‘মুক্তিযোদ্ধাদের মানবেতর জীবনযাপন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সেটা হবে না’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছবি: ফোকাস বাংলা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধারা মানবেতর জীবনযাপন করবে, রিকশা চালাবে, আমি বঙ্গবন্ধুর কন্যা ক্ষমতায় থাকতে সেটা হবে না। আমরা অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ঘর করে দিচ্ছি। ডিজিটাল পদ্ধতিতে তাদের কাছে ভাতা পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা চাই, বেঁচে থাকা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের পরিবার যেন মর্যাদা ও সম্মানের সঙ্গে জীবনযাপন করতে পারেন।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর্থিকভাবে অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে পাঁচ হাজার ‘বীর নিবাস’-এর চাবি হস্তান্তর করেছেন। আজ বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে পাঁচ হাজার বাড়ির চাবি হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। এই অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

মুজিববর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়িগুলো দেওয়া হচ্ছে। গত বছরের ২১ মার্চ একনেকে (জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি) অনুমোদিত ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পটি সরকারি তহবিল থেকে চার হাজার ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একটা সময় মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দেওয়া কঠিন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলেছে। আমরা এসে মুক্তিযোদ্ধাদের মর্যাদা দিয়েছি। বাংলাদেশের ওপর আর যেন কারো কালো থাবা না পড়ে সেদিকে সবার সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠবে। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হবে, এটাই আমরা চাই। যারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছেন, তারা যে দলেরই হোক না কেন, তারা মর্যাদা পাক।’

এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনা, শহীদ ও প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য ৩০ হাজার ‘বীর নিবাস’ নির্মাণ করা। বীর নিবাস নামে পরিচিত প্রতিটি ৬৩৫ বর্গফুট বাড়িতে দুটি শোবার ঘর, দুটি শৌচাগার, একটি খাবার ঘর ও একটি রান্নাঘর রয়েছে।

Nagad

এই প্রকল্পটি আর্থিকভাবে প্রান্তিক মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধাদের বিধবা স্ত্রী ও সন্তানদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উদ্যোগ।

সরকারি সূত্রে জানা গেছে, প্রতিটি বাড়ি নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৪ লাখ ১০ হাজার ৩৮২ টাকা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে নড়াইল, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, গাজীপুর ও কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকরা নিজ নিজ এলাকায় চাবি হস্তান্তর করেন।

সারাদিন. ১৫ ফেব্রুয়ারি