আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩

সরেজমিন: গঙ্গাচড়া—১
মসিউরের কাছে রংপুরের ‘বহুত মানুষ’ টাকা পায়
স্থানীয় মানুষজনের অভিযোগ, নিয়োগ, সরকারীকরণসহ বিভিন্ন খাতে ঘনিষ্ঠদের মাধ্যমে টাকা নেন মসিউর। অধিকাংশই চাকরি পাননি। টাকাও ফেরত পাননি। রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমানের (রাঙ্গা) সঙ্গে রংপুরের রামপুরার পরিবহনকর্মী আবু বক্কর সিদ্দিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ৪০ বছরের। কিন্তু সেই সম্পর্ক এখন আর নেই। আবু বক্করের অভিযোগ, মসিউর রহমান তখন (২০১৫) পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী। তাঁর (বক্কর) ভাতিজা আসাদুজ্জামানের উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা পদে চাকরির জন্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বক্করের কাছ থেকে অগ্রিম ছয় লাখ নেন মন্ত্রীর স্ত্রী রাকিবা নাসরিন।একই সময় আবু বক্করের ভাতিজি আফসানা শারমিনের পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সহকারী কোষাধ্যক্ষ পদে চাকরির জন্যও অগ্রিম ৫ লাখ টাকা নেন। কিন্তু তাঁদের কারও চাকরি হয়নি। আবু বক্করও টাকা ফেরত পাননি।আবু বক্করের সঙ্গে গত ২৪ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, টাকা ফেরতের জন্য তিনি মসিউরের ঢাকা ও রংপুরের বাসায় গত পাঁচ বছরে কয়েকবার ধরনা দেন। মসিউর ও তাঁর স্ত্রী বিভিন্ন সময় টাকা ফেরতের আশ্বাস দেন। এরই মধ্যে গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে মসিউরের স্ত্রী রাকিবা নাসরিন মারা যান। সূত্র: প্রথম আলো

টিকে থাকার লড়াইয়ে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা
বৃহৎ শিল্পের সঙ্গে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের একই হারে গ্যাসের দাম নির্ধারণ এবং দুই দফায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধিতে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা। অতীতে বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানোর সময় ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ যাতে কম বাড়ে সে দিকে নজর রাখা হতো। এবার তা হয়নি। উদ্যোক্তারা জানান, গ্যাস-বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে ক্ষুদ্র শিল্পের উৎপাদন খরচ ২৫-৩০ শতাংশ বেড়ে গেছে। কারণ একই সময় কাঁচামালের দামও বেড়েছে। এই খাতে ব্যবহৃত প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১৭৮.২৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। একই সঙ্গে বিদ্যুতের দাম ১০ শতাংশ বাড়ানো হয়।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মূলত স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন পণ্য সরবরাহ করে, পাশাপাশি রপ্তানিতেও কিছুটা ভূমিকা রাখে। পুঁজি কম এবং সঞ্চয় সীমিত হওয়ায় উদ্যোক্তাদের ঝুঁকি মোকাবেলার ক্ষমতাও কম। ফলে হুমকিতে পড়তে যাচ্ছে কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখা ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পগুলো।ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা বলছেন, তাঁরা যেসব কারখানা থেকে কাঁচামাল সংগ্রহ করেন, গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ার কারণে এখন আগের চেয়ে প্রতিটি কাঁচামাল বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের কারখানায় উৎপাদন খরচও বেড়েছে। বিপরীতে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। ফলে সেভাবে পণ্যের দামও বাড়াতে পারছেন না তাঁরা। সূত্র: কালের কণ্ঠ

মাঠে আওয়ামী লীগ, নেই শরিকরা
বিএনপিসহ তাদের সমমনা শরিকদের বিপরীতে মাঠের রাজনীতিতে এককভাবে সক্রিয় ক্ষমতাসী আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধু, সুহৃদ ও সমমনা বলে পরিচিত ১৪ দলীয় জোটের শরিক দলগুলোকে দেখা যাচ্ছে না তাদের পাশে। অথচ একসঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন এবং একসঙ্গে সরকার গঠন-এমন ভিত্তির ওপর প্রায় আড়াই যুগ আগে গড়ে উঠেছিল এই জোট।আরেক পরীক্ষিত বন্ধু বলে বিবেচিত জাতীয় পার্টিও শাসক দলটির পাশে এখন নেই। মাঝে মধ্যে একসঙ্গে বিভিন্ন দিবসভিত্তিক কর্মসূচি পালন ছাড়া আওয়ামী লীগের পাশে কার্যত ১৪ দলীয় জোটের শরিকরা কেউই নেই।ফলে নিজেদের একক শক্তির ওপর ভর করে দলটিকে মোকাবিলা করতে হচ্ছে মাঠের বিরোধী পক্ষকে।
নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি আদায়সহ চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ হিসাবে সাংগঠনিক বিভাগগুলোতে গণসমাবেশ করে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। সূত্র: যুগান্তর।

২০২২ সাল
শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের চারটিতেই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে

জনশক্তি রফতানিতে রেকর্ড হলেও রেমিট্যান্স আয়ের ক্ষেত্রে ২০২২ সাল একদমই ভালো কাটেনি বাংলাদেশের। আগের বছরের তুলনায় প্রবাসী আয় কমেছে ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ। দেশের রেমিট্যান্স আহরণকারী শীর্ষ পাঁচ ব্যাংকের চারটিরই এ সময়ে বড় পতন হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে রেমিট্যান্স আহরণকারী ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রবাহ কমেছে ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ। দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আহরণকারী ব্যাংক ডাচ্-বাংলারও রেমিট্যান্স প্রবাহ ২৩ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমেছে। ৩২ দশমিক ৮৬ শতাংশ রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংকের। একই সময়ে সোনালী ব্যাংকেরও আহরণের হার কমেছে ২৩ দশমিক ৭১ শতাংশ। তবে রেমিট্যান্স আহরণে বড় প্রবৃদ্ধি হওয়ায় শীর্ষ পাঁচে উঠে এসেছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের নাম। গত বছর বেসরকারি খাতের ব্যাংকটির রেমিট্যান্স ৮৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ বেড়েছে। সূত্র: বণিক বার্তা।

রেখাকার বাবুর আয় সরল রেখায় নয়
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চাকরিতে ঢুকেছিলেন মাস্টাররোলে, পদ কার্য-সহকারী। বর্তমানে পদোন্নতি পেয়ে হয়েছেন রেখাকার, তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীর পদ এটি। বেতন পান সর্বসাকল্যে ৩৫ হাজার টাকার মতো। কিন্তু অদৃশ্য আয়ে তিনি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকার মধ্য পীরেরবাগে তার রয়েছে ১০ তলা ও ৭ তলাবিশিষ্ট দুটি বাড়ি। স্ত্রীর মালিকানায় করেছেন আবাসন কোম্পানি। সেই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একাধিক বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। চলাফেরা করেন নিজের গাড়িতে। নামে-বেনামেও রয়েছে প্লট ও ফ্ল্যাট। গ্রামের বাড়িতেও করেছেন বিপুল সম্পদ। আলোচিত এই রাজউক কর্মচারীর নাম মোহাম্মদ শফিউল্লাহ বাবু।বাবুর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের কাজীপুর থানাধীন শুভগাছায়। ১৯৯৬ সালে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিমের মাধ্যমে আরও অনেকের সঙ্গে রাজউকে মাস্টাররোলে চাকরিতে ঢোকেন বাবু। সে সময় ‘কাজ নেই পয়সা নেই’ (কানামনা) ভিত্তিতে কার্য-সহকারী হিসেবে চাকরি শুরু। ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় তার চাকরি চলে যায়। পরবর্তী সময়ে আইনের আশ্রয় নিয়ে আরও অনেকের মতো তিনিও চাকরি ফিরে পান। চাকরি স্থায়ী হওয়ার পর পরই যেন ‘আলাদিনের চেরাগ’ হাতে পান তিনি। গত এক যুগে রীতিমতো ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হওয়ার মতো সম্পদ গড়ে তুলেছেন তিনি। সূত্র: দৈনিক বাংলা ।

Nagad

ভয়াবহ আগুন গুলশানে
লাফিয়ে একজন নিহত, আহত ১৫ ♦ রুদ্ধশ্বাস চার ঘণ্টা
রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে একটি ১২ তলা ভবনের সপ্তম তলায় ভয়াবহ আগুন লাগে। গতকাল সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট পর্যায়ক্রমে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টার মধ্যেই আগুন ওপরের তলাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই ভবন থেকে মোট ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে পুরুষ ৯ জন, মহিলা ১২ জন ও শিশু একজন। ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে অন্তত ১৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের জয়নুল হক শিকদার হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর আনোয়ারুল ইসলাম দোলন বলেন, গুলশান-২ নম্বরের ব্লক-সেন্ট্রাল জি, রোড-১০৪ এর ২ নম্বর বাড়ির সপ্তম তলায় আগুন লাগে। খবর পেয়ে ৭টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এরপর আরও দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে অগ্নিনির্বাপণে পাঠানো হয়। আগুন নিয়ন্ত্রণে না আসায় আরও ১৬টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। আমরা মইয়ের মাধ্যমে ১২ জন নারী, ৯ জন পুরুষ ও একজন শিশুকে জীবিত উদ্ধার করেছি। রাত পৌনে ১১টার দিকে অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে ভবনের ভিতরে তল্লাশি করা হয়। ৪ ঘণ্টা চেষ্টার পর রাত ১১টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় একজন নিহতসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। সূত্র: বিডি প্রতিদিন।

সাক্ষাৎকার: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য
দেশে নতুন রাজনৈতিক বোঝাপড়া প্রয়োজন

অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো। তিনি বাংলাদেশে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে গঠিত এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক। এ ছাড়া তিনি জাতিসংঘের এলডিসি সংক্রান্ত কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-সিডিপির অন্যতম সদস্য। এর বাইরে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত। মস্কোর প্লেখানভ রাশিয়ান ইউনিভার্সিটি থেকে অর্থনীতিতে এমএসসি ও পিএইচডি অর্জন করেন তিনি। দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৫৬ সালে।সমকাল: দেশে গণতন্ত্রের প্রশ্ন উঠলে পাল্টাপাল্টি উন্নয়নের কথাও ওঠে। উন্নয়ন, নাকি গণতন্ত্র- কোনটা অগ্রাধিকার? দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য: এ বিষয়ে আমি আগেও বলেছি; উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে প্রতিস্থাপন শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, বিরক্তিকরও। এটা যাঁরা বলেন তাঁরা আধুনিক উন্নয়নের ব্যাপারে ওয়াকিবহাল নন। আবার গণতন্ত্রের তাৎপর্য ও কার্যাবলি সম্পর্কেও পরিস্কার ধারণা নেই তাঁদের। সাধারণভাবে বলি, বৈশ্বিক উন্নয়নের ব্যাপারে যে আন্তর্জাতিক ঐকমত্য হয়েছে, এটা এসডিজি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নামে পরিচিত। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে এতে স্বাক্ষর করেছেন। সেখানে পরিস্কার বলা আছে- উন্নয়নের ধারণার সঙ্গে যদি মানবাধিকার, মানুষের মর্যাদাবোধ, জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ নির্বিশেষে সম্মান না থাকে, তাহলে সেটি প্রকৃত উন্নয়ন নয়। পূর্ণাঙ্গ উন্নয়নের যে ধারণা, তার মধ্যে গণতন্ত্র ও সব মানুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ আছে বলেই বলা হয়েছে- কাউকে পেছনে রাখা যাবে না। এটিই আসলে গণতন্ত্রের ধারণা। কারণ, রাষ্ট্র্রের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান। এটি পরিস্কার- উন্নয়নকে টেকসই করতে গণতন্ত্র দরকার। গণতন্ত্রহীনভাবে উন্নয়নকে টেকসই করা যায় না। এটিকে সুষম করা যায় না। ভারসাম্যপূর্ণভাবে নেওয়া যায় না। উন্নয়নহীনভাবেও গণতন্ত্রকে টেকসই করা যায় না। তখন উগ্রবাদ আসে, স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদ আসে- নির্বাচিত ও অনির্বাচিতভাবে। সূত্র: সমকাল

ভাষা আন্দোলন: যেভাবে তৈরি হয়েছিল অমর একুশের শহীদ মিনার
উনিশশো বাহান্নো সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার জন্য যে স্থানে পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন রফিকউদ্দিন, সেখানেই ২৩শে ফেব্রুয়ারি এক রাতের মধ্যে গড়ে ওঠে বাংলাদেশের প্রথম শহীদ মিনার। ভাষা সংগ্রামী ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ২১ তারিখের পর ২২, ২৩ তারিখেও শহরময় গোলমাল চলছিল।”এর মধ্যে মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা পরিকল্পনা করেছিলেন, একুশের প্রথম শহীদ যেখানে শাহাদত বরণ করেছেন, রফিক উদ্দিন, সেখানে তারা একটি শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করবেন,” বলেন অধ্যাপক ইসলাম।পরিকল্পনা ও নকশা এবং নির্মাণকাজের শুরু-শহীদ মিনার স্থাপনের পরিকল্পনা ও নকশা নিয়ে সাঈদ হায়দার ২০১৭ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত একটি নিবন্ধে লিখেছিলেন, ২৩শে ফেব্রুয়ারি দিনটি ছিল অপেক্ষাকৃত শান্ত; শ্রান্তি নিরসনের। সূত্র: বিবিসি বাংলা ।

গণভবনেই চাষাবাদে বঙ্গবন্ধুকন্যা
উৎপাদিত পণ্যের বেশির ভাগই গণভবন কর্মচারী এবং দরিদ্র-অসহায় মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দেন তিনি। 

বৈশ্বিক সংকটে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি আবাদের আওতায় আনার যে আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনের অব্যবহৃত জমিকে কাজে লাগিয়ে নিজেই সেই দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।গণভবনের বিশাল আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগী, কবুতর, গরু পালনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাক-সবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষ করছেন বলে জানিয়েছেন সেখানকার কর্মকর্তারা। পাশাপাশি তিল-সরিষার মতো পেঁয়াজও চাষ করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। গণভবনের এক কর্মকর্তা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার মোট চাষের প্রায় অর্ধেক জায়গার পেঁয়াজ কাটা হয়েছে। এতে ফলন পাওয়া গেছে ৪৬ মণ। বাকি জমিতে আরও ৫০ মণের বেশি পেঁয়াজ পাওয়া যাবে।দেশি পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দর ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ হিসাবে গণভবনে ফলন পাওয়া ৪৬ মণ পেয়াজের দাম আসে ৬৫ হাজার থেকে ৭৩ হাজার টাকা। সূত্র: বিডি নিউজ

অন্যান্য দেশ যখন ডলার সংকটে ভুগছে না, বাংলাদেশ তখন কেন ভুগছে?

‘দয়া করে আমাদের ডলার দিন। কাঁচামাল আমদানির জন্য আমরা ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছি না।’ অনুরোধটি করেছেন ইস্পাত, সিমেন্ট, টেক্সটাইল, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন খাতে যুক্ত একজন ব্যবসায়ীর। ওষুধ প্রস্তুতকারকরাও একই সংকটে আছে। তারা বলছে, শীঘ্রই পরিস্থিতির উন্নতি না হলে ওষুধ উৎপাদন করা সম্ভব হবে না। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ভোগ্যপণ্যের জায়ান্টদের পেছনে ব্যাংক ঘোরে—এখন তারাও নিত্যপণ্য আমদানির জন্য ডলারের সংস্থান করতে হিমশিম খাচ্ছে। এমনকি ব্লাড ব্যাগের মতো কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসাপণ্যের আমদানিকারকরাও ডলার পাচ্ছে না। কেন? এসব পণ্য আমদানি করতে তো কোটি কোটি ডলার লাগে না। বাংলাদেশের বছরে মাত্র ৯ লাখ ব্লাড ব্যাগ লাগে। প্রতি ব্যাগের খরচ ১০০ টাকারও কম—অর্থাৎ সব মিলিয়ে বছরে ১০ কোটি টাকা বা ১ মিলিয়ন ডলারের মতো প্রয়োজন। কিন্তু ব্যাংক এই অল্প পরিমাণ ডলারও দিতে পারছে না। ডলারের সংস্থান করতে পারছে না বলে শতভাগ আমদানিমুখী ব্যবসাগুলো বিপর্যয়ের মুখে। এতে তাদের পক্ষে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। নিজস্ব চাহিদা পূরণের জন্য অল্প কিছু রপ্তানিকারকের কাছে পর্যাপ্ত ডলার আছে। তারা ছাড়া বাকি সব ব্যবসা গত ছয় মাস ধরে ডলারের অভাবে ভুগছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বাংলাদেশ ব্যাংককে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়াতে বলায় ব্যবসায়ীরা আশঙ্কা করছেন, আগামী কয়েক মাসেও এ পরিস্থিতির উন্নতি হবে না। এর অর্থ হলো, বাংলাদেশ ব্যাংক চাহিদা মেটানোর জন্য পর্যাপ্ত ডলার সরবরাহ করতে পারবে না। সূত্র: বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।