‘ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ চালুর ফলে জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে’

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৮, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করে এই পাইপলাইনের সুফলের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ চালুর ফলে দুই দেশের জনগণ নানাভাবে উপকৃত হবে। রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে যখন বিশ্বের অনেক দেশ জ্বালানি সংকটের মুখোমুখি। এই পাইপলাইনটি আমাদের জনগণের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

শনিবার (১৮ মার্চ) বিকেলে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধনকে দুই বন্ধুপ্রতিম দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার একটি মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমি বিশ্বাস করি মৈত্রী পাইপলাইন আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে সহযোগিতা উন্নয়নের একটি মাইলফলক অর্জন।

গণভবন থেকে এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ভারত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন উদ্বোধন করেন।

এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন বিগত বছরগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বাংলাদেশের এই উন্নতিতে পাশে থাকতে পেরে আমরা খুশি। এই পাইপলাইন (ডিজেলের) বাংলাদেশের উন্নতিতে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি।

দুই দেশের মধ্যে কানেকটিভিটি যত বাড়বে তত দুই দেশের লোকজনের মধ্যে সম্পর্ক জোরালো হবে বলেও উল্লেখ করেন মোদি।

Nagad

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়ম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় লাইন অব ক্রেডিট (এলওসি) থেকে নেওয়া প্রায় তিন দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ভারতীয় রুপি ব্যয়ে নির্মিত ১৩০ কিলোমিটার ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইনের (আইবিএফপিএল) মাধ্যমে বাংলাদেশে ডিজেল রপ্তানি করবে ভারত।

পাইপলাইনটি বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ১২৫ কি.মি. এবং ভারতের অভ্যন্তরে পাঁচ কি.মি. প্রসারিত। পাইপলাইনটির হাইস্পিড ডিজেলের (এইচএসডি) বার্ষিক পরিবহনের ক্ষমতা এক মিলিয়ন মেট্রিক টন (এমএমটিপিএ)। এটি প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের সাতটি জেলায় হাই স্পিড ডিজেল সরবরাহ করবে।

বাংলাদেশ এতদিন ভারত থেকে রেলপথে ডিজেল আমদানি করত। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে মেঘনা পেট্রোলিয়াম ডিপো পর্যন্ত পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে ডিজেল আমদানির জন্য ২০১৭ সালে একটি দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী পাইপলাইন চালু হলে ভারত থেকে বাংলাদেশে এইচএসডি পরিবহণের একটি টেকসই, নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ব্যবস্থা গড়ে উঠবে।

এটি দুই বন্ধুপ্রতিম প্রতিবেশীর মধ্যে জ্বালানি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরও জোরদার করবে।

সারাদিন. ১৮ মার্চ