আজকের দিনের জাতীয় পর্যায়ের শীর্ষ ১০ খবর

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:০১ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

সড়কে বিশৃঙ্খলা
পুলিশকে ‘খুশি করে’ এক্সপ্রেসওয়েতে চলছে অবৈধ বাস
পদ্মা সেতু দিয়ে বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া বন্ধ রেখেছে বিআরটিএ।
পদ্মা সেতুর সদ্ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন।

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে ইমাদ পরিবহনের যে বাস দুর্ঘটনায় ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেই বাসের চলাচলের অনুমতি ছিল না। ছিল না ফিটনেস সনদও। তারপরও সেটি নিয়মিত ঢাকা থেকে খুলনার পথে যাত্রী পরিবহন করছিল। এমন শত শত বাস পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায় অবৈধভাবে চলাচল করছে। এর মধ্যে গ্রিনলাইন, হানিফ, সোহাগ, এনা, ইউনিক, গোল্ডেন লাইনসহ বড় কোম্পানির বাসও রয়েছে। পরিবহন কোম্পানিগুলোর সূত্র বলছে, পদ্মা সেতু চালুর পর দক্ষিণের পথে যাত্রী চাহিদা বেড়ে যায়। নতুন বাস নামাতে তারা বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) বরাবর চলাচলের অনুমতির (রুট পারমিট) জন্য আবেদনও জমা দিয়েছে। কিন্তু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আপত্তিতে তা দিচ্ছে না বিআরটিএ। এর ফলে অনুমতি ছাড়াই পুলিশকে ‘খুশি করে’ করে বাস চালানো হচ্ছে। এই সুযোগে ফিটনেসবিহীন বাসও এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে অবাধে চলাচল করছে। সূত্র: প্রথম আলো

সম্পর্কে নতুন গতির প্রত্যাশা
চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং তিন দিনের আলোচিত রাষ্ট্রীয় সফরে গতকাল সোমবার মস্কো পৌঁছেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথমবার পুরনো মিত্র রাশিয়ায় পৌঁছে চিনপিং বলেন, ‘এই সফর দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে নতুন গতি আনবে।’ ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে বেইজিংয়ের প্রস্তাব নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার কথা রয়েছে চিনপিংয়ের। গতকাল স্থানীয় সময় বিকেলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর রাষ্ট্রীয় বাসভবন ও কার্যালয় ক্রেমলিনে চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিংকে স্বাগত জানান। এ সময় চিনপিংকে ‘প্রিয়বন্ধু’ আখ্যা দিয়ে বরণ করেন পুতিন। সূত্র: কালের কণ্ঠ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেদন
শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা, অস্বচ্ছ নির্বাচন ও বিচার ব্যবস্থায় হস্তক্ষেপ

বাংলাদেশে বিরোধী দলগুলোর শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বাধা সৃষ্টি করা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনে স্বচ্ছতার অভাব এবং বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের অনাস্থা রয়েছে। বাংলাদেশের ২০২২ সালের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে এমন তথ্যই তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, সংবিধান নাগরিকদের অবাধ ও মুক্ত নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার বেছে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক নির্বাচনগুলো অবাধ বা স্বচ্ছ– কোনোটাই হয়নি বলে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা জানিয়েছেন। কারণ, নির্বাচনগুলোতে গুরুতর অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধী দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা দেওয়ার জন্য সরকার আইনের অপব্যবহার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোকে ব্যবহার করছে। বিএনপির অভিযোগ, পুলিশ তাদের হাজার হাজার সদস্যকে গত বছর রাজনৈতিক বিক্ষোভ করায় ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের এবং আটক করেছে। মানবাধিকারকর্মীরা দাবি করেছেন, এর মধ্যে অনেক অভিযোগই রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। রাজনৈতিক বন্দিদের নিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে অনেক রাজনৈতিক বন্দি রয়েছেন। জাতীয় নিরাপত্তার প্রতি হুমকি সৃষ্টির অভিযোগে মামলা করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হয়। সূত্র: সমকাল

শেয়ালের কাছে মুরগি বর্গা

Nagad

এ যেন মুরগির খোঁয়াড় পাহারার জন্য শেয়ালকে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনা।

ইউনিভার্সাল ফিন্যান্সিয়াল সলিউশন্স লিমিটেড (ইউএফএসএল) নামক একটি সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিজেই চারটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে বিনিয়োগকারীদের ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং তারপর নিয়ন্ত্রকদের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছেন দুবাইয়ে। এমনটাই জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-র এক প্রতিবেদন সূত্রে। বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার চোখে ধুলো দিতে সেই আদ্যিকালের পুরোনো ব্যাংকের কাগজপত্র জাল করারই কৌশল নেন ইউএফএসএল- এর এমডি সৈয়দ হামজা আলমগীর, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষগুলো যা শনাক্তই করতে পারেনি। এমনই এক গুরুতর ঘটনায় তিনি আট লাখ টাকার চারটি ফিক্সড ডিপোজিট (এফডিআর) করেন। এরপর ব্যাংকের নথিগুলোয় কারসাজি করে আমানতের অঙ্ক দেখিয়েছেন ৪৯ কোটি। গত বছরের অক্টোবরে তিনি দেশ ছেড়ে চলেও গেছেন। ইউএফএসএল যে চারটি মিউচুয়াল ফান্ড থেকে আত্মসাৎ করেছে সেগুলো হলো: ইউএফএস-ব্যাংক এশিয়া ইউনিট ফান্ড, ইউএফএস-আইবিবিএল শরিয়াহ ইউনিট, ইউএফএস-পদ্মা লাইফ ইসলামিক ইউনিট ফান্ড এবং ইউএফএস-পপুলার লাইফ ইউনিট ফান্ড, যার প্রাথমিক তহবিলের আকার ৪৩০ কোটি টাকা। এই বছরের জানুয়ারিতে ইউএফএসএলে ১৫৮ কোটি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে একটি সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিএসইসির কাছে ব্যাখ্যাও চান হাইকোর্ট।এরপর পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি তদন্ত শুরু করে। অনুসন্ধানে উঠে আসে যে, ২০১৬ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে যা জানা গিয়েছিল – হামজা আলমগীর তার চেয়েও আরো অনেক বেশি তহবিল – সঠিকভাবে বললে, ২৩৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। সূত্র: বিজনেসস্ট্যান্ডার্ড।

মূল্যস্ফীতিতে সঞ্চয় কমছে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর
তিন মাসে ব্যাংকগুলোর গ্রামীণ আমানত কমেছে ৪,২৯৪ কোটি টাকা

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি পার করছে বাংলাদেশ। দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতেই হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যাংকে থাকা সঞ্চয়ও ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। এর বিরূপ প্রভাব দেখা যাচ্ছে ব্যাংক আমানতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, দেশের ব্যাংক খাতে শ্লথ হয়ে এসেছে আমানতের প্রবৃদ্ধি। বিশেষ করে শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামে ব্যাংকের আমানত কমছে সবচেয়ে বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দেশের ব্যাংক খাতে ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট আমানত ছিল ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৩৭০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৪১ হাজার ৬৬৭ কোটি টাকা ছিল গ্রামীণ আমানত, কিন্তু ডিসেম্বরে এসে এর পরিমাণ ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে। অর্থাৎ মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ব্যাংকগুলোর গ্রামীণ আমানত কমে গেছে ৪ হাজার ২৯৪ কোটি টাকা। গতকাল প্রকাশিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিডিউলড ব্যাংকস স্ট্যাটিসটিকসে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, পরিস্থিতি খারাপ না হলে দেশের ব্যাংক খাতে আমানত সবসময়ই প্রবৃদ্ধির ধারায় থাকে। আবার অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ালেও ব্যাংকগুলোর আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়তে থাকে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। গ্রামে ব্যাংকের আমানত না বেড়ে উল্টো কমে যাওয়ার ঘটনা নজিরবিহীন। সূত্র: বণিক বার্তা।

টাকা হলেই বদলি
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বদলি প্রসঙ্গে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ‘সততার বুলি’ আওড়ান। অনলাইন প্রক্রিয়ার বাইরে কোনো বদলি হয় না এ কথাই জোর দিয়ে বলেন তারা।দেশ রূপান্তরের অনুসন্ধানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলির বিষয়ে জানা গেছে ভয়ংকর তথ্য। ২০২০ সালের মার্চ মাসের পর অনলাইন-বদলির সুযোগ না থাকলেও, টাকা হলেই বদলি হওয়া যায়। আগের কোনো তারিখে বদলির অনুমোদন দেখিয়ে জারি করা হচ্ছে আদেশ। এসব আদেশ অবশ্য ওয়েবসাইটে প্রদর্শিত হয় না। নিয়মিত রাজধানীসহ সারা দেশে শিক্ষক বদলি করা হচ্ছে। তারা যোগদানও করেছেন। অনলাইন প্রক্রিয়ার বাইরেই এসব হচ্ছে। গত তিন মাসে অনলাইন-ছাড়াই শতাধিক শিক্ষক বদলি হয়েছেন। এমন আটটি বদলির আদেশের কপি দেশ রূপান্তরের হাতে রয়েছে। কয়েকজনের যোগদানপত্রও দেশ রূপান্তরের কাছে আছে। বদলির এসব আদেশের বেশিরভাগ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি অ্যান্ড অপারেশন) মনীষ চাকমা স্বাক্ষরিত। কোনো কারণে তার ছুটিতে থাকার সময় দায়িত্বে থাকা পরিচালক মো. হামিদুল হক স্বাক্ষরিত কিছু আদেশও রয়েছে। সূত্র: দেশ রুপান্তর

আমানত এবং ঋণের ভারসাম্য রক্ষা
ঋণশৃঙ্খলা নেই ১৭ ব্যাংকে

আমানত এবং ঋণের যে ভারসাম্যপূর্ণ শৃঙ্খলা থাকা দরকার, সেটা ভেঙে গেছে ১৭ ব্যাংকে। আগ্রাসী ঋণ দিয়েছে প্রচলিত ধারা ও শরিয়াহভিত্তিক এসব ব্যাংক। এতে লঙ্ঘিত হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া সীমা। এ কারণে চরম তারল্য সংকটে পড়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এসব তথ্য।বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আমানতকারীদের জন্য বাড়তি ঝুঁকির সৃষ্টি হয়েছে-এমন শঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। তাদের মতে, ব্যাংকের ঋণশৃঙ্খলা ভেঙে যাওয়ার নেপথ্যে রয়েছে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং বেনামি ঋণ। ব্যাংক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে বড় অঙ্কের বেনামি ঋণ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এভাবে চলতে থাকলে খাতটি ঝুঁকিতে পড়বে।বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী, প্রচলিত ধারার ব্যাংক ১০০ টাকার মধ্যে ৮৭ এবং ইসলামিধারার ব্যাংক ৯২ টাকা ঋণ দিতে পারে। এটিকে ব্যাংকিং পরিভাষায় অ্যাডভান্স ডিপোজিট রেশিও (এডিআর) বা ঋণ-আমানত অনুপাত সীমা বলা হয়।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১-২৬ জানুয়ারি প্রচলিত ধারার ন্যাশনাল ব্যাংকের এডিআর দাঁড়িয়েছে ৯৮ দশমিক ২৩ শতাংশ। অপর একটি ব্যাংকের উভয় ধারায় এডিআর দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৯৬ দশমিক ৬৪ ও ১০৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ, রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের ৯১ দশমিক ১৭, ওয়ান ব্যাংকের ৮৯ এবং বিদেশি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এডিআর ৮৭ দশমিক ৫২ শতাংশ। এসব ব্যাংকে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি সংঘটিত হয়েছে। এছাড়া কমিউনিটি ব্যাংকের ৮৮ দশমিক ২৮, অপর একটি ব্যাংকের ৮৮ দশমিক ০৫ এবং আইএফআইসি ব্যাংকের এডিআর ৮৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। সূত্র: যুগান্তর

অরক্ষিত সড়কে বেপরোয়া পরিবহন
♦ মহাসড়কের ঘাটে ঘাটে মৃত্যুফাঁদ ♦ ফিটনেস না থাকলেও নেই পরীক্ষার কেউ ♦ বাঁক ও সড়কে ত্রুটির শেষ নেই ♦ নগরেও বেপরোয়া চলে লক্কড়ঝক্কড় বাস

অরক্ষিত সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বাড়াচ্ছে বেপরোয়া যানবাহন। সড়ক পরিবহন আইনের শিথিল প্রয়োগ এবং কার্যকর তদারকির অভাবে সড়কে ঠেকানো যাচ্ছে না মর্মান্তিক মৃত্যু। ফিটনেসবিহীন ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, বেপরোয়া গতি, চালকদের অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা; মহাসড়কে মিশ্রগতির যানবাহন চলাচল; বেপরোয়া মোটরসাইকেল; জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা; দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা; গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি এবং নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতার ঘাটতির কারণে সড়কে দুর্ঘটনা, প্রাণহানি ও নৈরাজ্য রোধ করা যাচ্ছে না। এ নৈরাজ্যের চক্রে দেশে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েই চলছে। কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছর সর্বাধিক ৭ হাজার ৭১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত ও পঙ্গু হয়েছেন ১২ হাজার ৬১৫ জন। বিশ্লেষকরা বলছেন, রবিবার মাদারীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২০ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু সড়ক নৈরাজ্যেরই সর্বশেষ দৃষ্টান্ত। এক দশকে দেশে ব্যাপকহারে যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়েছে। সূত্র: বিডি প্রতিদিন

৫৮ বন রক্ষা করছে পাহাড়ের পাড়াবাসী
অরুণ কান্তি চাকমা বলেন, “১৯৬৫ সাল থেকে আমরা বনটি রক্ষা করছি।”

প্রকৃতির প্রতি মমতা এবং বাঁচার তাগিদে ছয় দশকের বেশি সময় ধরে খাগড়াছড়ির বিভিন্ন উপজেলায় প্রাকৃতিক বন রক্ষা করে চলেছেন পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীর মানুষেরা। তারা এই বন থেকে গাছ কাটেন না, ঝিরি থেকে মাছ-কাঁকড়াও ধরেন না। ফলে প্রতিটি ‘পাড়াবন’ এখনও শত প্রজাতির উদ্ভিদ, লতাগুল্ম, ঝিরি-ঝর্ণা, বিভিন্ন প্রজাতি পাখি, বন্যপ্রাণী ও প্রাণ-প্রকৃতির প্রাচুর্যতায় ভরা।
যখন সারাদেশে বন ও প্রকৃতিকে ধ্বংস করে উজার করা হচ্ছে জীব-বৈচিত্র্য; তখন পাহাড়ের পাড়াবাসীর এই ধরনের উদ্যোগ সুখবর বৈকি। এসব ঘন অরণ্যে মায়া হরিণ, বনমোরগ, শুকর, ময়না, টিয়াসহ নানা প্রজাতির পাখির দেখা মিলছে। বনের সুফল পাচ্ছে পাহাড়ের মানুষও। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, খাগড়াছড়ি জেলা সদরে ১১টি, দীঘিনালায় ১৮টি, পানছড়িতে সাতটি, মহালছড়িতে নয়টি, লক্ষ্মীছড়িতে আটটি, মাটিরাঙায় দুটি এবং গুইমারায় তিনটিসহ মোট ৫৮টি পাড়াবন সংরক্ষণ করছে পাড়াবাসী। সূত্র: বিডি নিউজ

 

যে পাঁচটি কারণে সড়কে বাসযাত্রা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে

বাংলাদেশের মাদারীপুরে মহাসড়কে একটি বাস দুর্ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, আহত হয়েছে বাসটির প্রায় সব যাত্রী।সড়ক পরিবহন নিয়ে কাজ করে, এমন সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, বছরের প্রথম তিন মাসেই সারা দেশে অন্তত এক হাজার সড়ক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে, যার বড় একটি অংশ হয়েছে বাস, ট্রাক এবং কাভার্ড ভ্যানগুলোর কারণে।বাংলাদেশের সড়ক পরিবহন খাতের সাথে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের পর বছর এই খাতে বেশ কয়েকটি সমস্যা বিরাজমান থাকায় একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। আইন হলেও তার শক্ত প্রয়োগ না থাকায় বাস্তব পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হয়নি।দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান কী বলছে?যাত্রী কল্যাণ সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সারা দেশে ৬,৭৪৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৯৯৫১ জন নিহত হয়েছে, আহত হয়েছে ১২ হাজারের বেশি মানুষ।