আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৯ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৩

৪৪ বছরে টাকার মান কমেছে ৬০৩ শতাংশ

১৯৭৮ সালে ১ ডলারের জন্য ১৫ টাকা ২২ পয়সা লাগত। এখন লাগে ১০৭ টাকা। শতাংশ হিসাবে এই ৪৪ বছর বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর মুদ্রা আমেরিকান ডলারের বিপরীতে বাংলাদেশি মুদ্রা টাকার মান কমেছে ৬০৩ শতাংশ বা ৬ গুণ। এক বছরেই ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমেছে প্রায় ২৫ শতাংশ। শুধু বাংলাদেশ নয়, ছোট-বড় সব দেশের মুদ্রাই ডলারের বিপরীতে দর হারিয়েছে; এই ৪৪ বছরে ভারতীয় মুদ্রা রুপির মান কমেছে ৯৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ১৯৭৮ সালে ১ ডলারের জন্য মাত্র ৮ রুপি খরচ করতে হতো; এখন লাগছে ৮৩ টাকা। চীনা মুদ্রা ইউয়ান ও ডলারের বিনিময় হার এখন ৬ দশমিক ৮৩ ইউয়ান। অর্থাৎ ১ আমেরিকান ডলারের জন্য ৬ দশমিক ৮৩ ইউয়ান খরচ করতে হয়। ১৯৭৮ সালে লাগত ১ দশমিক ৬২ ইউয়ান। এ হিসাবে ৪৪ বছরে ডলারের বিপরীতে ইউয়ানের মান কমেছে ৩২১ দশমিক ৬০ শতাংশ।
চরম অর্থনৈতিক সংকটে ডুবতে থাকা পাকিস্তানের মুদ্রার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। প্রতিদিনই কমছে দেশটির মুদ্রার মান; প্রতি ডলারের জন্য এখন হাতে গুনে ২৭৫ পাকিস্তানি রুপি দিতে হচ্ছে। ১৯৭৮ সালে লাগত মাত্র ৫ রুপি। শতাংশ হিসাবে ৪৪ বছরে ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি রুপির মান কমেছে ৫৪০০ শতাংশ। সূত্র: দৈনিক বাংলা।

সুনামের ধারায় ফেরানোর উদ্যোগে হোঁচট
স্থানীয় ক্ষমতার দাপটে বেসামাল ছাত্রলীগ
গত ৩০ দিনে বিভিন্ন স্থানে ২৩টি আলোচিত অপরাধমূলক ঘটনা * কেন্দ্রের ইতিবাচক কর্মসূচি, বক্তব্য ও নির্দেশনা, তৃণমূলে উলটো চিত্র * অভ্যন্তরীণ কোন্দল, শিক্ষার্থী নির্যাতন, সিট বাণিজ্যে বিঘ্নিত শিক্ষার পরিবেশ * পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের -সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

শিক্ষা, শান্তি আর প্রগতি স্লোগানের সংগঠন ছাত্রলীগ এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বড় আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থী নির্যাতন, অপহরণ, ছিনতাই, অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সংঘর্ষ এবং সিট বাণিজ্যসহ নানা কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে একশ্রেণির নেতাকর্মী বিতর্কিত করছেন সংগঠনকে। তারা স্থানীয় ক্ষমতার দাপটে বেসামাল হয়ে পড়েছেন। অথচ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের নজির খুবই সামান্য। কখনো তৃণমূলের এসব বিতর্কিত কর্মকাণ্ড নিয়ে তীব্র সমালোচনা হলে নামমাত্র সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কিছুদিন পার হলেই এদের অনেককে দায়মুক্তি দিয়ে ফের সংগঠনে নিয়মিত করা হয়। গ্রুপিংয়ের রাজনীতি এবং স্থানীয় ক্ষমতার প্রভাব অপরাধীদের সংগঠনে ভেড়ানোর এ পরিবেশ তৈরি করেছে। ফলে ছাত্রলীগকে সুনামের ধারায় ফেরাতে বহুমুখী উদ্যোগ নিলেও তা মুখ থুবড়ে পড়ছে।গত এক মাসে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ২৩টি আলোচিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তবে এসব ঘটনার দায় একা নিতে নারাজ ছাত্রলীগ। তারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এসব ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিলে আজকের এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন যুগান্তরকে বলেন, এখনো আমাদের ক্যাম্পাসগুলোতে কিছু সমস্যা রয়ে গেছে, সে কারণেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো ঘটছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। আসলে আমাদের ক্যাম্পাস সংস্কৃতিতে কিছুটা পরিবর্তন দরকার। ‘এন্টি র‌্যাগিং মুভমেন্ট’ খুব জোরালোভাবে প্রয়োজন। এর পাশাপাশি নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে ইতিবাচক ছাত্র রাজনীতির ধারা তৈরি হবে। সূত্র: যুগান্তর

টানা দ্বিতীয় দিন ‘দুর্যোগর্পূণ’ বায়ু নিয়ে ঢাকা দূষণের শীর্ষে

দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে দুই দিন কাটাচ্ছে নগরবাসী। ঢাকার বায়ু আজ শনিবারও দুর্যোগপূর্ণ। টানা দুই দিন এ অবস্থা নিয়ে বায়ুদূষণে শীর্ষে আছে ঢাকা। ঢাকায় চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক দিন দুর্যোগপূর্ণ বায়ুর মধ্যে কাটিয়েছে নগরবাসী। গত মাসে মোট ৯ দিন রাজধানীর বায়ুর মান দুর্যোগপূর্ণ ছিল, যা গত সাত বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই-বায়ুর মান সূচক) স্কোর ৩৩০। আজ তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে ঘানার আক্রা, স্কোর ৩১৪। তৃতীয় স্থানে আছে চীনের রাজধানী বেইজিং, স্কোর ২২৩।একিউআই স্কোরে আজ সকাল সাড়ে ৯টায় বায়ুর মানের নিরিখে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের লাহোর, স্কোর ২১১। ১৯৪ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি আছে পঞ্চমে। এরপরে আছে পাকিস্তানের করাচি, স্কোর ১৯১ ও ভারতের মুম্বাই, স্কোর ১৮৭।একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়। সূত্র: প্রথম আলো

Nagad

থামছেই না র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন
বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাহত হচ্ছে উচ্চশিক্ষা, উৎকণ্ঠায় শিক্ষার্থী অভিভাবক

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর। মধ্যরাত পার হয়ে আলো ফুটতেই নিষ্ঠুর এক হত্যাকাণ্ডে কলঙ্কিত হয় শিক্ষাঙ্গন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলে পৈশাচিক নির্যাতন করে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যা করা হয়। র‌্যাগিংয়ের নামে বর্বর এ হত্যাকাণ্ডে থমকে গিয়েছিল দেশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীর হাতে শিক্ষার্থী হত্যার এ ঘটনার বিচার চলছে। কিন্তু এর পরও চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা। র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। গত রবিবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের এক ছাত্রীকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ ও রাতভর নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেত্রী সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুমসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে দেশজুড়ে। শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাই কোর্ট। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) গত মঙ্গলবার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের সিট নিয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী কৃষ্ণ রায়কে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এতে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. সোলাইমান তাকে শিবির বলে গালি দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেন। এ নিয়ে প্রতিবাদে উত্তাল পুরো ক্যাম্পাস। প্রায়ই বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটছে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনা। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় উৎকণ্ঠা বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। সন্তানকে উচ্চশিক্ষার জন্য পাঠিয়ে আতঙ্কে দিন পার করছেন তারা। এসব অস্থিরতায় বিঘ্নিত হচ্ছে উচ্চশিক্ষার পরিবেশ, বাড়ছে উদ্বেগ। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে থেকে পড়াশোনা করতে আগ্রহ হারাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

তিন বিকল্প নিয়ে এগোচ্ছে আ. লীগ
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে আপাতত তিনটি বিকল্প নিয়ে প্রস্তুতিমূলক কাজ করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। বিএনপিসহ নির্বাচন অথবা বিএনপি ছাড়া নির্বাচন—এই দুই বাস্তবতা মাথায় রেখেই বিকল্পগুলো ভাবা হয়েছে বলে জানান দলের কয়েকজন নীতিনির্ধারক। দলীয় সূত্র জানায়, যা কিছুই করা হোক আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য থাকবে এবারের নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ দেখিয়ে বা রেখে জয়লাভ করা। মূলত তা নিশ্চিত করতেই একাধিক বিকল্প নিয়ে কাজে হাত দিয়েছে দলটি। কারণ এবার সব মহল থেকেই অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের চাপ আছে।দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা কালের কণ্ঠ’র কাছে তিন ধরনের বিকল্পের কথা বলেছেন। প্রথমত, বিএনপি নির্বাচনে এলে কিভাবে জয়লাভ করা যায় তা নিয়ে পরিকল্পনা হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বিএনপি নির্বাচনে না এলে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের সামর্থ্য অনুসারে সর্বোচ্চ আসনে প্রার্থী দিতে উৎসাহ দেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত সব দলকেই নির্বাচনে রাখার কৌশল নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিকদেরও নিজ দলের প্রতীকে সারা দেশে প্রার্থী দেওয়ায় উৎসাহিত করা হবে। সূত্র: কালের কণ্ঠ

এত আইস যায় কোথায়

ক্রিস্টাল মেথ বা আইস নতুন মাদক হিসেবে বাংলাদেশে আলোচনায় আসে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারির পর। ওই দিন রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলায় একটি ল্যাব থেকে জব্দ করা হয় আট গ্রাম আইস। এর পরই নতুন নেশাদ্রব্যটি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রথম দিকে দুষ্প্রাপ্য হলেও বর্তমানে আইস অনেকটাই হাতের নাগালে। এর চাহিদা যে দিন দিন বাড়ছে, তা জব্দের পরিমাণ দেখলেই বোঝা যায়। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পুলিশ, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাব এবং কোস্টগার্ডের ২০২১ সালের অভিযানে আইস জব্দ হয়েছিল ৩৬ কেজি ৭৯৪ গ্রাম। পরের বছর জব্দের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। ২০২২ সালে আইস জব্দ করা হয়েছে ১১৩ কেজি ৩৩১ গ্রাম। সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যদি এই পরিমাণ জব্দ হয়, তাহলে অবশ্যই আরও একাধিক চালান পৌঁছে গেছে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাতে। তাঁরা জানান, যে কোনো জিনিসের চাহিদা বাড়লে সরবরাহ বাড়ে। আইসের ক্ষেত্রেও তাই ঘটছে। আইস অতি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাদক। অল্প মাত্রায় সেবন করলে বেশি মাত্রায় আসক্তি হয়। এ কারণে ইয়াবা ছেড়ে এর দিকে ঝুঁকছে মাদকসেবীরা। এ ছাড়া প্রথম দিকে দামও ছিল চড়া। সূত্র: সমকাল

অনিল আম্বানির রিলায়েন্স বাংলাদেশ থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে কি

বাংলাদেশের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে বছর আটেক আগে ৩ বিলিয়ন ডলারের বড় বিনিয়োগ প্রস্তাব দিয়ে বেশ হইচই ফেলে দিয়েছিলেন রিলায়েন্স এডিএ গ্রুপের কর্ণধার অনিল ধীরুভাই আম্বানি। যদিও শেষ পর্যন্ত তার প্রস্তাবিত এসব বিনিয়োগের বেশির ভাগই আর আলোর মুখ দেখেনি। বর্তমানে বাংলাদেশে রিলায়েন্সের একমাত্র প্রকল্প হিসেবে টিকে আছে মেঘনাঘাটে নির্মাণাধীন ৭১৮ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি। যদিও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জাপানের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের জায়ান্ট ‘জাপান এনার্জি ফর নিউ এরা’র (জেরা) কাছে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে রিলায়েন্স। বাকি ৫১ শতাংশ শেয়ারও এখন জেরার কাছে বিক্রি করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে। ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে বাংলাদেশ থেকে রিলায়েন্স তার ব্যবসা গুটিয়ে নিচ্ছে কি? বাংলাদেশে রিলায়েন্স পাওয়ারের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাস্তবায়িত হচ্ছে ‘রিলায়েন্স বাংলাদেশ এলএনজি অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেডের’ অধীনে। কোম্পানিটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে শুধু কোম্পানিটির নামের সঙ্গে রিলায়েন্স যুক্ত রয়েছে। ২০১৯ সাল পর্যন্ত রিলায়েন্স এ প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তা ছিল। কিন্তু জেরার কাছে ৪৯ শতাংশ শেয়ার বিক্রির পর থেকেই রিলায়েন্স আর এ প্রকল্পের নেতৃত্বে নেই। অর্থায়ন জোগাড় করা থেকে শুরু করে কেন্দ্র নির্মাণ পর্যন্ত সবকিছুই জেরার তত্ত্বাবধানে হচ্ছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

ব্যবসা নিবন্ধন আরও ব্যয়বহুল হতে যাচ্ছে

যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর (আরজেএসসি) তাদের সেবা ফি বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে অবগত কর্মকর্তারা দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে জানিয়েছেন, এর ফলে দেশি-বিদেশি পাবলিক ও প্রাইভেট কোম্পানি, অংশীদারি কারবার ও সোসাইটিকে আরজেএসসির সেবা নিতে বাড়তি খরচ করতে হবে। আরজেএসসির ৩৪টি সেবা নেওয়ার ফি দুই থেকে দশগুণ পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে ২১টি সেবার ফি অপরিবর্তিত থাকছে। আর ৩টি সেবার বিপরীতে ফি প্রত্যাহার করা হয়েছে। ১২ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংস্থাটির এক সভায় এসব খসড়া প্রস্তাব করা হয়।এ বিষয়ে আরজেএসসির রেজিস্ট্রার শেখ শোয়েবুল আলম দ্য বিজনেস স্টান্ডার্ডকে বলেন, ‘আরজেএসসির অধিকাংশ সেবার ফি প্রায় এক দশক আগে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সময়ে প্রতিষ্ঠানের পরিচালন ব্যয় অনেক বেড়েছে। গ্রাহকের সেবার বিপরীতে খরচও বেড়েছে। যে কারণে নতুন করে সেবার ফি নির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়েছে।’ তিনি জানান, ‘কোন সেবায় নতুন ফি কত হবে, তার একটা খসড়া প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে এখনও চূড়ান্ত হয়নি।’ সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।

‘আমাকে কোলে নিয়ে পালাতে গিয়ে মা গুলি খায়’ নেলিতে মুসলিম নিধনের সেই ভয়াল স্মৃতি
“বাবার কাছেই শুনেছি যে আমাকে কোলে নিয়ে পালাতে গিয়েই মা গুলি খেয়ে মাঠে পড়ে গিয়েছিল। আমি নাকি বেশ কয়েক দিন আমার মরা মায়ের গায়ের ওপরেই পড়েছিলাম। পরে পুলিশ আমাকে খুঁজে পায়,” বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন বসুন্ধারি গ্রামের জোহরা খাতুন। আসামের নির্বাচন কভার করতে ২০১৪ সালে গিয়েছিলাম আসামের নেলি অঞ্চলে।
জোহরা খাতুনের মুখের সামনে মাইক ধরেছিলাম তার সাক্ষাৎকার নেবার জন্য।কথা বলার সময় ছলছল করছিল তার চোখ।জোহরা খাতুনকে কোলে নিয়ে পালাতে গিয়ে যেদিন তার মা গুলি খেয়ে মারা গিয়েছিলেন, সেটা ছিল আজ থেকে ঠিক ৪০ বছর আগের ঘটনা। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

১০ ট্রাক অস্ত্র উলফার একার না: অনুপ চেটিয়া

বাংলাদেশে ১০ ট্রাক অস্ত্রসহ বিভিন্ন সময় যে অস্ত্রগুলো ধরা পড়েছে সেগুলো উলফার ‘একার নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন অনুপ চেটিয়া। তার ভাষ্য, সেখানে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় অন্যান্য বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনের অস্ত্রও থাকতে পারে। বিভিন্ন সময়ে উলফার সঙ্গে অন্যান্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার যোগাযোগের কথা শোনা গেলেও তা অস্বীকার করেছেন তিনি।ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশ ফ্রন্ট অব আসামের (উলফা) প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া সম্প্রতি দেশে এসে একদল সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। পুরো সাক্ষাৎকারটি একটি ইউটিউব চ্যানেলেও প্রকাশ করা হয়েছে।১৯৯৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ঢাকার আদাবরের একটি বাসা থেকে দুই সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন অনুপ চেটিয়া। তখন তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশ, বিদেশি মুদ্রা সংরক্ষণ ও একটি স্যাটেলাইট ফোন রাখার অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সূত্র: বিডি নিউজ