আনারস খেলে যেসব উপকারিতা

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৩:৫১ অপরাহ্ণ, মার্চ ৪, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

পুষ্টিগুণে অতুলনীয় একটি ফল আনারস। দেহের জন্যও খুব উপকারী ফল এটি। গরমের এই সময়ে বেশ সহজলভ্য আনারস। গ্রীষ্মের এই গরমে হঠাৎ করেই ছোট-বড় সবারই হতে পারে জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমার মতো সমস্যাগুলো।

অবাক করার মতো হলেও সত্যি, এসব রোগ উপশমে আনারস খুব ভালো কাজ করে। তীব্র গরমে সুস্থ ও সতেজ থাকতে সাহায্য করে আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন ‘এ’ এবং ‘সি’, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, থিয়ামিন, রাইবেফ্লাভিন, ভিটামিন ‘বি-৬’, ফোলেট, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট ও বিটা ক্যারোটিন।

যার ফলে জ্বর, সর্দি-কাশি, বুকে শ্লেষ্মা বা কফ জমা সারাতে ভালো কাজ করে। এছাড়া হৃদরোগ’সহ বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়তে আনারসের থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপকারী।

এই গরমে আনারসের জুস করে খেতে পারেন। কারণ আনারসের জুস স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। এটি ইমিউনিটি বা শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষা: দাঁতের মাড়ি শক্ত করতে এবং দাঁত শক্ত করতেও প্রতিদিন এক গ্লাস আনারসের জুস পান করতে পারেন। মূলত আনারসে থাকা ক্যালসিয়াম দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। দাঁতে জীবাণুর আক্রমণ কমাতে এবং দাঁত ঠিক রাখতে আনারসের জুস ভীষণ উপকারী।

হাড় গঠন: আনারসের জুসে আছে ক্যালসিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের বড় উৎস। এটি হাড় মজবুত করে। প্রতিদিন এক গ্লাস করে আনারসের জুস পান করলে হাড়ের সমস্যাজনিত যেকোনো রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

Nagad

রক্ত জমাটে বাধা: দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না আনারসের জুস। ফলে হৃদপিণ্ড শরীরে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত সরবরাহ করতে পারে খুব সহজে। আনারস রক্ত পরিষ্কার করে হৃদপিণ্ডকে কাজ করতে সাহায্য করে।

হজমশক্তি বৃদ্ধি: আনারসের জুস হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে বেশ কার্যকরী। আনারসে আছে ব্রোমেলিন, যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। বদহজম বা হজমজনিত যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইফতারে আনারসের জুস পান করতে পারেন। বদহজম বা হজমজনিত যেকোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ইফতারে আনারসের জুস পান করতে পারেন

পুষ্টির অভাব দূর: আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস। এসব উপাদান দেহের পুষ্টির অভাব পূরণ করে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: যারা ওজন কমাতে চান, তারা নিয়মিত আনারসের জুস খেতে পারেন। এতে প্রচুর ফাইবার ও কম ক্যালরি আছে। জুসের পাশাপাশি আনারস দিয়ে সালাদ তৈরি করেও খেতে পারেন।

চোখের জ্যোতি বাড়ায়: আনারসের জুস ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন হওয়া থেকে রক্ষা করে। এ রোগটি চোখের রেটিনা নষ্ট করে দিতে পারে এবং ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে ঠেলে দেয়। আনারসে আছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারসের জুস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। সূত্র-আমাদের সময়

সারাদিন/০৪ মার্চ/এমবি