চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:০২ অপরাহ্ণ, মার্চ ১১, ২০২৩

চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন লি কিয়াং। সংগৃহীত ছবি

চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন লি কিয়াং। তাকে মনোনীত করেছেন তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসা প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং। এর অর্থ হচ্ছে, চীনের নতুন প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন লি কিয়াং। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

আজ শনিবার (১১ মার্চ) চীনের পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) অধিবেশনে লিকে নির্বাচিত করা হয়। এনপিসির প্রায় তিন হাজার সদস্যের ২ হাজার ৯০০’রও বেশি সদস্য অর্থাৎ প্রায় সবাই তাকে ভোট দেন।

টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েই নিজের সবচে বিশ্বস্ত ও অনুগত লি’কে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন শি জিনপিং। এর মধ্য দিয়েই জিনপিংয়ের পরে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশটির দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি হতে যাচ্ছেন লি। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের জায়গা নেবেন তিনি। টানা দু’মেয়াদে দশ বছর প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করা কেকিয়াং আগামী সোমবার অবসরে যাবেন।

লি কিয়াং চীনের বৃহত্তম শহর সাংহাইয়ের সাবেক কমিউনিস্ট পার্টির প্রধান। তিনি সি চিনপিংয়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত। ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি সির চিফ অব স্টাফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ওই সময়ে সি চীনের ঝেজিয়াং প্রদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সেক্রেটারি ছিলেন।

প্রতি পাঁচ বছর পর কমিউনিস্ট পার্টির কংগ্রেস অনুষ্ঠিত হয়। গত বছরের অক্টোবরে কমিউনিস্ট পার্টি কংগ্রেসের সময় লি কিয়াংকে পলিটব্যুরোর স্থায়ী কমিটির দ্বিতীয় শীর্ষ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তখনই বোঝা গিয়েছিল লি কিয়াং হতে যাচ্ছেন চীনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী।

গত এক দশকে সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে নিজের অনুগত ব্যক্তিদের নিয়োগ দিয়েছেন সি চিনপিং। গতকাল শুক্রবার তিনি তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হয়েছেন। ফলে তাঁর ক্ষমতা আরও সুসংহত হয়েছে।

Nagad

সিনহুয়া জানিয়েছে, আজ শনিবার লি কিয়াংকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার পাশাপাশি লিউ জিনগুওকে ন্যাশনাল কমিশন অব সুপারভিশনের পরিচালক হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন সি চিনপিং। এ ছাড়া ঝাং জুনকে সুপ্রিম পিপলস কোর্টের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এবং ইং ইয়ংকে প্রকিউরেটর জেনারেলের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াং অপেক্ষাকৃত উদারপন্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তবে প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং নানাভাবে তাঁর ক্ষমতা সংকুচিত করেছিলেন। ফলে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকলেও তিনি চীনের রাজনৈতিক-সামাজিক পরিসরে খুব একটা পরিবর্তন আনতে পারেননি।