যেসব কারণে শরীর অতিরিক্ত ঘামে

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:২২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

ঘামের মাধ্যমে শরীরের কিছু অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর পদার্থ বেরিয়ে যায়। আবার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও ঘাম মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে ঘাম সেই তাপ শুষে নেয়।

তবে অতিরিক্ত ঘামও শরীরের জন্য ঠিক নয়। কারণ ঘামের মূল উপাদান পানি ও লবণ। অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা অনেকের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এটি বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার লক্ষণও হতে পারে। অতিরিক্ত ঘামলে শরীরে পানি ও লবণের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় কমে যায়। এর ফলে নানারকম শারীরিক সমস্যাও দেখা দিতে পারে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসে প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কারও কারও ক্ষেত্রে হাতের তালু ও পায়ের পাতা শরীরের অন্য অঙ্গের তুলনায় বেশি ঘামে। এই সমস্যাকে ‘হাইপার হাইড্রোসিস’ বলা হয়। দেহের তাপমাত্রার থেকে বাইরের তাপমাত্রা বেশি হলে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে ঘাম হতে থাকে।

তবে অনেককে খুব সাধারণ তাপমাত্রাতেও ঘামতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে এটি কোনও শারীরিক সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।

ঘাম হওয়ার সম্ভাব্য কারণ হিসেবে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, বেশি সময় ধরে শারীরিক পরিশ্রম করলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই তাপমাত্রা কমাতে শরীর ঘামতে থাকে। বাইরের তাপমাত্রা বেশি হলে শরীরের তাপমাত্রাও বাড়তে থাকে। এছাড়া পরিবেশের আর্দ্রতা বেশি হলে ঘাম সহজে বাষ্পীভূত হয় না।

হঠাৎ করে অতিরিক্ত মানসিক চাপ তৈরি হলে শরীর ঘামতে শুরু করে। মূলত কোনও বিষয় নিয়ে বেশি প্যানিকের কারণেই এমনটা হয়ে থাকে। মশলাদার বা বেশি তেলে রান্না করা খাবার অতিরিক্ত খেলে ঘামের পরিমাণ বেড়ে যায়।

Nagad

ধূমপান থেকেও বাড়তে পারে ঘামের সমস্যা। ধূমপানের ফলে নিকোটিন শরীরের অ্যাসিটাইলকোলিনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে শরীরের তাপমাত্রা, হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপ বেড়ে যায়। এর থেকে হতে পারে ঘাম। এছাড়া শারীরিক সমস্যা যেমন ডায়াবিটিস ও নিম্ন রক্তচাপের ফলেও অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে।

ঘামের সমস্যার সমাধান নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ঘামের সাথে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় সোডিয়াম, পটাশিয়াম ও বাইকার্বোনেট লবণ। শরীরে এই লবণ গুলোর ভারসাম্য বজায় রাখতে নুন-চিনির শরবত খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশনও সাথে রাখা ভালো।

প্যানিক কমানোর জন্য নিয়মিত শ্বাসের ব্যায়াম ও ধ্যান করা উচিত। দই-এর ঘোল, ফলের শরবত ও ডাবের পানি শরীরের পানির ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে।

হাইপার হাইড্রোসিসের মূল কারণ শরীরে ভিটামিন বি-১২-এর অভাব। বি-১২-এর ভারসাম্য ঠিক রাখতে মাছ, দুধ, ডিম ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে। এছাড়াও একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করালে বোঝা সম্ভব রক্তচাপ, ডায়াবিটিস বা থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে কি-না।

সারাদিন/২৫ ফেব্রুয়ারি/এমবি