পঞ্চগড়ের সহিংসতায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৬:৫৮ অপরাহ্ণ, মার্চ ৬, ২০২৩

পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানি) সালানা জলসা ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় বিএনপি-জামায়াত জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ওই ঘটনায় গ্রেপ্তার বিএনপির এক নেতা স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন।

সোমবার (৬ মার্চ) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এক সভা শেষে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব বলেন। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস, পরদিন মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক এই সভা হয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াতের কর্মী ও বিএনপির নেতারা জড়িত হয়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠান করতে বাধা দেন। একপর্যায়ে তাদের বাড়িঘরে আগুন দেন। যেখানে অনুষ্ঠান হচ্ছিল, সেখানেও আগুন দেওয়া হয়। এতে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের এক সদস্য মারা যান। একজন শিবির নেতা, যিনি সেখানে গিয়েছিলেন, তিনিও এই ঘটনায় আহত হন। পরে মারা যান।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় সাতটি মামলা ও ৮১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। গ্রেপ্তারদের মধ্যে বিএনপি নেতা ফজলে রাব্বীও রয়েছেন। তিনি স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে, তারা অনুষ্ঠান বন্ধ করার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। ঘটনার নেপথ্যে তিনি নেতৃত্ব দেন।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এই মুহূর্তে সেখানকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে সহিংসতার ঘটনায় পুলিশের কোনো ব্যর্থতা আছে কি না, সেটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

এদিকে রবিবার কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-১১) আগুন লাগার ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, তদন্তে যদি কোনো নাশকতা, যড়যন্ত্র বা অন্য কোনো ইঙ্গিত থাকে, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে লাগা আগুনে দুই হাজারের বেশি ঘর পুড়ে গেছে। এর ফলে প্রায় ১২ হাজার রোহিঙ্গা গৃহহারা হয়েছে।

Nagad

উল্লেখ্য, গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে পুলিশের সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তারা পুলিশ ও বিজিবির গাড়ি ভাঙচুর, ট্রাফিক পুলিশের অফিসে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় কাদিয়ানি সম্প্রদায়ের একজন এবং মুসল্লিদের মধ্যে একজন নিহত হন। পরে রাতেই জলসা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।