মার্কিন ড্রোন ধ্বংস: যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ফোনালাপ

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৪:১৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০২৩

ছবি- সংগৃহীত

কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ড্রোন ধ্বংস নিয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শইগুর সাথে কথা বলেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। বুধবার (১৫ মার্চ) দুই দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও সামরিক প্রধানরা টেলিফোনে বিরল এই কথাবার্তা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) লন্ডন-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর এক প্রতিবেদনে এই খরব জানানো হয়েছে।

রয়টার্স বলছে, ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণ নিয়ে কয়েক দশকের মধ্যে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে তলানিতে নামার পর বুধবার বিরল এই ফোনালাপ হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক বেশ বিরল। তবে কৃষ্ণ সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের একটি দামি এমকিউ-৯ রিপার ড্রোন ধ্বংসের পর দুই দেশের মধ্যে সরাসরি সংঘাতের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়। এরইপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সাথে যোগাযোগের সিদ্ধান্ত নেয় যুক্তরাষ্ট্র। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই তৃতীয় বারের মতো রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম কথা হয়।

ওয়াশিংটনের শীর্ষ জেনারেল জানান, রাশিয়ার জঙ্গি বিমানের বাধার পর মার্কিন নজরদারি ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার মাধ্যমে মস্কোর বাড়তে থাকা আক্রমণাত্মক আচরণ প্রদর্শিত হয়েছে।

ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে রাশিয়া বলেছে, ক্রাইমিয়ার কাছে ড্রোন উড়ানো উত্তেজনা বাড়ানোর ঝুঁকি তৈরি করবে। এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনকে বলেছেন, ক্রাইমিয়ার উপকূল দিয়ে আমেরিকার ড্রোন ফ্লাইট পরিচালনা ‘উস্কানিমূলক আচরণ’ এবং এতে ‘কৃষ্ণ সাগর অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।

Nagad

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, “এই ধরনের উত্তেজনা বৃদ্ধিতে রাশিয়ার কোনও আগ্রহ নেই কিন্তু ভবিষ্যতে (তারা) যথাযথ অনুপাতে প্রতিক্রিয়া দেখাবে।”

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর প্রধান ও জয়েন্ট চিফ অব স্টাফস -এর সভাপতি জেনারেল মার্ক মাইলি ও অস্টিন পেন্টাগনে এই সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন। মার্ক মাইলিও আলাদা করে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ভ্যালেরি গেরাসিমভের সাথে ফোন কলে কথা বলেন।

মার্ক মাইলি সাংবাদিকদের বলেন, সম্প্রতি রুশরা সাধারণত যেভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে, তার চেয়ে বেশি আগ্রাসী ব্যবহারের প্রদর্শনী করছে। তবে তিনি এখনও নিশ্চিত নন, রুশ যুদ্ধবিমান মার্কিন ড্রোনকে সরাসরি আঘাত করতে চেয়েছিল কি না।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে রাশিয়া তার অংশ করে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ ইউক্রেনের অংশ ছিল।

সারাদিন/১৬ মার্চ/এমবি