ইবি ছাত্রীকে নির্যাতন: হাইকোর্টে তদন্ত প্রতিবেদন জমা

নিজস্ব প্রতিবেদকনিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৩

হাইকোর্ট, ছবি- মুস্তাঈন বিল্লাহ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা তদন্তে ইবি প্রশাসনের গঠন করা কমিটির প্রতিবেদন হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মনিরুজ্জামান মিল্টন এই প্রতিবেদনটি জমা দিয়েছেন।

চলতি সপ্তাহেই বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই প্রতিবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে নির্যাতনের শিকার ওই শিক্ষার্থী গণমাধ্যমকে বলেন, আমি তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের অপেক্ষা করছি। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। এর বেশি এখন কিছু বলতে পারছি না।

এর আগে গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুমসহ ৭-৮ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে প্রথম বর্ষের এক নবীন ছাত্রীকে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে সাড়ে ৪ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা এবং বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠে।

Nagad

এই ঘটনায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি বিচার ও নিরাপত্তা চেয়ে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র-উপদেষ্টা দপ্তর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

এরপর গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যায়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আইন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. রেবা মণ্ডলকে আহ্বায়ক ও একাডেমিক শাখার উপরেজিস্ট্রার মো: আলীবদ্দীন খানকে সদস্যসচিব করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রভোস্ট কাউন্সিলের সভাপতি অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শার্মা, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর মুর্শিদ আলম।

ইবি ছাত্রীকে আটকে রেখে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে হাইকোর্ট রুল জারি করেন এবং বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক।

বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটিতে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আ ন ম আবুজর গিফারী, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা সুলতানা এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর শাহবুব আলমকে রাখা হয়েছে।

অধ্যাপক শাহবুব আলম গণমাধ্যমকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত কার্যক্রম চলমান আছে। আমরা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পারবো বলে আশা রাখি।

সারাদিন/২৭ ফেব্রুয়ারি/এমবি