চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অংশ নিতে পারবেন না: আইনমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৪:১৬ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবেন না বলেই জানিয়েছেন আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, তিনি (খালেদা জিয়া) রাজনীতি করবেন কি না, সেটি তার ব্যক্তিগত বিষয়। সেখানে (রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায়) সরকার কোনো হস্তক্ষেপ করবে না।

এসময় তিনি বলেন, দুই বছরের দণ্ডপ্রাপ্ত যে কোনো ব্যক্তি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না, সেটা সংবিধানে বলা আছে। এটা নতুন করে বলতে হবে না।

আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিচার প্রশাসন ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জেঠি) ১৪ শ বিজেএস পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারী জজদের জন্য আয়োজিত ‘১২ শ ওরিয়েন্টেশন কোর্স’ উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘সংবিধানের ৪০১ ধারায় খালেদা জিয়াকে অসুস্থ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। রাজনীতির কথা তাতে বলা নেই। তবে দণ্ডিত হওয়ায় আইন‌ অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নিতে পারবেন না।’

তিনি আরও বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, তিনি (খালেদা জিয়া) একজন স্বাধীন মানুষ। তিনি কী করবেন তা আমার বলে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। কিন্তু তাকে তখন ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার কারণে তাকে তখন মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। তখন তাকে অসুস্থ হিসেবে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সেখানে আমরা কখনো লিখে রাখিনি যে তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না।

নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি না, সে বিষয়ের জন্য সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদে যেতে হবে। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, নৈতিক স্খলনজনিত কারণে যদি দুই বছর বা তার ঊর্ধ্বে কারও সাজা হয় তাহলে তিনি এমপি (সংসদ সদস্য) নির্বাচন করতে পারবেন না।

Nagad

তবে খালেদা জিয়া নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে পারবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে বলেছি, যে অসুস্থতার গ্রাউন্ডে দুটো শর্তে তাকে (খালেদা জিয়া) মুক্ত করা হয়েছে। তিনি রাজনীতি করতে পারবেন না বা রাজনীতি করা বন্ধ রাখতে হবে, এ রকম শর্ত সেটার (খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে করা আবেদন) মধ্যে ছিল না।

উল্লেখ্য, দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা ঘোষণা করা হয়। এরপর তাকে কারাগারে বন্দী করা হয়। এর মধ্যে খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎকার জন্য মুক্তি দিতে পরিবারের পক্ষ থেকে বারবার আবেদন করা হলেও সরকার তাতে সায় দেয়নি। কিন্তু ২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে নির্বাহী আদেশে দণ্ড স্থগিত করে খালেদা জিয়াকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার।