ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

ডিভোর্স না দিয়ে অন্যের স্ত্রীকে অবৈধ বিয়ে, ব্যভিচার, ও মানহানির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিরুদ্ধে আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে।

সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে মামলার বাদী রাকিব হাসান সাক্ষ্য প্রদান করেন। এদিন তার সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় আদালত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য নতুন দিন ধার্য করবেন।

এদিন ক্রিকেটার নাসির আদালতে হাজিরা দেন। তবে তামিমা উপস্থিত ছিলেন না। নাসিরের উপস্থিতিতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এর আগে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এই মামলায় ক্রিকেটার নাসির হোসেন ও বিমানবালা তামিমা সুলতানা তাম্মির বিচার চলবে বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তামিমার মা সুমি আক্তারকে এই মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুর্শিদ আহাম্মেদ বাদীপক্ষের রিভিশন অবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।

এরপর আজ (২০ মার্চ) সোমবার থেকে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হলো।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তামিমার স্বামী রাকিব হাসান বাদী হয়ে এই মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তামিমা ও রাকিবের বিয়ে হয়। তাদের ৮ বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। তামিমার পেশায় একজন কেবিন ক্রু। পরে তামিমা ও ক্রিকেটার নাসির হোসেনের বিয়ের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাকিবের নজরে আসে। পরে পত্র-পত্রিকায় তিনি ঘটনার বিষয়ে সম্পূর্ণ জানেন।

মামলায় আরও অভিযোগ করা হয়, রাকিবের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক চলমান অবস্থাতেই তামিমা নাসিরকে বিয়ে করেছেন; যা ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় আইন অনুযায়ী সম্পূর্ণ অবৈধ। তামিমাকে প্রলুব্ধ করে নিজের কাছে নিয়ে গেছেন নাসির। তামিমা ও নাসিরের এমন অনৈতিক ও অবৈধ সম্পর্কের কারণে রাকিব ও তার ৮ বছর বয়সী কন্যা মারাত্মভাবে মানসিক বিপর্যস্ত হয়েছেন। আসামিদের এমন কার্যকলাপে রাকিবের চরমভাবে মানহানি হয়েছে, যা তার জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।

সারাদিন/২০ মার্চ/এমবি