স্কুলছাত্রী পপি হত্যা মামলায় এক জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে স্কুলছাত্রী পপি সাহা’কে (৭) হত্যা মামলায় রুনা আক্তার আঁখি নামের একজনের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তার ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া রুনার স্বামীকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো: রহিবুল ইসলাম এই রায় দেন।
লক্ষ্মীপুর জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রুনা আক্তার আঁখি উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের আব্দুল মতিনের মেয়ে ও এমরানের স্ত্রী। খালাসপ্রাপ্ত এমরান গাছ কাটার শ্রমিক ও উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়নের পূর্ব কেরোয়া গ্রামের নুরুল আমিনের ছেলে।
ভিকটিম পপি সাগরদি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। এছাড়া তিনি বামনী ইউনিয়নের সাগরদি গ্রামের প্রবাসী নির্মল সাহার মেয়ে।
জজ আদালতের পিপি জসিম উদ্দিন বলেন, ৩ আনা স্বর্ণের কানের দুলের লোভে স্কুলছাত্রী পপিকে হত্যা করে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। রুনার স্বামীও এই মামলার আসামি ছিলেন। তিনি হত্যার সাথে জড়িত ছিলেন না। এতে আদালত তাকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন। রায়ের সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও এজাহার সূত্র জানা গেছে, ২০২১ সালের ০২ সেপ্টেম্বর সকালে প্রাইভেট পড়ে এসে বাড়ির পাশেই পপি খেলছিল। তখন রুনা তাকে ডেকে ঘরে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তার কানের দুলগুলো খুলে নেয় রুনা। এতে পপি কান্না করে উঠে। কান্নার শব্দ যেন কেউ শুনতে না পায় এজন্য মুখ ও গলা চেপে ধরলে পপি মারা যায়। পরে তার লাশ চৌকির নিচে লুকিয়ে রাখা হয়।
সারাদিন/২০ মার্চ/এমবি
