বাসায় ঢুকে মাদারিপুরের শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে গুলি

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:১৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ। সংগৃহীত ছবি

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খানকে গুলি করেছে সন্ত্রাসীরা। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। গুরুতর আহতাবস্থায় স্বজনরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

আজ শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৮টার দিকে শিবপুর থানা সংলগ্ন নিজ বাড়িতে তার ওপর এ হামলা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ।

এদিকে প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের ওপর সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এ ঘটনার পর থেকে পুরো উপজেলায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

পুলিশ জানায়, চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ খান আজ ভোর ৫টার দিকে নামাজ আদায় করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে মসজিদে যান। সেখান থেকে নামাজ আদায় করে শিবপুর বাজারস্থ বাড়িতে ফিরছিলেন। এ সময় বাড়ির গেটে পৌঁছালে মোটরসাইকেলে আগত তিন মুখোশধারী তাকে পেছন থেকে পরপর তিনটি গুলি করেন। এতে তিনি পিঠে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে শিবপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে খবর পেয়ে শত শত নেতাকর্মী শিবপুর থানা ঘেরাও করেন। শহরের বিভিন্ন সড়কে টায়ার ও কাঠে আগুন লাগিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। এ ছাড়া ঢাকা মনোহরদী সড়কের শিবপুর কলেজ গেট, শিবপুর বাসস্ট্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি স্থানে রাস্তায় গাছ ফেলে বেরিকেড দেয়। এতে দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শত শত উত্তেজিত নেতাকর্মী পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়কে ‘হারুন খার কিছু হলে জ্বলবে আগুন ঘরে ঘরে’ স্লোগান দিয়ে মিছিলে প্রকম্পিত করে তোলে পুরো শিবপুর। স্থানীয়রা জানান, পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতির দিকে যাচ্ছে।

Nagad

প্রতিবেশী ও শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুলু আলম ভূঞা রাখিল জানান, ভবনের তিন তলায় পরিবার পরিজন নিয়ে বসবাস করেন উপজেলা চেয়ারম্যান। সেকেন্ড ফ্লোরে প্রাইম ব্যাংকের কার্যালয়। প্রধান ফটকে কেচি গেট এবং বাড়িটি সিসি ক্যামরার আওতায় রয়েছে। এ ছাড়া ব্যাংকেরও সিসি ক্যামেরা রয়েছে। থানার অতি সন্নিকটে এমন একটি সুরক্ষিত স্থানে সন্ত্রাসীদের প্রবেশ ও গুলিবর্ষণের ফলে আতঙ্ক বিরাজ করছে পুরো জেলাজুড়ে।

শিবপুর থানার ওসি ফিরোজ তালুকদার জানান, মসজিদের জন্য টাকা চাইলে চেয়ারম্যান সাহেব নিজেই কেচি গেট খুলে দেন। গেট খোলার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা তারা পীঠের মধ্যে তিন রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।

উল্লেখ্য, উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই রবিউল আওয়াল কিরন খানকেও এরশাদ সরকারের আমলে সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে।