি ভাষায় লেখা। আবার চিঠিটি কম্পিউটারে টাইপ করা। এই চিঠির বিষয় সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে।চিঠিতে ২০০ কোটি টাকা দাবি করা হয়েছে, যা না পেলে খুন করা হবে শাহকে বলে উল্লেখ রয়েছে।
একটি সূত্রের বরাত দিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ইংরেজি ভাষায় লেখা এ চিঠিটি ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসে কলকাতার লিন্টন স্ট্রিট ডাকঘর থেকে স্পিড পোস্ট মারফত নয়াদিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
অমিত শাহের উদ্দেশে লেখা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০০ কোটি টাকা দিন। টাকা না পেলে আপনাকে খুন করা হবে। সেটির জন্য প্রস্তুত থাকুন। এই চিঠির বিষয় সরকারিভাবে জানানো হয়নি। তবে তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে নেমেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তারা তথ্য পেয়েছে, কলকাতার বেনিয়াপুকুর এলাকার এক সংখ্যালঘু ব্যক্তি এবং বিশপ পরিচয়ের অন্য একজনের নাম করে এই হুমকি চিঠি দেওয়া হয়েছে। তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এ দুজনের সঙ্গেই কথা বলেছেন। তাতেই তারা নিশ্চিত যে, হুমকি চিঠির নেপথ্যে এই বিশপ বা সংখ্যালঘু ব্যক্তির কোনো যোগ নেই। এ হুমকি চিঠিকে রাজনৈতিকভাবে বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতেই দুজনের নাম জড়ানো হয়েছে। সূত্র: যুগান্তর ।

হঠাৎ যুক্তরাজ্যে জেলেনস্কি

যুক্তরাজ্য সফরে গেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল বুধবার লন্ডনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্ট্যানস্টেড বিমানবন্দরে তাঁকে বহনকারী বিমানটি অবতরণ করে। তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দেখা করেন। বাকিংহাম প্যালেস জানিয়েছে, জেলেনস্কির সফরের সময়ে রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। পাশাপাশি তিনি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। খবর এএফপি ও রয়টার্সের।
উক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো দেশের বাইরে সফরে গেলেন জেলেনস্কি। লন্ডন সফরের শুরুতেই তিনি নতুন সামরিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে উন্নত ন্যাটো যুদ্ধবিমান চালাতে ইউক্রেনীয় বিমানবাহিনীর পাইলটদের প্রশিক্ষণ। যদিও পশ্চিমা দেশগুলো কিয়েভকে এখনও এ ধরনের ফাইটার জেট সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেয়নি। ঋষি সুনাকের কার্যালয় জানিয়েছে, ভলোদিমির জেলেনস্কি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন এবং যুক্তরাজ্যে ইউক্রেনীয় সেনাদের প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করবেন। এক বিবৃতিতে সুনাক জানিয়েছেন, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাজ্য সফর তাঁর দেশের সাহস, দৃঢ়সংকল্প এবং লড়াইয়ের একটি প্রমাণ। দুই দেশের অটুট বন্ধুত্বের প্রমাণও এটি। সূত্র; সমকাল

দুর্গত এলাকায় এরদোয়ান, বাড়ছে জন-অসন্তোষ

‘আমার ছোট্ট দুই ভাতিজি ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়েছে। দিনভর অপেক্ষা করেও কেউ তাদের উদ্ধার করতে আসেনি। আমি নিশ্চিত, এতক্ষণে তারা আর জীবিত নেই।’ এভাবেই গত মঙ্গলবার রাতে বিবিসির কাছে সরকারি উদ্ধার কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ আর কষ্টের কথা তুলে ধরেন এক তুর্কি নারী। তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলীয় ইসকেনদারুন জেলার নুমুনি এলাকায় ধ্বংসস্তূপের সামনে তিনি তার ভাতিজিদের জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছেন। ৬৪ বছর বয়সী আরেক বৃদ্ধা তাঁবু আর খাবারের জন্য চিৎকার করছিলেন। ভূমিকম্পের আঘাত থেকে তিনি প্রাণে বেঁচেছেন। তবে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আর ক্ষুধায় তিনি কাতর হয়ে পড়েছেন। বুধবার রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘এখানে আমরা কোনো খাবার বিতরণ করতে দেখিনি। আমরা অনেকেই ভূমিকম্প থেকে বেঁচেছি। কিন্তু ক্ষুধা আর ঠাণ্ডায় প্রাণ হারাব।’ সূত্র: দৈনিক বাংলা।

ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ছাড়ালো ১৫ হাজার, আটকে পড়াদের বাঁচাতে ফুরিয়ে আসছে সময়

একই দিনে সংঘটিত পরপর দুটি ভূকম্পনে টালমাটাল তুরস্ক। বৈরী আবহাওয়া, পর্যাপ্ত সরঞ্জাম ও সহায়তার অভাবে বারবার উদ্ধার অভিযান ব্যর্থ হচ্ছে, বেড়ে চলেছে মৃত্যুর মিছিল।ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে সাড়াদান নিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের সমালোচনায় মুখর হয়েছেন তাই অনেকেই। তবে এরদোয়ান এসব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। তুর্কি প্রেসিডেন্টের ভাষ্যে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে যে বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে দ্রুত সাড়াদান সহজ ছিল না।বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় নিহতের সংখ্যা ১৫,০০০ ছাড়িয়েছে। সমালোচকরা বলছেন, সরকারের জরুরী পরিষেবাগুলো দ্রুত সাড়া প্রদানে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের প্রস্তুতিরও ছিল যথেষ্ট ঘাটতি। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

কানাডায় বাংলাদেশীদের অভিবাসনের তখন-এখন
লস্কর থেকে তস্কর

উনিশ শতকে কানাডা উপকূলে আসা ব্রিটিশ বাণিজ্য জাহাজগুলোর অধিকাংশই নোঙর ফেলত ভ্যাঙ্কুভার বন্দরে। জাহাজগুলো বন্দরের কাছাকাছি এলে বা নোঙর ফেললে দেখা যেত খালাসি বা লস্করদের একাংশ জাহাজ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ছে সাগরে। এরপর সাঁতরে তীরে উঠে পালিয়ে যেত তারা। বাড়তি রোজগার ও পরিবারের সচ্ছলতার আশায় ইউরোপ-আমেরিকার বড় বন্দরগুলোয় জাহাজের খালাসি-লস্করদের মতো কর্মচারীদের এভাবে পালানোর ঘটনা সে সময় অহরহই ঘটত। এ লস্করদের বড় একটি অংশ ছিল বাঙালি। অন্য অনেক স্থানের মতো কানাডায়ও বাঙালি অভিবাসনের সূত্রপাত হয়েছিল তাদের মাধ্যমেই। ঔপনিবেশিক শাসনামলে ব্রিটিশ বাণিজ্য জাহাজগুলোর লস্করদের মধ্যে বড় একটি অংশ ছিল বাংলা অঞ্চলের বাসিন্দা। এ পেশায় দক্ষতার প্রয়োজন পড়ত কম। ঝুঁকি নিতে হতো অনেক বেশি। ব্রিটিশ শাসনে দারিদ্র্যপীড়িত বাংলায় শ্রম ছিল সস্তা। অভাব ছিল কর্মসংস্থানের। ঝুঁকি থাকলেও এখানে কম পয়সায় অনেক খালাসি-লস্কর পেত ব্রিটিশরা। হতদরিদ্র এসব মানুষের অধিকাংশই ছিল সিলেট, চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী অঞ্চলের বাসিন্দা। আবার প্রায় বিনা পয়সায় ‘বিদেশ যাত্রার’ সুযোগ নিতেও এ পেশায় যোগ দিয়েছে অনেক মানুষ। সূত্র: বণিক বার্তা।

ভূমিকম্প: ভাইকে বাঁচানোর চেষ্টায় ৩৬ ঘণ্টা আগলে রেখেছিল সিরীয় বোনটি

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে একটি ধসে পড়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা দুই ভাই-বোনকে ভূমিকম্পের ৩৬ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছেন উদ্ধারকর্মীরা। সিরিয়ার হারামের একটি ছোট গ্রাম বেসনায়া-বিসেইনেহ। সোমবার তুরস্ক ও সিরিয়ায় ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানার সময় গ্রামে নিজেদের বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিল ওই শিশু দুটির পরিবার। সিএনএন জানায়, মঙ্গলবার উদ্ধারকর্মীরা যখন ভবনের ধ্বংসস্তূপের ভেতরে দুই শিশুর সন্ধান পান, তখন তারা দেখতে পান, বড় বোনটি তার ছোট ভাইকে যতটুকু সম্ভব সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তাদের উদ্ধার করার সময় ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যায়, বোনটি ফিসফিসিয়ে উদ্ধারকর্মীকে বলছে, “আমাদের উদ্ধার করুন, আমি আপনার জন্য সবকিছু করব। আমি আপনার চাকর হয়ে থাকব।”জবাবে উদ্ধারকর্মীকে বলতে শোনা যায়, “না, না।”শিশুটির নাম মরিয়ম। তাদের বের করে আনার সময় উদ্ধারকর্মীরা দেখতে পান, ছোট ভাই ইলাফের মুখের ওপর একটি হাত দিয়ে তাকে যতটুকু পারা যায় আড়াল করার চেষ্টা করেছে সে। চেষ্টা করেছে তাকে ধুলোবালি থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা করতে। সূত্র: বিডি নিউজ

উদ্ধারকাজের ধীরগতি নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এরদোয়ানের

তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের ওপর মানুষের ক্ষোভও বাড়ছে। মি. এরদোয়ানের বিরুদ্ধে অভিযোগ যে তার সরকার পরিস্থিতি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে, এবং একারণেই সোমবারের বিধ্বংসী ভূমিকম্পে এতো বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।বিধ্বস্ত শহরগুলোর বাসিন্দারা বলছেন, দুর্গত লোকজনের কাছে পৌঁছানোর জন্য সরকারের দুর্যোগ ও জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।এরকম ক্ষুব্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই তুর্কি প্রেসিডেন্ট মি. এরদোয়ান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কিছু এলাকা দেখতে গেছেন। কাহরামানমারাস শহরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি স্বীকার করেছেন, দুর্যোগ পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ব্যাপারে প্রাথমিকভাবে কিছু সমস্যা ছিল। এই শহরটিই ছিল দ্বিতীয় ভূমিকম্পের কেন্দ্র এবং প্রথম ভূমিকম্পের কেন্দ্র থেকে প্রায় ৪০ মাইল দূরে।উদ্ধারকাজে বিলম্ব হওয়ার জন্য তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বিমানবন্দর ও রাস্তাঘাটকে দায়ী করেছেন। তবে তিনি বলছেন, উদ্ধারকাজ এখন স্বাভাবিকভাবেই চলছে।“শুরুতে বিমানবন্দর এবং সড়কে কিছু সমস্যা ছিল। কিন্তু আজ পরিস্থিতি অনেক সহজ হয়ে এসেছে। আগামীকাল আরো সহজ হবে,” বলেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। সূত্র: বিবিসি বাংলা।