নির্বাচনের বছর আমরা চোখ-কান খোলা রাখব: দুদক চেয়ারম্যান

সারাদিন ডেস্কসারাদিন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২:৫২ অপরাহ্ণ, মার্চ ২১, ২০২৩

ছবি: সংগৃহীত

চলতি বছর নির্বাচন সামনে রেখে চোখ-কান খোলা রেখে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, নির্বাচনের বছর আমরা চোখ-কান খোলা রাখব। আইন অনুসারে আমাদের যেটুকু অংশ আমরা তা নিরপেক্ষভাবে প্রতিপালনের চেষ্টা করব। আমরা সাধ্যমতো কাজ করছি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

দুদক কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক খান ও মো. জহুরুল হক এবং দুদকের সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুদক ঠিকমতো কাজ করছে না—এমন প্রশ্নের জবাবে দুদকের চেয়ারম্যান বলেন, ‘মামলা, তদন্ত, অনুসন্ধান—সবকিছুই বেড়েছে। আমাদের এই তথ্য কথা বলবে।’

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, তফসিলভুক্ত না হওয়া এবং দুর্বল তথ্য-প্রমাণের কারণে ২০২২ সালে আসা ৯৫ শতাংশেরও বেশি অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেয়নি সংস্থাটি। দুদকের ২০২২ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, নির্বাচনের বছরে সব প্রার্থীর হলফনামায় যে সম্পদ বিবরণী থাকে তা খতিয়ে দেখবে দুদক। এ বছর চোখ-কান খোলা রাখবে সংস্থাটি, প্রভাবমুক্ত থেকে কাজ করবে। আগামী বছরে দুদকের কাজে আরও গতিশীলতা আনার জন্য কাজ করা হচ্ছে।

Nagad

রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে দুদক ঠিক মতো কাজ করছে না, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, মামলা, তদন্ত, অনুসন্ধান সব কিছুই বেড়েছে। আমাদের তথ্য কথা বলবে। তারা তাদের বক্তব্য দিয়েছে। আমরা তথ্য দিলাম, এগুলো সংরক্ষিত আছে। আপনারাই বিবেচনা করবেন।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, গত বছর দুদকে জমা পড়ে ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগ। এসব যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটি হাতে নিয়েছে ৯০১টি অভিযোগ, যা মোট অভিযোগের ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। অর্থাৎ ৯৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ অভিযোগই অনুসন্ধানের জন্য আমলে নিতে পারেনি দুদক। ১৯ হাজার ৩৩৮টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ১৫২টি অভিযোগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাঠানো হয়েছে। ২০২২ সালে চার্জশিট অনুমোদন হয়েছে ২২৪টি, মামলা হয়েছে ৪০৬টি, ফাঁদ মামলা হয়েছে মাত্র ৪টি।

এক প্রশ্নের জবাবে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দেশের টাকা বাইরে চলে গেছে। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়তো কাজ করতে পারেনি দুদক। অর্থ পাচারের কাজ করে আরও অনেকগুলো সংস্থা। শুধু দুদকের কাজ নয় এটি। তার পরও আমরা চেষ্টা করছি টাকা ফিরিয়ে আনার।